বিহারের মোতিহারি জেলার অধিবাসী, কৃষক যতীন্দ্র কাশ্যপ মাছের ব্যবসার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা কামাচ্ছেন। যদিও বেশিরভাগ কৃষক কৃষিতে অর্থনৈতিকভাবে অসফল হয়ে উঠছে, তবে যতীন্দ্র কাশ্যপ -এর মতো কৃষকরা মাছ চাষের জন্য অন্যদের অনুপ্রেরণা দিচ্ছেন। বিহার সরকার মৎস্য চাষকে উৎসাহিত করছে এবং মাছ চাষের পুকুর নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ টাকা অনুদান করছে। মাছ চাষের জন্য একটি পুকুর নির্মাণ করতে প্রায় ১২-১৫ লাখ টাকা লাগে। যাইহোক, অনেকে এই ঝুঁকি নিতে ইচ্ছুক কারণ বিনিয়োগের উপর ফেরতের হার অনেক বেশী। যতীন্দ্র বলছেন যে পাঁচ বছর আগে যখন তিনি মাছ চাষের ব্যবসা শুরু করেন, তাকে অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছিল কারণ তিনি এই ক্ষেত্রে ব্যবসায়ের খুঁটিনাটিও কৃষির পদ্ধতি সম্পর্কে খুব ওয়াকিবহাল ছিলেন না। তবে, তিনি ধীরে ধীরে সময়ের সাথে ব্যবসার খুঁটিনাটি সম্বন্ধে জ্ঞান অর্জন করেন এবং এখন তিনি মাছ চাষের ব্যবসা থেকে ভালো মুনাফা অর্জনে সক্ষম হচ্ছেন। যেহেতু শুরুতে প্রয়োজনীয় জ্ঞানের অভাব ছিল, তাই তিনি আরও তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন।
বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করার পর, তিনি শিখেছিলেন যে মাছ চাষে নতুন কৌশল ও পদ্ধতি চালু করতে পারলে মাছ চাষ আরও লাভজনক হয়ে উঠবে। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে হ্যাচারি থেকে নবজাতক মাছের দাম প্রায় ৫ লাখ টাকা। এক মাসে যদি পাঁচটি মাছ হ্যাচারি থেকে নেওয়া হয় তবে মাসিক আয় ২0 লাখ টাকা হবে। বাজারে এই মাছের চাহিদা ছয় মাস স্থায়ী হয়। তিনি ২৫ একর পুকুরে ৫০ টন মাছ চাষ করে প্রায় ৭৫ লাখ টাকা আয় করেন। তিনি পেশা হিসাবে মাছ চাষ করার জন্য তাঁর গ্রামের অনেককে অনুপ্রাণিত করেছেন।
আরও পড়ুন পেঁপে চাষ করে আয় করুন মাসিক ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা
যেহেতু এই এলাকায় জল সম্পদ প্রচুর পরিমাণে রয়েছে, তাই এখানে কৃষক এই ব্যবসায়ের মাধ্যমে মুনাফা অর্জন করতে পারে। মৎস্য চাষের উন্নয়নে সরকারের গভীর আগ্রহের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলি সক্রিয়ভাবে মাছের চাষের জন্য উপযুক্ত ক্ষুদ্র পুকুরের সন্ধানের চেষ্টা শুরু করেছে। যেহেতু, এখানকার আবহাওয়া ও জল সম্পদ মাছ চাষের জন্য উপযুক্ত, তাই সরকারের উদ্যোগ বিহারের কৃষকদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে।
- দেবাশীষ চক্রবর্তী