কৃষিজাগরন ডেস্কঃ বর্তমান সময়ে ছাগল পালনের ব্যবসা খুব দ্রুত হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ এর ব্যবসায় খরচ কম এবং আয় বেশি হয়।বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে ছাগল পালন করলে কম সময়ে ভালো মুনাফা পাওয়া যায় এবং এর প্রতিপালনেও অনেক ধরনের সহায়তা পাওয়া যায়। তাই আসুন আজকের নিবন্ধে ছাগল পালনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক ।
ছাগল পালনের আগে ভালো জাত নির্বাচন করুন
আপনি যদি ছাগল পালন করেন,তাহলে এর ভালো জাত সম্পর্কে আপনার জ্ঞান থাকতে হবে,যার মাধ্যমে আপনি সুফল পেতে পারেন। যমুনাপারি, বারবারি,বিটল, কাছি,গাদ্দি,'দ্য গোট ট্রাস্ট',গুজরি,সোজাত,করৌলি বাকরি ইত্যাদি জাতগুলি অনুসরণ করুন।
আরও পড়ুনঃ এই তিন জাতের গরুকে একটু যত্ন নিলেই মিলবে ৫০ লিটার দুধ
ছাগল পালনের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি
আপনি যদি প্রথমবারের মতো ছাগল পালন করছেন, তবে সবার আগে আপনাকে এর জন্য প্রশিক্ষণ নিতে হবে।সরকারের অনেক প্রতিষ্ঠান আছে, যারা বিনামূল্যে ছাগল পালনের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।
ছাগল পালনের জন্য, খামারি ও গবাদি পশুপালকদের খেয়াল রাখতে হবে যেন তারা সঠিক সময়ে গর্ভধারণ করে এবং স্টল ফিডিং পদ্ধতিও অবলম্বন করে।সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর এবং এপ্রিল থেকে জুন গর্ভবতী হওয়ার মাস।
এ ছাড়া সঠিক পরিমাণে তাদের পশুখাদ্য ও পানির জন্য অপেক্ষা করুন। পাশাপাশি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ভালো যত্ন নিন। যখন ছাগলের বাচ্চা হয়, তখন তাকে তার মায়ের প্রথম দুধ পান করতে দিন। এতে ছাগলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় এবং একই সাথে তাদের মৃত্যুহারও হ্রাস পায়।
আরও পড়ুনঃ কোয়েলের বাচ্চার ব্রুডিং ব্যবস্থাপনা এবং যত্ন
ছাগল পালনে সহায়তা
ভারত সরকারের এমন অনেক পরিকল্পনা রয়েছে , যা ছাগল পালনে আর্থিকভাবে সাহায্য করে। যাতে কৃষক ও অন্যান্য নাগরিকদের স্বাবলম্বী করা যায়। সরকারের স্কিম সম্পর্কে জানতে, আপনাকে আপনার নিকটস্থ ব্যাঙ্ক, কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র বা পশু হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করতে হবে, এই সময়ে ছাগল পালনের জন্য কী কী স্কিম রয়েছে এবং কীভাবে তারা এর সুবিধা নিতে পারে।