এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 22 October, 2021 12:40 PM IST
Duck farming (image credit- Google)

গ্রামীণ অর্থনীতিতে হাঁস পালন একটি লাভজনক ব্যবসা | প্রথম দিকে ছোট আকারের খামার করা ভালো। পরবর্তীতে বাণিজ্যিক আকারে খামার করা যেতে পারে। ডিম পাড়ার জন্য লেয়ার হাঁস পালন করতে হয়। এগুলোর মধ্যে খাকি ক্যাম্বল, ইন্ডিয়ান রানার, দেশি পাতি হাঁস উল্লেখযোগ্য। মাংসের জন্য অন্যান্য প্রজাতির হাঁস পালন করতে হয়।

ছোট হাঁসের বাচ্চা দিনে কমপক্ষে এক ঘণ্টা করে দুই বার পানিতে ছাড়তে হবে। হাঁসের প্রাকৃতিক খাদ্যের প্রতি লোভ বেশি থাকায় সব সময় পানিতে থাকতে চায়। বাচ্চা হাঁসকে বেশি সময় পানিতে রাখা যাবে না সে ক্ষেত্রে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা থাকে। পূর্ণবয়স্ক হাঁস দিনে ৮-১০ ঘণ্টা পানিতে সাতার কাটাতে পারে |

খাদ্য

খাবার শুকনো অবস্থায় খাওয়ালে অবশ্যই সঙ্গে পানির পাত্র রাখতে হবে। বাচ্চা হাঁস খাবার মুখে পুরেই পানির সাহায্যে গিলে ফেলে। এ সময় বাচ্চা হাঁস সাবলীলভাবে বেড়ে উঠবে। পরবর্তীতে নিজেদের তৈরি করা খাদ্য খাওয়ানো যাবে। তৈরিকৃত খাদ্যে উপাদান সঠিকভাবে থাকায় বাচ্চার বৃদ্ধি ঠিক মতো হয়। নিজেদের তৈরিকৃত হাঁসের খাদ্য তালিকায় যেসব উপাদান থাকা আবশ্যক তা হলো ধান, চাউলের কুড়া, চাউলের খুদ, গম ভাঙা, গমের ভুষি ইত্যাদি।

এসব দ্রব্য ভালোভাবে মিশিয়ে হাঁসকে খেতে দিতে হবে। তাছাড়া শামুক, ঝিনুক ভেঙে খাওয়ানো যায়। ছোট বাচ্চাকে শামুক-ঝিনুক খুবই অল্প পরিমাণে খাওয়ানো যেতে পারে। উন্নত জাতের হাঁসের খাদ্য চাহিদা কম। এরা সাধারণত ১৬০-১৮০ গ্রাম খাদ্য প্রতিদিন খেয়ে থাকে। হাঁসের দিনের খাবার তিন ভাগে ভাগ করে সকাল, দুপুর ও বিকেল বেলা দিতে হবে। গৃহপালিত হাঁসকে নির্দিষ্ট সংকেতে ডাক দিলে তারা খাবার খেতে চলে আসে। আবার প্রত্যেক দিন নির্দিষ্ট সময় খাবার দিলে ঠিক ওই সময় তারা খাবার খেতে চলে আসবে। হাঁসের বাচ্চা পরিপূর্ণ হয়ে গেলে সে ক্ষেত্রে মাছের পোনা ছাড়তে হলে একটু সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। ছোট মাছের পোনা হাঁস ধরে ফেলে বা খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। এ ক্ষেত্রে ১৫ দিনের মতো পূর্ণবয়স্ক হাঁসকে বদ্ধ অবস্থায় পালন করা যেতে পারে।

আরও পড়ুন -Piggery farming process: ঘুঙরু শুয়োর পালনে অধিক উপার্জন করুন

ডিম সংগ্রহ :

সব জাতের হাঁসি সাধারণত ২২-২৩ সপ্তাহের মধ্যে ডিম পাড়া আরম্ভ করে। ডিম পাড়া শুরুর পূর্বে হাঁসিকে সঠিকভাবে খাদ্য দিতে হবে। যদিও ডিম পাড়ার ১৫ দিন আগে থেকে তাদের খাদ্য চাহিদা কমে যায়। ডিম পাড়া অবস্থায় তাদের খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ডিম পাড়া অবস্থায় হাঁসিকে পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারের জোগান দিতে পারলে দীর্ঘদিন ধরে ডিম পাওয়া যায়। হাঁসি সাধারণত খুব সকাল বা সকালের দিকে ডিম পাড়ে। এজন্য হাঁসিকে খুব সকালে ঘর থেকে ছাড়া যাবে না। একটু দেরি করে ছাড়তে হবে নতুবা পানির মধ্যে ডিম পাড়ার প্রবণতা দেখা যাবে।

প্রথম অবস্থায় হাঁসির ডিম একটু ছোট আকারের হলেও পরবর্তীতে তা স্বাভাবিক আকারের হয়ে যায়। হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের চেয়ে আকারে বড় ও ওজন বেশি হয়। সকালের ডিম সংগ্রহ করার সময় খাদ্য খেতে দিতে হবে। ডিম সংগ্রহের পর ওই ডিমে বিষ্ঠা লেগে থাকলে তা পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলতে হবে। যদি কোন হাঁসি ডিম না পাড়ে সে ক্ষেত্রে ওই হাঁসিটি চিহ্নিত করে ঝাঁক থেকে বাদ দিতে হবে।

এজন্য হাঁসির সংখ্যা ও ডিম উৎপাদন নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করতে হবে। হাঁসি ডিম পাড়বে কি পাড়বে না তা হাত দিয়ে ডিমের থলি পরীক্ষা করে বোঝা যায়। শুধু ডিমের জন্য হাঁস পালন করলে ওই হাঁসের সঙ্গে কোন পুরুষ হাঁস রাখার দরকার নেই। কিন্তু ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর প্রয়োজন হলে ৭-৮টি হাঁসির জন্য ১টি হাঁসা (পুরুষ হাঁস) পালন করতে হবে।

হাঁসের রোগ :

মুরগির তুলনায় হাঁসের রোগ-বালাই খুবই কম বলেই হাঁস পালন করা খুব সহজ। হাঁসের প্রধান রোগ হলো ডাগ প্লেগ, ডাক কলেরা, প্যারালাইসিস ইত্যাদি। এছাড়াও অন্যান্য রোগে হাঁস আক্রান্ত হতে পারে। হাঁসের ভ্যাকসিন নিকটস্থ সরকারি প্রাণিসম্পদ হাসপাতাল থেকে সংগ্রহ করতে হয়। ঝাঁকের মধ্যে কোন হাঁসের আচরণ অস্বাভাবিক পরিলক্ষিত হলে তাকে হাঁসের ঝাঁক থেকে আলাদা করে রাখতে হবে এবং পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যদি হাঁসটির কোন রোগ হয়ে থাকে অথবা আঘাতপ্রাপ্ত হয় সেক্ষেত্রে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে হবে। হাঁসের যে কোন রোগ সম্পর্কে জানার জন্য উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

আরও পড়ুন -Turkey farming process: জেনে নিন আধুনিকভাবে টার্কি পালন পদ্ধতি

English Summary: Duck farming process: Learn the easy way to raise ducks in the pond
Published on: 21 October 2021, 06:00 IST