জেনে নিন কচু চাষের পদ্ধতি, আয় করুন প্রচুর

কচু আমাদের দেশে একটি অতি পরিচিত নাম। কচু বলতে মূলত পানি কচুর কথাই বলা হচ্ছে । কচুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে । উৎপাদনের দিক দিয়ে মুখীকচুর পরই কচুর লতির স্থান। এ ছাড়া কচু, কচু শাক, কচুর লতি সবকিছুই পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয় । সবজি হিসেবে বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কচু লতির ব্যবহার বেশ পুরনো । ধারণা করা হয় প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চল , শ্রীলংকা, সুমাত্রা ও মালয় অঞ্চল কচুর উৎপত্তিস্থল। কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণ শ্বেতসার, লৌহ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক আসুন জেনে নেই লতিরাজ কচুর চাষাবাদ পদ্ধতি ।

Saikat Majumder
Saikat Majumder
কচুর লতি চাষ ( প্রতীকি ছবি )

কচু আমাদের দেশে একটি অতি পরিচিত নাম। কচু বলতে মূলত পানি কচুর কথাই বলা হচ্ছে । কচুতে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি রয়েছে । উৎপাদনের দিক দিয়ে মুখীকচুর পরই কচুর লতির স্থান। এ ছাড়া কচু, কচু শাক, কচুর লতি সবকিছুই পুষ্টিকর খাবার হিসেবে ব্যবহৃত হয় । সবজি হিসেবে বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কচু লতির ব্যবহার বেশ পুরনো । ধারণা করা হয় প্রাচীন ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চল , শ্রীলংকা, সুমাত্রা ও মালয় অঞ্চল কচুর  উৎপত্তিস্থল। কচুর লতিতে প্রচুর পরিমাণ শ্বেতসার, লৌহ, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এ ও সি রয়েছে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক আসুন জেনে নেই লতিরাজ কচুর চাষাবাদ পদ্ধতি ।

জমি তৈরি

লতি উৎপাদনের জন্য পানিকচুর জমি শুকনো ও ভেজা উভয় অবস্থাতেই তৈরি করা যায়। শুকনোভাবে তৈরি করার জন্য ৪/৫টি আড়াআড়ি চাষ ও মই দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে ও সমান করতে হবে। ভেজা জমি তৈরি করার জন্য ধান রোপনের জন্য জমি যেভাবে কাঁদা করা হয় সেভাবেই তৈরি করতে হয়।

আরও পড়ুনঃ বিদেশী হলেও দেশীয় বাজারে এই ফলগুলির চাহিদা আকাশ ছোঁয়া

চারা রোপণ

আগাম ফসলের জন্য কার্তিক (মধ্য অক্টোবর থেকে মধ্য নভেস্বর)| নাবী ফসলের জন্য মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য বৈশাখ (মার্চ-এপ্রিল) মাসে লাগানো যায়। দক্ষিণাঞ্চলে বছরের  যেকোন সময় লাগানো যায়। প্রতি শতকে প্রায় ১৫০টি গাছ রোপণের জন্য প্রয়োজন। জমি ভালভাবে তৈরি করে লাইন থেকে লাইন ২ ফুট (৬০ সে.মি) এবং গাছ থেকে গাছ ১.৫ ফুট (৪৫ সে.মি) রাখতে হবে।

জমিতে সার প্রয়োগ

প্রতি শতকে  এমওপি ৭৫০ গ্রাম, ইউরিয়া ৬০০গ্রাম, টিএসপি ৫০০গ্রাম, গোবর ৫০কেজি করে দিয়ে জমি তৈরির শেষ চাষের সময় ছিটিয়ে মাটির সাথে ভালভাবে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া সার ২-৩ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হয়। প্রথম কিস্তির সার চারা রোপণের ২০-২৫ দিনের মধ্যে প্রয়োগ করা ভালো। সার প্রয়োগের পর হালকা সেচ দিতে হবে। জমিতে কোন সময় দস্তা ও জিংকের অভাব থাকলে জিপসাম ও জিংক সালফেট সার ব্যবহার করতে হবে। জয়পুরহাট অঞ্চলের চাষিরা প্রতিবার লতি সংগ্রহের পর ইউরিয়া সার উপরি প্রয়োগ করে থাকেন।

এক বিঘা জমিতে  কচু চাষ করতে সবকিছু মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। খরচ বাদে বিঘা প্রতি ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয় কৃষকের। প্রতি মৌসুমে এক বিঘায় ৬০-৭০ মন কচুর লতি উৎপাদন হয়।লতি ছাড়াও কাণ্ড উৎপাদন হয় ২৫০-২৬০ মণ ।

আরও পড়ুনঃ কলেজগুলিতে সহকারী অধ্যাপক নিয়গ করতে চলছে কলেজ সার্ভিস কমিশন

বাজারে প্রতি মণ লতি বিক্রি হয় ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা। কাণ্ড বিক্রি হয় ৭৯০ টাকা মণ দরে।এতে দেখা যায় এক বিঘা জমিতে লতি ও কাণ্ড মিলে বিক্রি হয় প্রায় ৭০-৯৮ হাজার টাকা।খরচ বাদে চাষীদের লাভ থাকে ৫০-৬০ হাজার টাকা। এ কচু চাষের এক-দুই মাস পর থেকে লতি বিক্রি হয় প্রায় সাত-আট মাস পর্যন্ত।

Published On: 05 January 2022, 04:52 PM English Summary: Learn how to cultivate kachu, earn a lot

Like this article?

Hey! I am Saikat Majumder. Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters