আজ আমরা আপনাদের সঙ্গে এমন একটি গাছের চাষ সম্পর্কে কথা বলব যা আপনাকে কোনো যত্ন ছাড়াই প্রচুর লাভ দিতে পারে। হ্যাঁ, আমরা মেহগনি গাছের কথা বলছি, যা মিশ্র ফসল হিসেবেও ব্যবহার করা যায়। তো চলুন জেনে নেই মেহগনি গাছের চাষ সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য।
ভারতে মেহগনি চাষ
মেহগনি গাছের দাম বছরের পর বছর বাড়ছে এবং ভারতে মেহগনি গাছ লাগানোর এটাই সঠিক সময়। মেহগনি গাছ তুষার অঞ্চল ছাড়া যেকোনো তাপমাত্রায় জন্মায়। উত্তর ভারত এই গাছের চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো । যদিও মেহগনি গাছের চাষ দক্ষিণ ভারতীয় অঞ্চলে ব্যাপক হারে শুরু হয়েছে। মেহগনি গাছ যে কোনো তাপমাত্রায় এবং যেকোনো মাটিতে জন্মাতে পারে। প্রকৃতিগত ভাবে এটি প্রতিটি মাটির জন্য উপযুক্ত। তবে দোআঁশ মাটি এই গাছের জন্য আদর্শ।
মেহগনি চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জল
এই গাছে খুব কম জল লাগে এবং এটাই এই গাছের বিশেষত্ব। তবে আপনাকে প্রাথমিক দিনগুলিতে উদ্ভিদের যত্ন নিতে হবে। এর গাছে প্রতি সপ্তাহে একবার এবং গ্রীষ্মে প্রতি সপ্তাহে দুবার জল দিতে হবে। কিন্তু পরবর্তীতে এত জলের প্রয়োজন হয় না।
মেহগনি গাছ চাষে ব্যবহৃত সার
মেহগনি এমন একটি উদ্ভিদ যা কিছু সময় পরে কোনো সারের প্রয়োজন হয় না। তবে প্রথমের দিকে সার দেওয়া উচিত এবং পরে আপনি বছরে দুবার এটি সার দিতে পারেন। মেহগনি পাতাগুলিও সার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
মেহগনি গাছের জাত
- এন্টেনড্রোফ্রাগমা (সাপেলা মেহগনি)
- নিউজিল্যান্ড মেহগনি বা কোহেকোহে
- ইন্দোনেশিয়ান মেহগনি
- টুনা সুরেনি
- মেলিয়া আজেদারছ
- গোলাপী মেহগনি বা বস
- গুরিয়া
- চট্টগ্রাম (ভারতীয় মেহগনি নামে পরিচিত)
- চুকরাসিয়া ভেলুটিনা
- ভারতীয় মেহগনি
- ফিলিপাইন মেহগনি
মেহগনি কাঠের ব্যবহার
মেহগনি গাছ তার বানিজ্যিক মুল্যের জন্য পরিচিত এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠ হিসাবেও বিবেচিত হয়। এই গাছের কাঠ সৌন্দর্য, স্থায়িত্ব, রঙ, প্রাকৃতিক দীপ্তি, আসবাবপত্র, বাদ্যযন্ত্র এবং জাহাজের অংশগুলির জন্য ব্যবহৃত হয়।
মেহগনি গাছের যত্ন
আপনাকে 40-45 দিনের মধ্যে ছত্রাকনাশক স্প্রে করতে হবে। এর সঙ্গে আপনি অর্গানিক পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন উইপোকা থেকে মুক্তি পেতে।
আরও পড়ুনঃ ভারী বৃষ্টির কারণে ফসলের ক্ষতি, ২৫ শতাংশ ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার
আরও পড়ুনঃ ড্রাগন ফল চাষের জন্য ৩৫ হাজার টাকা ভর্তুকি প্রদান করছে সরকার