এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 25 November, 2020 12:07 PM IST
Rabbit farm

প্রাণী পালনের ক্ষেত্রে খরগোশ পালন খুব একটা প্রচলিত নয়। কিন্তু আয় বাড়ানোর জন্য খরগোশ পালন একটি কম খরচের সুবিধাজনক উদ্যোগ। সাধারণত খরগোশ পালন করা হয় মাংসের চাহিদা মেটানোর জন্য। কিন্তু মাংস ছাড়াও খরগোশের চামড়া থেকে উৎকৃষ্ট পশম পাওয়া যায়, যার বাজারমূল্য বেশ ভালো।

খরগোশ পালনের সুবিধাগুলি হল (Benefits of rabbit rearing) -

  • পালন শুরু করার প্রাথমিক খরচ অনেক কম।
  • অল্প জায়গায় পালন করা সম্ভব।
  • খরগোশ অত্যন্ত শান্ত প্রকৃতির ও আকারে ছোটো হওয়ায় পালনের পক্ষে সুবিধা হয়।
  • অল্প খাদ্য খেয়ে খরগোশ বেশি বাড়তে পারে এবং এদের প্রজনন ক্ষমতাও অনেক বেশি, ফলে কম সময়ে বেশি আয় হয়।
  • খরগোশ সব রকম সবুজ শাকপাতা খায়।
  • এদের রোগ সমস্যা অনেক কম।
  • দেহে হাড়ের অনুপাতে মাংসের পরিমাণ অনেক বেশি।
  • খরগোশের মাংসে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কম। তাই শিশু, বৃদ্ধ এবং রুগীদের জন্য আদর্শ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য - ফলে বাজারে চাহিদা ভালো।
  • খরগোশের মাংসের ক্ষেত্রে কোনো ধর্মীয় বিধি-নিষেধ নেই, তাই সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য. খরগোশের মল-মূত্র উৎকৃষ্ট জৈবসার হিসাবে ব্যবহার করা যায়।

অল্প জায়গায় বেশি সংখ্যক খরগোশ পালন করা যায়। এছাড়া বাঁশের তৈরি খাঁচাতে খরগোশ বড়ো হলে শাকপাতা, তরিতরকারি, ভুট্টার গুঁড়ো, বাদাম খোল, মিশিয়ে খাওয়ানো যাবে। আবার বড়ি আকারের সুষম খাবারও দেওয়া যায়। ভিটামিন এবং খনিজ লবণ জলে গুলে খাওয়াতে হবে। এর সঙ্গে কিছু কিছু সবুজ শাকপাতা ও পরিষ্কার পানীয় জলের ব্যবস্থা রাখতে হবে আলাদা ভাবে।

স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মাধ্যমে বা ব্লক প্রাণী পালন আধিকারিকের সাহায্য নিয়ে খরগোশ বিক্রি করা যেতে পারে। খরগোশের মাংস থেকে বিভিন্ন উপায়ে নানা রকম উপাদেয় খাবার বানানো যায়। আগেই আলোচনা করা হয়েছে, মাংস ছাড়াও খরগোশের চামড়া থেকে উৎকৃষ্ট পশম পাওয়া যায়, যার বাজারমূল্য অনেক বেশি।

Profitable business- rabbit rearing

রোগ ও তার পরিচর্যা (Disease and its care) -

খরগোশদের সাধারণত ককসিডিয়া, পেটফোলা, কৃমিরোগ, নিউমোনিয়া ইত্যাদি রোগ দেখা যায়। এই সব রোগের লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রাণী-চিকিৎসকের (ডাক্তরবাবুর) সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

রোগে বা অন্য কোনো কারণে খরগোশ মারা গেলে, চুরি হয়ে গেলে, হারিয়ে গেলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। লোকসানের হাত থেকে রক্ষার পাওয়ার জন্য খরগোশের বিমা করে রাখা দরকার। বিমা করা থাকলে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায়। বিমা করার পর প্রতিবছরই বিমার টাকা (প্রিমিয়াম) জমা দিতে হবে। কয়েকটি বিমা সংস্থার নাম নিম্নে উল্লেখ করা হল। বিমা করা বা ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্য জেলা বা মহকুমা শহরে বিমা কোম্পানিগুলির কার্য্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

সূত্র: পঞ্চায়েত এন্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট, গভর্নমেন্ট অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল

বিমা সংস্থার নাম -

  • ExoticDirect Rabbit Insurance

  • Petplan Rabbit Insurance
  • Helpucover Rabbit Insurance
  • NCI Rabbit Insurance
  • 4Paws Rabbit Insurance
  • InsureandGo Rabbit Insurance
  • Pets At Home Rabbit Insurance

Image source - Google

Related link - (Quail bird firming) কৃষকবন্ধুরা আয় বাড়াতে কৃষিকাজের সাথে করুন কোয়েল পাখির চাষ

English Summary: Commercial rabbit rearing is a low cost convenient enterprise
Published on: 25 November 2020, 12:07 IST