বিকল্প আয়ের উৎস: কোয়েল পাখি পালন

কোয়েলের আদি জন্মস্থান জাপানে। সর্বপ্রথম জাপানিরা কোয়েলকে গৃহপালিত পাখি হিসাবে পোষ মানিয়েছে। পরবর্তীতে জাপান সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কোয়েলকে একটি লাভজনক পোলট্টি উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

KJ Staff
KJ Staff
কোয়েল পাখি পালন.....

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ কোয়েলের আদি জন্মস্থান জাপানে। সর্বপ্রথম জাপানিরা কোয়েলকে গৃহপালিত পাখি হিসাবে পোষ মানিয়েছে। পরবর্তীতে জাপান সহ পৃথিবীর অন্যান্য দেশে কোয়েলকে একটি লাভজনক পোলট্টি উপাদান হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। কোয়েল পালন করার জন্য অতিরিক্ত বা বাহুল্য কোন খরচ হয় না। বাড়ির যেকোন কোণ বা আঙিনা অথবা বাড়ির ছাদ ইত্যাদি জায়গাতেও কোয়েল পালন করা যায়। এই কারণে, শহরে কী গ্রামে অনেক সব স্থানেই কোয়েল পালন সহজতর।

গৃহপালিত পাখির মধ্যে অতি ক্ষুদ্র এই পাখির আয়তন খুব বেশি নয়। একটি মুরগি পালনের স্থানে মোটামুটিভাবে ১০-১২টি কোয়েল পালন করা যায়।বিষেশজ্ঞদের দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে এখানকার আবহাওয়া কোয়েল পালনের জন্য সর্বাধিক উপযোগি। এই কারণে, বিভিন্ন হাস মুরগির খামারেও ইদানিং কোয়েল পালন ব্যাপকভাবে সাড়া জাগিয়েছে। দেশের পুষ্টি মিটিয়ে ইদানিং কোয়েলের মাংস বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ হাঁস পালন কতটা লাভজনক? জানলে চমকে যাবেন

কোয়েল পালনের বিভিন্ন সুবিধা সমূহঃ

(১) সাধারণত একটি ভাল জাতের কোয়েল বছরে ২৫০ থেকে ৩০০টি ডিম প্রদানে সক্ষম হয়ে থাকে। এই ডিমগুলোর প্রায় প্রতিটি থেকেই বাচ্চা পাওয়া যায়। এই বাচ্চা পরবর্তীর ৬ থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যেই খাওয়া বা বিক্রির উপযোগী হয়। পাশাপাশি এই বয়সে তারা ডিম দেয়া শুরু করতে পারে।

(২) অত্যন্ত কম পুজি নিয়ে কোয়েলের খামার তৈরি করা যায়। কোয়েল পালন করতে বিশেষ কোন জায়গা বা বিশেষ কোন থাকার স্থান নির্বাচন করতে হয় না।

(৩) কোয়েলের আকার ক্ষুদ্র বলে এদের লালন পালনের জন্য বিস্তৃত জায়গা প্রয়োজন হয় না। ছোট আকারের একটি খাচাতেই কোয়েল পালন করা যায়। একটি প্রমাণ সাইজের মুরগির জন্য যে পরিমাণ জায়গা প্রয়োজন হয়। সেই একই জায়গা কমপক্ষে ১২টি কোয়েল পালন করা যায়।

আরও পড়ুনঃ রাজ্যজুড়ে কৃষক আত্মহত্যার প্রতিবাদে শুভেন্দুর নেতৃত্বে পথে নামছে বিজপি

(৪) রোগ ব্যাধির দিকে থেকে কোয়েল খুবই লাভজনক বিনিয়োগ। কারণ, কোয়েলের রোগ ব্যাধি প্রায় হয় না বললেই চলে। যেহেতু কোয়েলের রোগ ব্যাধি কম হয় সুতরাং এদের জন্য বাড়তি চিকিৎসা ব্যবস্থার তেমন প্রয়োজন হয় না।

(৫) খুবই অল্প সময়ের মধ্যে একটি বাচ্চা কোয়েল ডিম দিয়ে থাকে। সাধারণত ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ বয়সেই একটি কোয়েল ডিম প্রদান করে থাকে। এদের ডিম খুব সুস্বাদু ও পুষ্টিকর। পুষ্টিমানের দিক থেকে মুরগির ডিমের সাথে তা তুলনীয়।

(৬) কোয়েলের জন্য বিশেষ কোন খাবার সরবরাহ করতে হয় না। এদের খাদ্য চাহিদা কম অথচ, শারীরিক বাড় খুব বেশি। এরা খুব দ্রুত বাড়তে পারে। দিনে ২০ থেকে ৩০ গ্রাম খাবার দিলেই এরা এদের শারীরিক ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারে।

(৭) একটি পরিণত বয়সের কোয়েল বছরে ২৫০ থেকে ৩০০টি ডিম প্রদান করতে পারে। সেই হিসেবে একটি কোয়েলের পেছনে যে টাকা বিনিয়োগ করা হয় সেই টাকা অল্প কিছুদিনের মধ্যেই লাভসহ ফেরত পাওয়া যায়।

(৮) কোয়েলের ডিম থেকে ১৭-১৮ দিনের মধ্যেই সব বাচ্চা ফুটে বের হয়। এই বাচ্চা পরিণত কোয়েলে রূপান্তরিত হতে সময় লাগে ৬ থেকে ৭ সপ্তাহ।

(৯) কোযেলের মাংসে চর্বির পরিমাণ খুব কম বলে যে কোন রোগীর পথ্য হিসেবে কোয়েলের মাংস ব্যবহৃত হতে পারে। কোয়েলের ডিম পর্যাপ্ত পুষ্টির চাহিদাও মেটাতে পারে। এই কারনে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কোয়েল পালন অত্যন্ত লাভজনক পদ্বতি।

১০০ টি পাখির খরচঃ

১টি ১৫-২০ দিনের বাচ্চার দাম ২৫-৩০ টাকা (বড় বাচ্চার মৃত্যুর হার কম)। একটি খাচায় ২৪ ফুট নেট দরকার ।৩ফুট উচ্চতার নেটের দাম ১০০-১২০ টাকা পার ফুট । খাবারের দাম পার কেজি ৩৫-৪০ টাকা । মাসিক খাবার লাগে ৫৫-৬০ কেজি । খাচার চালার জন্যে চাটাই ব্যাবহার করা যায় এবং উপরে পলিথিন দিলেই চলবে।

: সুদীপ নন্দী

: দেবাশীষ মাহাত

Published On: 28 March 2023, 02:38 PM English Summary: Alternative source of income: Quail rearing

Like this article?

Hey! I am KJ Staff . Did you liked this article and have suggestions to improve this article? Mail me your suggestions and feedback.

Share your comments

আমাদের নিউজলেটার অপশনটি সাবস্ক্রাইব করুন আর আপনার আগ্রহের বিষয়গুলি বেছে নিন। আমরা আপনার পছন্দ অনুসারে খবর এবং সর্বশেষ আপডেটগুলি প্রেরণ করব।

Subscribe Newsletters