'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 10 January, 2024 6:42 PM IST
তামাক গাছ । Photo Credit: Hendrik128

Tobacco Cultivation: তামাক ভারতের একটি অন্যতম (Cash Crop) অর্থকরী ফসল। ভারতবর্ষে তামাক চাষ হয় মাত্র ০.৪৫ মিলিয়ন হেক্টর জমিতে। তামাক উৎপাদনে ভারতবর্ষ বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে।ভারতবর্ষে কম-বেশী প্রায় সকল রাজ্যেই তামাক চাষ হয়ে থাকে, তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি রাজ্য হল- অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাট, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশ।

তামাকের প্রায় ৬০ টি প্রজাতি রয়েছে তার মধ্যে দুটি প্রজাতি চাষ করা হয়ে থাকে, দেশী কিংবা ভার্জিনিয়া (Nicotiana tabacum) তামাক প্রায় সব রাজ্যেই চাষ করা হয়ে থাকে।

তবে বিলাতি বা মতিহারি (Nicotiana rustica) তামাক কিন্তু উত্তর ও উত্তরপূর্ব রাজ্য গুলিতে চাষ করা হয়ে থাকে, যেখানে তাপমাত্রা কম। কেন্দ্রীয় তামাক গবেষণা কেন্দ্র অন্ধ্রপ্রদেশের রাজামান্দ্রিতে অবস্থিত। পশ্চিমবঙ্গের দিনহাটাতে (কোচবিহার)তামাক গবেষণা কেন্দ্রের শাখা আছে।

অন্তর্বর্তী পরিচর্যা(Interim care)

চারা রোপনের ৭-৮ দিনের মধ্যে নতুন শেকড় ছাড়ে, এ সময় কোদাল বা খুরপি দিয়ে মাটি আলগা করে দিতে হয়, ঢেলার সৃষ্টি হলে তা ভেঙে দিতে হয়। তামাক জমিতে কমপক্ষে প্রায় ৩ বার আগাছা নিড়ানো দরকার। শেষ নিড়ানোর সময় দুই সারি তামাক গাছের মাঝ-খানের মাটি তুলে গাছের গোড়ায় দিতে হবে। ফলে দুই সারির মাঝে জল নিষ্কাশনের জন্য ছোট নালা সৃষ্টি হয় এর ফলে গাছ ও বেশ শক্ত ও পুষ্ট হয়। জমিতে জলের পরিমাণ বুঝে ২-৩ বার সেচ দিতে হতে পারে। হঠাৎ বৃষ্টি হলে যেন জমিতে জল না জমে সেদিকে নজর রাখা প্রয়োজন।

আরও পড়ুন -Amazon Launches Kisan Store: অ্যামাজন চালু করলো কিষান স্টোর, দেখুন কৃষকবন্ধুরা কি সুবিধা পাবেন

মাথা / ডগা ভাঙ্গা(Topping)

গাছে ফুল আসার সাথে সাথে আগল/মাথা ভাঙার কাজ শুরু করতে হবে। মাথা ভাঙার ফলে তামাকের ফলন ভালো হয় এবং উৎকৃষ্ট মানের তামাক তৈরি হয়। ১৫-১৮ টি পাতা রেখে গাছের ফুলসুদ্ধ ডগা ভাঙাকে আগল/মাথা ভাঙ্গা বলা হয়।

কক্ষ মুকুল / কুশি ভাঙ্গা(De-Suckering)

আগল ভাঙ্গার কয়েকদিন পরেই পাতার গোড়া থেকে কুশি বের হয়। তাই কুশি গুলো ৮-১০ সেন্টিমিটার হলেই ভেঙ্গে ফেলতে হবে। তামাক গাছের নিচের ৩-৪ টি পাতাকে বিষ পাতা বলে, ঐ পাতা গুলোকেও ভেঙ্গে ফেলতে হবে। ফলে জমিতে আলো বাতাস চলা-চল ভালো হয় এবং গাছের বৃদ্ধি ভালো হয়।

টোব্যাকো মোজাইক ভাইরাস / হলদে কুটে রোগ

টোব্যাকো মোজাইক ভাইরাসের আক্রমণে মোজাইক রোগ হয় আক্রান্ত গাছের পাতার উপর সবুজ ও হালকা হলুদ রঙের বিভিন্ন নক্সার মতো দেখা যায়। আস্তে আস্তে পাতা বিবর্ণ হয়ে যায় ফলে ফলন অনেক কমে যায়।

প্রতিকার

১) আক্রান্ত গাছ তুলে পুঁতে ফেলতে হবে।

২) সুস্থ চারা গাছ দেখে রোপন করতে হবে।

৩) শোধন করা বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে হবে।

৪) তামাক কাটার পর ক্ষেতের পরিত্যক্ত অংশ পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

