কৃষিজাগরন ডেস্ক: কোভিড যেমন মানুষকে সংক্রামিত করেছে, তেমনি লম্পি ভাইরাস গবাদি প্রানীদের সংক্রামিত করছে। দেশে লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার পশু মারা গেছে। কিছু রাজ্যে ভাইরাসের প্রকোপ থেমে গেছে, তবে কিছু রাজ্য রয়েছে যেখানে এখনও ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে। কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তায়, রাজ্য সরকার ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে টিকা অভিযান জোরদার করছে। কর্মকর্তাদের দল প্রতিটি জেলায় পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছে।
সুত্রের খবর, গত ৭ দিনে মহারাষ্ট্রে ৭ হাজারেরও বেশি প্রাণী মারা গেছে।লম্পি ভাইরাসের ঘটনা কমেছে, কিন্তু এর বিস্তার থামছে না। দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, লম্পি ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সম্ভাব্য সব ধরনের চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজ্যে ৯৯.৯৭ শতাংশ টিকাকরন সম্পন্ন হয়েছে। যেসব প্রানীকে এখনও টিকা দেওয়া সম্ভব হয়নি তাদেরও চিহ্নিত করে টিকা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ এবার রাজ্যেও লাম্পি ভাইরাসের হাতছানি, আক্রান্ত ২
৩৫টি জেলায় এই ভাইরাসের বিস্তার খুব দ্রুত হয়েছে। মহারাষ্ট্রে, প্রথমে ১২টি, তারপর ১৫টি, পরে ২৪টি এবং এখন ৩৫টি জেলা এই ভাইরাসের কবলে রয়েছে। বুলগানা, অমরাবতী, আকোলা, জলগাঁও প্রভৃতির বেশিরভাগ প্রাণীই এই ভাইরাসে আক্রান্ত। রাজস্থান, গুজরাট, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশে ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে।
রাজ্যের ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৫৮টি সংক্রমিত পশুর মধ্যে ২ লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৫টি পশু ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চিকিৎসায় সুস্থ হয়েছে। যারা অসুস্থ তাদের চিকিৎসা করানো হচ্ছে। আধিকারিকদের মতে, ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১ কোটি ৪৪ লাখ ১২ হাজার টিকা পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ১ কোটি ৩৯ লাখ ২৩ হাজার টিকা বিনামূল্যে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ লাম্পি সংক্রমিত গবাদি পশুর দুধ খাওয়া কি মানুষের জন্য বিপজ্জনক?
আধিকারিকদের মতে, রাজ্যের ৩৯০৮ টি সংক্রমণ কেন্দ্রে লাম্পি চর্মরোগের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হচ্ছে। রাজ্যে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ২৩ হাজার ৪৯৩টি প্রাণী। এর মধ্যে ১০ হাজার ৪৫৫ জন গরু পালনকারীকে মৃত পশুর ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। সরকার ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা ঘোষনা করেছে। অমরাবতী, জলগাঁও, বুলধানায় সর্বাধিক ভাইরাসের কেস দেখা গেছে।