পশ্চিমবঙ্গের ছোট শিল্প: হ্যান্ডলুম থেকে টেরাকোটা রোজ বদলাচ্ছে আকাশের মেজাজ: দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের আবহাওয়ার আপডেট (Weather Update of Bengal) ক্যাপসিকাম চাষে ফলন ভালো, লাভ নেই! সরকারি সাহায্যের অভাবে ক্ষোভে চাষিরা
Updated on: 6 August, 2021 11:14 PM IST
Aman Paddy (Image Credit - Google)

খরিফ মরসুমে আমন ধান চাষে মন দিয়েছেন কৃষকেরা। স্বল্প খরচে অধিক আয়ের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে সুধা পদ্ধতিতে আমন ধান উৎপাদনে জোর দিয়েছে জেলা কৃষি দপ্তর। কৃষি দপ্তর জানিয়েছে, প্রথাগত পদ্ধতির তুলনায় নতুন এই পদ্ধতিতে খরচ অনেকটা কম হয়। বীজতলায় বিজ্ঞানসম্মত ভাবে সুস্থ সবল চারা তৈরি করে উৎপাদন সহজেই বৃদ্ধি করা যাবে। তবে বীজতলায় নিয়মিত আগাছা নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। এই পদ্ধতিতে বর্ষাকালীন বৃষ্টির উপর নির্ভরতাও কমবে। পশ্চিমবঙ্গে বেশ কিছু জেলায় বিভিন্ন ফার্মার্স ক্লাব ও এফপিও’র মাধ্যমে এই চাষ হচ্ছে।

উত্তরবঙ্গে ২০১৭ সালে ময়নাগুড়ির বিভিন্ন ফারমার্স ক্লাব সহ ফারমার্স প্রডিউসার অর্গানাইজেশনের (এফপিও) মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে চাষ শুরু হয়। কৃষি বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, সুধা পদ্ধতিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বীজতলা তৈরি করে সুস্থ ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন চারা তৈরি করতে হবে।

চাষে একর প্রতি বীজ লাগে সাড়ে চার কেজি। বিঘা প্রতি ২২ মন ধান উৎপাদন হবে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে সুধা পদ্ধতিতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বীজতলা ও চারা তৈরি করতে হবে।

বীজতলা (Seedbed) -

এক একর জমির চারা রোপণ করার জন্য বীজতলা করতে পাঁচ ডেসিমেল জমি লাগবে। এই পরিমাণ বীজতলা জন্য ২০০ কেজি জৈব সার, ৫০০ গ্রাম নাইট্রোজেন, ২ কেজি ফসফেটের সঙ্গে ২০০ গ্রাম বরিক পাউডার এবং ৫০০ গ্রাম জিঙ্ক সালফেট ব্যবহার করতে হবে।

এছাড়াও ১৫ দিন অন্তর বীজতলায় প্রতিবারে ৪০০-৫০০ গ্রাম নাইট্রোজেন প্রয়োগ করতে হবে। রোপণের ১০-২০ দিনের মাথায় আগাছা দমন করতে হবে। বীজতলায় ছিপ ছিপে জল রাখতে হবে। চারা তোলার ঠিক সাত দিন আগে বীজতলায় কীটনাশক প্রয়োগ করতে হবে।

চারা রোপন (Plantation) -

বীজতলা থেকে চারা তোলার ঠিক ছ’ঘণ্টার মধ্যেই মূল জমিতে চারা রোপণ করতে হবে। চারা নির্দিষ্ট দূরত্বে গুছিতে একটি করে মূল জমিতে রোপণ করতে হবে।

দীর্ঘমেয়াদি আমন ধানের ক্ষেত্রে ৫০-৬০ দিনের চারা ২০ সেন্টিমিটার বাই ২০ সেন্টিমিটার দূরত্বে বসাতে হবে।

মধ্য ও স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে ৪০-৪৫ দিন বয়সের চারা সারি থেকে সারি ও গাছ থেকে গাছ ২০ সেন্টিমিটার রাখতে হবে।

সার (Fertilizer Application) -

মূল জমিতে দীর্ঘমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে হেক্টর প্রতি সারের পরিমাণ হবে ৮০ কেজি নাইট্রোজেন, ৩২ কেজি ফসফেট এবং ৪০ কেজি পটাশ। অর্থাৎ প্রথম চাপানে একের দুই ভাগ ও দ্বিতীয় চাপানে একের চার ভাগ নাইট্রোজেন যথাক্রমে একের দুই ভাগ পটাশ দিতে হবে।

আরও পড়ুন - Datura Farming - এই মরসুমে ধুতুরা চাষ আপনাকে দিতে দিতে পারে প্রচুর অর্থ

মধ্য ও স্বল্পমেয়াদি জাতের ক্ষেত্রে ৬০ কেজি নাইট্রোজেন, ২৪ কেজি ফসফেট, ৩০ কেজি পটাশ দিতে হবে। এক্ষেত্রে একবার চাপান দিতে হবে একের দুই ভাগ নাইট্রোজেন ও পটাশ।

অনুখাদ্য হিসাবে ১ গ্রাম চিলেটেড জিঙ্ক, ২০ শতাংশ বোরন ২ গ্রাম, ইউরিয়া ১০ গ্রাম প্রতি লিটার জলে গুলে প্রথমে সর্বাধিক পাশকাটি আসার সময় ও দ্বিতীয়বার থোর আসার আগে স্প্রে করতে হবে।

এই সম্বন্ধে আরও জানতে জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন।

আরও পড়ুন - White Fly Management – ফসলে সাদসামাছি নিয়ন্ত্রণের সুসংহত, পরিবেশ বান্ধব ও স্থায়ী কৃষি ব্যবস্থাপনা

English Summary: Know how to cultivate aman paddy in Sudha method In this kharif Season
Published on: 06 August 2021, 03:47 IST