ফসল তোলা ও কিউরিং (শুকানো)

তামাক তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের ফসল। পাতাই তামাকের প্রধান অর্থকরী অংশ, তাই উপযুক্ত সময়ে পাতা সংগ্রহ করতে হয়। পাতার রং হলুদ সবুজ হলে গোড়ার দিকের পাতা তুলে নেওয়া হয়। সিগারেট তামাকের পাতা মাঘ-ফাল্গুন মাসে এবং হুঁকা তামাকের পাতা চৈত্র মাসে সংগ্রহ করা হয়ে থাকে। একবারে ২-৩ টির বেশি পাতা তোলা উচিত নয়। পাতার পরিপক্কতার উপর নির্ভর করে প্রায় ৪-৫ বার পাতা সংগ্রহ করতে হয়। কোনো কোনো সময় গোটা গাছ কেটেও ফসল তোলা হয় তবে সেক্ষেত্রে গুণগত মান একটু খারাপ হয়। তামাক পাতা শুকনো হওয়ার উপর তামাকের গুণগতমান নির্ভর করে। বেশ কয়েকটি উপায়ে তামাক পাতা শুকনো করা হয়ে থাকে যেমন-

গর্তে শুকানো

প্রায় ৩ ফুট লম্বা, ৩ ফুট চওড়া এবং ২.৫ ফুট গভীরতা যুক্ত গর্তের ভেতর ও তলায় খড় বিছিয়ে দেওয়া হয়। এর পর স্তরে স্তরে আধা শুকানো (রৌদ্রে) তামাক পাতা গর্তে সাজানো হয় এবং উপরে আবার খড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। এই রকম ভাবে রেখে দিলে মোটামুটি এক সপ্তাহের মধ্যে পাতা শুকিয়ে যাবে। পরে প্রয়োজন হলে ওই পাতা গুলোকে রোদে শুকিয়ে নিলে ভালো হয়। সাধারণত খৈনি, জর্দা, হুকা ও নস্যির তামাক এই পদ্ধতিতে শুকনো করা হয়।

ছায়ায় শুকানো

এই পদ্ধতিতে শুকনো করার জন্য ঘরের মধ্যে খুঁটি পুঁতে তাতে লম্বা-লম্বি ভাবে দড়ি বা তার টাঙিয়ে দেওয়া হয়, তারপর তামাক পাতা ওই দড়ির উপর বেঁধে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এই ভাবে পাতা গুলো আস্তে আস্তে হলুদ হয়ে যায় তারপর ওই পাতা গুলোকে রোদে শুকিয়ে প্যাকেট করা হয়। কম দামী সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ইত্যাদির জন্য এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

নিয়ন্ত্রিত তাপে শুকানো

এই পদ্ধতির জন্য বিশেষ ধরনের ঘর দরকার হয়, যাকে সাধারণত বার্ন হাউস বলে। এই কক্ষটি ছোট, মাঝারি ও বড় সব রকমের হয়ে থাকে এবং এখানে তাপ প্রবাহের জন্য চুল্লি ও বাতাস চলাচলের জন্য ভেন্টিলেটর থাকা প্রয়োজন। দামী উন্নত মানের সিগারেট তৈরির জন্য এই পদ্ধতির ব্যবহার হয়। আক্রান্ত জমিতে কাজ করা শ্রমিকদের ভালো ভাবে হাত-পা ধুয়ে নতুন জমিতে কাজ করতে যাওয়া প্রয়োজন।

রোদে শুকানো

তামাক পাতা সহ গাছ গোড়াতে কেটে এক-দু দিন গাদা করে ফেলে রাখা থাকে। তারপর সকালের দিকে তামাক পাতা বা গাছ গুলো রোদে দেওয়া হয়। বিকাল পর্যন্ত শুকানোর পর সন্ধ্যায় ঘরে এনে গাদা করে রাখা হয়। পরে আবার রোদে দেওয়া হয়। এই ভাবে তামাক ভালোভাবে শুকিয়ে গেলে ছোট ছোট আঁটি বেঁধে সংগ্ৰহ করা হয়। হুঁকা, বিড়ি প্রভৃতির জন্য এই পদ্ধতির ব্যবহার হয়ে থাকে।

ফলন

সাধারণত ভারতবর্ষে উৎপাদিত তামাকের (শুকনো) হেক্টর প্রতি ফলন হয় গড়ে ৭৫০-১০০০ কেজি।

English Summary: Tobacco Cultivation: Learn the complete method and care of tobacco cultivation
Published on: 06 September 2021, 02:07 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)