বর্ষা একদিকে যেমন কৃষকদের মধ্যে আনন্দ দেয়, তেমনি বিপদের আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়। বর্ষার আগমনে খরিফ ফসলের বপন সহজে করা গেলেও বন্যা ও তাপমাত্রা বৃদ্ধি চা বাগানকারীদের সমস্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।
দেখা যাচ্ছে, এখন চা বাগানে পাওয়া রেড স্পাইডার মাইট নামক কীটপতঙ্গ সারা বছরই লেগে থাকে, যেখানে আগে মার্চ থেকে এপ্রিল মাসেই দেখা যেত। এছাড়া লুপার ক্যাটারপিলার পোকাও অনেক ক্ষতি করছে। এর জেরে অসম ও শিলিগুড়ির চা চাষীদের ক্ষতির মুখে পরতে হচ্ছে।
চা বাগানের সূত্রে
বর্ষার আগমনে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রভাবে চা বাগানে নানা ধরনের পোকার আক্রমণ বেড়েছে।এসব কীটপতঙ্গ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিনিয়ত কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে, এতে চা রপ্তানিতে সমস্যা হচ্ছে।
চায়ে কীটপতঙ্গের উপদ্রব
মাস্কুটো বাগ (টিবিজি) ফসলের অনেক ক্ষতি করছে। পাতায় বিষ ঢালছে। যদি পাতাগুলি উপড়ে না হয় তবে এটি সম্পূর্ণ গাছকে ধ্বংস করে দেয়। একইভাবে রেড স্পাইডার পেস্ট ও লুপার ক্যাটারপিলারও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করছে।
আরও পড়ুনঃবাঁশ চাষে শূন্য ইনভেস্টমেন্ট থেকে আপনি প্রতি হেক্টরে ৭ লাখ টাকা পান!
চা উৎপাদনে ভারত দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ
চীনের পরে ভারতকে দ্বিতীয় বৃহত্তম চা উৎপাদনকারী দেশ বলা হয়। কিন্তু আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে চায়ের উৎপাদন কমছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ৩০ বছর আগেও ফসলে পোকামাকড় ছিল না, কিন্তু বর্তমানে রাসায়নিক স্প্রে এতটাই বেড়ে গেছে যে ফসল প্রতিনিয়ত রোগ-বালাইয়ের কবলে পড়ছে। এ ছাড়া বর্ষা আসার কারণে চা বাগানে ওপর থেকে জল পড়তে শুরু করেছে, এতে বাগানগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
চায়ের জন্য উপযুক্ত তাপমাত্রা
১৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা চা উৎপাদনের জন্য ভালো বলে মনে করা হয়। যদি তাপমাত্রা ৩২ ডিগ্রির বেশি হয় বা ১৩ ডিগ্রির নিচে চলে যায় তবে এটি গাছের বৃদ্ধিকে প্রভাবিত করে। এ ছাড়া প্রবল বাতাস, ঠাণ্ডা ও অতিরিক্ত বৃষ্টিও উৎপাদনে খারাপ প্রভাব ফেলে।
আরও পড়ুনঃ গ্রীষ্মকালীন মুগ ডাল চাষ কিভাবে করবেন?