বাড়ির ছাদে জাফরান চাষ করুন, পুরো প্রক্রিয়া এবং যত্নের টিপস জেনে নিন! কেন খিরি জাতের ভেড়া পশুপালকদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠছে? বৈশিষ্ট্য জানুন গ্রীষ্মে ট্র্যাক্টর ইঞ্জিনকে অতিরিক্ত গরম থেকে রক্ষা করার ৫ টি কার্যকর উপায়!
Updated on: 6 February, 2024 2:26 PM IST
প্রতীকী ছবি।

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ শণ একটি অর্থকারি ফসল যা শিম্বগোত্রৌয় শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত এবং প্রাকৃতিক তন্তুর উৎস৷ এই গাছের ইংরেজী নাম ‘সানহেম্প’ (sunnhemp), ‘ইন্ডিয়ান হেম্প’ (Indian-hemp), ‘মাদ্রাজ হেম্প’ (madras-hemp) এবং ‘ব্রাউন হেম্প’(brown hemp)৷ শণের তন্তু তথা বাস্ট ফাইবার হলুদ, মোটা, শক্তিশালী এবং টেকসই যা দড়ি, সুতো, মাছ ধরার জাল, বিশেষ প্রকারের কাপড় ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ৷

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ ও ব্রাজিল এই ফসল উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে৷ ভারতের মধ্যে মহারাষ্ট্র, ওডিশা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ এই ফসল উৎপাদনে অগ্রগণ্য৷ পশ্চিমবঙ্গের  মধ্যে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, মালদা ও নদীয়া জেলায় এই ফসল চাষ করা হয়ে থাকে৷ অনান্য শিম্বগোত্রৌয় ফসলের তুলনায় শণের নাইট্রোজেন আবদ্ধ করার ক্ষমতা সবথেকে বেশি (প্রতি হেক্টরে ৫০ থেকে ৬০ কেজি), তাই এটি একটি উৎকৃষ্ট সবুজ সার জাতীয় ফসল হিসাবেও ব্যবহৃত হয়৷

আরও পড়ুনঃ এবার রাজ্যেও লাম্পি ভাইরাসের হাতছানি, আক্রান্ত ২

শণ চাষে প্রয়োজনিয় জলবায়ু  মাটি

এটি একটি ছোট দিনে ফুল দানকারী ফসল, তবে বড় দিন উদ্ভিদের বৃদ্ধির পক্ষে অনুকূল৷ গ্রীষ্মমন্ডলীয় এবং উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে ফসলটি ভাল জন্মাতে পারে৷ এটি ২৩-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার সীমার মধ্যে এবং ৪০ থেকে ৫০ সেমি বৃষ্টিপাতের তারতম্যের মধ্যে ভালভাবে বিকাশ লাভ করে৷ ভারতের উত্তরের রাজ্যগুলিতে বর্ষাকালে (খারিফ) এবং দক্ষিণাঞ্চলে, যেখানে শীতের প্রভাব কম, সেখানে শীতকালেও (রবি) ফসলটি উৎপাদন করা যায়৷

জমি তৈরি করবে কিভাবে

জমিতে ২ থেকে ৩টি লাঙল দিয়ে মাটি ঝুরঝুরে করে মই দিতে হবে৷ বীজের উপযুক্ত অঙ্কুরোদগমের জন্য বীজ বপনের সময় মাটির আর্দ্রতা ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ থাকা আবশ্যক৷

বীজবপনের পদ্ধতি

ফসল সাধারণত ২৫ থেকে ৩০ সেমি × ৫ থেকে ১০ সেমি ব্যবধানে চাষ করা যায়, তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ বীজ উৎপাদনের জন্য ৩০ × ১০ সেমি দুরত্ব বজায় রেখে ২ থেকে ৩ সেমি গভীরতায় বীজ বপন করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়৷

আরও পড়ুনঃ শণপাট তন্তু উৎপাদনের উন্নত প্রযুক্তি

সারের ব্যবহার বা সার প্রয়োগ

বীজের ফলন বাড়ানোর জন্য নাইট্রোজেন, ফসফেট এবং পটাশ (N:P2O5:K2O) হেক্টর প্রতি যথাক্রমে ২০, ৪০ এবং ৪০ কেজি হারে প্রয়োগ করা অপরিহার্য৷ সম্পুর্ণ পরিমাণ নাইট্রোজেন, ফসফরাস ও পটাশ বীজ বপনের সময় প্রয়োগ করা উচিৎ৷

সেচ পদ্ধতি

শণ সাধারণত প্রচন্ড খরা সহ্য করতে পারে না, এই শস্য বেশিরভাগই বৃষ্টিনির্ভর ফসল হিসাবে চাষ করা হয়৷ তাই বপনের সময় মাটিতে পর্যাপ্ত আর্দ্রতা থাকা প্রয়োজন, তবে ফসলের প্রাথমিক বৃদ্ধির পর্যায়ে কোনো সেচের প্রয়োজন হয় না৷ শণচাষের জন্য ৪০ থেকে ৫০ সেমি. জলের প্রয়োজন৷ কিন্তু বীজ স্থাপন এবং শুঁটি পরিপক্কতার পর্যায়ে দুই থেকে তিনটি হালকা সেচের ব্যবস্থা করা হলে বীজের ফলন বেশি পাওয়া যায়৷

English Summary: Learn how to grow hemp for profit
Published on: 21 September 2022, 04:08 IST