ভারতে যে সমস্ত রাজ্যে ধানের উৎপাদন সবচেয়ে বেশি সেই তালিকায় রয়েছে বাংলাও। এই রাজ্যের বেশিরভাগ কৃষকই ধান চাষের সঙ্গে যুক্ত। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনার জন্য চাষিদের অনেক সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। কৃষকরা তাদের ক্ষেতে নতুন জাতের রোপণ করে তাদের আয় ও ফসলের উৎপাদন বাড়াতে, পারে সেদিকে সরকার এবং কৃষি বিজ্ঞানীরা দিচ্ছেন বিশেষ নজর।
কৃষকদের আয় বাড়াতে সরকার অনেক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করে চলেছে। এ ছাড়া অনেক বৈজ্ঞানিক সংগঠনও সবসময় কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে এবং ফসলে নতুন নতুন উদ্ভাবন করে চলেছে, যাতে কৃষকরা তাদের ফসল থেকে সর্বোচ্চ ফলন পেতে পারে। এরই ধারাবাহিকতায় ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় অর্থ ফসলের কিছু নতুন জাত প্রস্তুত করেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, নতুন এই জাতের টাকায় কৃষকরা দ্বিগুণ সুবিধা পাবেন।
নতুন জাতের ধান
কৃষকদের আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে নতুন ধানের জাতগুলো নিম্নরূপ
-
ট্রম্বে ছত্তিশগড় দুবরাজ মিউট্যান্ট-১
-
বিক্রম টিসিআর
-
ছত্তিশগড় জওয়ানফুল মিউট্যান্ট
-
ট্রম্বে ছত্তিশগড় বিষ্ণুভোগ মিউট্যান্ট
-
ট্রম্বে ছত্তিশগড় সোনাগাঠি
এই সমস্ত জাতগুলি ইন্দিরা গান্ধী কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাভা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টার, ট্রম্বে-মুম্বাই-এর সহযোগিতায় প্রস্তুত করা হয়েছে । এছাড়াও দুবরাজ, সাফরি-17, বিষ্ণুভোগ, জওয়ানফুল এবং সোনাগাঠির নতুন মিউট্যান্ট জাতগুলিও প্রস্তুত করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিজ্ঞানীরা বলছেন, খুব শিগগিরই অন্যান্য ঐতিহ্যবাহী জাতের ধানও প্রস্তুত করা হবে। ছত্তিশগড়ে 300টি ঐতিহ্যবাহী জাতের মিউটেশন প্রজননের কাজ দ্রুত চলছে। যাতে কৃষকরা কম সময়ে ভালো লাভ করতে পারে।
আরও পড়ুনঃ এবার গরমকালেও ফলবে টমেট,অভিনব পদ্ধতি আবিষ্কার করলেন বাংলাদেশের গবেষকরা
নতুন জাতের ধানের বৈশিষ্ট্য
-
এসব জাত দিয়ে কৃষকরা বেশি ধান পাবে।
-
এসব জাতের মধ্যে রোগ-বালাইয়ের উপদ্রব খুবই কম।
-
এই জাতগুলির ফসলের সময়কাল কম এবং উচ্চতা এবং উচ্চ ফলন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত দুদিনের বৃষ্টিতে রাজ্যবাসিদের স্বস্তি মিললেও আশঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা। গতকাল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা ব্লকে ঝড় এবং বৃষ্টির দাপটে প্রচুর ক্ষতির মুখে পড়েছে চাষিরা। বৃষ্টির জলে ভরে উঠেছে ধানের খেত। এই অবস্থায় চাষিরা ধান মাঠ থেকে তুলে নিলে ধান জমিতে পড়েই নষ্ট হয়ে যাবে। ১৫ থেকে ১৮ হাজার টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছেন এই ব্লকের চাষিরা।
আরও পড়ুনঃ রেশম চাষ করে লাখ লাখ টাকা আয় করছেন এই গ্রামের ১৩০টি পরিবার