শেষ পাতে মিষ্টি রসালো আম বাঙালিদের অন্যতম প্রিয় খাবার। তাই আম আমজনতার সবচেয়ে প্রিয় খাদ্যের তালিকায় বরাবরই থাকে। তবে সম্প্রতি গতানুগতিক আমের পরিবর্তে বাজারে এসেছে এক নতুন আমের নাম। সকলের মুখে মুখে এখন মিয়াজাকির নাম। এই আমের জন্ম জাপানের মিয়াজাকি শহরে। তাই এই আমের নামও রাখা হয়েছে মিয়াজাকি। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফলের মধ্যে অন্যতম। ভারতে প্রথম মধ্যপ্রদেশে এই আমের চাষ হয়।
তবে বর্তমানে এই আমের ফলন দেখা গিয়েছে আমাদের বাংলার বুকেও। ইতিমধ্যেই বীরভূম, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর জেলায় এই আমের ফলন দেখা গিয়েছে। তবে বানিজ্যিক ভাবে চাষ এখনও শুরু হয়নি। একটা গাছ লাগিয়ে আপাতত চলছে পরীক্ষা নিরীক্ষা। পাওয়া গেছে সাফল্যতাও। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কীভাবে এর চাষ করা যায় এবং এই জাতের আমের চারা কোথায় মিলবে।
এগ্রি ফারমিং এর তথ্য অনুযায়ী এই আম চাষের সাধারণ কিছু তথ্য উঠে এসেছে। এই পদ্ধতি গুলি যদি অবলম্বন করা যায় তাহলে অনায়াসেই আপনি মিয়াজাকি আম আপনার বাগানে অথবা ছাদে ফলাতে হবে। এই আম চাষের জন্য প্রথমে যে কাজটি করতে হবে সেটি হল সঠিক জমি দেখা। উঁচু বা মাঝারি উঁচু জমি এই আমের চাষের জন্য আদর্শ। খেয়াল রাখতে জল কোনভাবেই গাছের গড়ায় যাতে না জমে। পাশাপাশি দো-আঁশ ও এঁটেল মাটি এই চাষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ কাগজে কলমে কৃষক খুশি হলেও বাস্তবতা অন্য কিছু
এরপর খেয়াল রাখতে হবে যে স্থানে গাছটি লাগানো হয়েছে সেখানে আলো এবং বাতাস ভারসাম্য যেন সঠিক থাকে। রোদের বেশি প্রয়োজন হয় মিয়াজাকি আমের। এই আমে পোকামাকড় এর উপদ্রব অন্যান্য আমের তুলনায় বেশি হয়। তাই অনেক খেয়াল রাখতে হবে। পাতা সামান্য হলুদ হলেই সেই পাতা কেটে ফেলতে হবে। বর্ষার সময় এই চারা লাগাতে পারেন। কিন্তু খেয়াল রাখতে হবে জল যেন না জমে।
আরও পড়ুনঃ মহাকাশে এবার ফুলের আগমন! অবিশ্বাস্য ছবি শেয়ার করল নাসা
দ্বিতীয় বছর থেকে কীটনাশকের ব্যবহার করতে পারেন। এই গাছে নাইট্রোজেনের অভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। তাই ইউরিয়া এবং অ্যামোনিয়াম সালফেট ব্যবহার করতে পারেন। মাটিতে হাড়ের খাবার যোগ করতে পারেন এতে ফসফরাসের ঘাটতি কমবে। পটাসিয়াম মিউরেট এবং ম্যাগনেসিয়াম ফসফেট ব্যবহার করতে পারেন। আগাছা নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে মালচিং পদ্ধতি অবলম্বন করুন।
মিয়াজাকির চারা পেতে হলে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। পাশাপাশি বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এই গাছের চারা বিক্রি হয় যেমন আমাজন, ফ্লিপকারট। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন নার্সারিতেও এই গাছের চারা পাওয়া যাচ্ছে।
Share your comments