কৃষিজাগরন ডেস্কঃ চা বাগানে গ্লাইফোসেট ব্যবহারে বিধি নিষেধ আরোপ করল কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রক।কৃষি মন্ত্রকের তরফ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, লাইসেন্সধারী পেস্ট কন্ট্রোল অপারেটার্সরা(পিসিও) ছাড়া আর কেউ ওই আগাছানাশক ব্যবহার করতে পারবেন না। এতেই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছে উত্তরবঙ্গের চা শিল্প মহল।
জমিতে আগাছানাশক ব্যবহারের জন্য এখানে সেরকম পিসিও নেই। থাকলেও তাঁদের কাজকর্ম শহরকেন্দ্রিক। বাড়ি ঘর, শপিং মল, খাদ্য সংরক্ষণ, কল কারখানার উৎপাদনের মতো কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের কাজ সীমাবদ্ধ। এমন অবস্থায় যদি বাগানের আগে থেকেই প্রশিক্ষিত স্প্রে-কর্মীদের মাধ্যমে গ্লাইফোসেট এর ব্যবহার করা সম্ভব না হয় তবে চা শিল্প মুখ থুবড়ে পড়বে।
আরও পড়ুনঃ রমরমিয়ে চলছে সারের কালোবাজারি,বিপাকে কৃষকরা
নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়ে ইতিমধ্যে শিল্প-বাণিজ্য মন্ত্রকের কাছে চিঠি দিয়েছে টি অ্যাসোসিয়েশন সহ একাধিক চা বণিক সংগঠন। চা শিল্পকে কৃষি মন্ত্রকের ওই নির্দেশিকার আওতার বাইরে রাখার জন্য আবেদনও করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে চা শিল্পের নিয়ন্ত্রক সংস্থা টি বোর্ড-ও।
বিশষজ্ঞদের মতে , চা গাছের গোড়ায় জন্মানো আগাছা সময়মতো নির্মুল করতে না পারলে উৎপাদনের ওপর বড় ধাক্কা নেমে আসবে। এর পাশাপাশি হেক্টর পিছু চা আবাদী জমি থেকে নানা ধরনের আগাছা ২৫০ কিলোগ্রাম নাইট্রোজেন মাটি থেকে টেনে নেয়। চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই আগাছা দমনের জন্য গ্লাইফোসেডই বাগানগুলির কাছে একমাত্র হাতিয়ার। ফুড সেফটি স্ট্যান্ডার্ড অথোরিটি অফ ইন্ডিয়ার (এফএসএসএআই) মানদন্ড মেনেই চা বাগানে গ্লাইফোসেট ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুনঃ ভেজাল আলুবীজ বাজারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা কৃষকদের
পাশাপাশি যে শ্রমিকরা ওই রাসায়নিক স্প্রে-র কাজ করেন তাঁদের ধারাবাহিকভাবে চা গবেষণা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। যদিও তাঁদের ওই সংক্রান্ত সংশাপত্র প্রদানের কোন নিয়ম এখনো নেই। চা মহল চাইছে চা গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠানগুলির মাধ্যমে প্রশিক্ষণের পর টি বোর্ড স্বীকৃত সংশাপত্র ওই স্প্রে শ্রমিকদের হাতে তুলে দিলে পিসিওদের দুষ্প্রাপ্যতার সমস্যা এখানে দূর হতে পারে।