এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 13 August, 2021 4:53 PM IST
Cattle farm (Image Credit - Google)

দুধ এমন একটি পানীয়, যা প্রায় প্রতিটি দেশেরই মানুষ পান করে থাকে। তবে যারা দুগ্ধ দোহন করেন, বা গো পালন করেন, তাদের আয় বৃদ্ধির জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। যেমন সুস্থ, স্বাস্থ্যবতী গাভী থেকে স্বাস্থ্যকর পরিবেশে উৎপাদিত, পরিচালিত (handled) ও পরিবাহিত (transported) যে দুধের মধ্যে মানুষের ক্ষতি সাধনকারী জীবাণু থাকে না এবং অন্যান্য জীবাণুর (commensal) সংখ্যা অল্পই থাকে, যে দুধ কাঁচা অবস্থাতেই দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাকেই ক্লিন মিল্ক বলে।

অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ, গাভী ও অব্যবস্থায় উৎপাদিত দুধের মধ্যে প্রচুর জীবা ণু থাকে যা দ্রুত হারে বৃদ্ধি পায় ও পান করলে রোগগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ভারতবর্ষ পৃথিবীতে প্রথম দুগ্ধ উৎপাদক দেশ হিসেবে চিহ্নিত হলেও সেই দুধের মান আন্তর্জাতিক মানের নয়। উন্নত দেশগুলিতে স্বাস্থকর পরিবেশে উৎপাদিত দুধ ৪ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বা তার নীচে ঠান্ডা করে পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত পাত্রে ঢাকা অবস্থায় ডেয়ারি প্লান্টে নিয়ে যাওয়া হয়। অপরদিকে আমাদের দেশের ৯০% দুধ উৎপাদিত হয় গ্রাম্য পরিনেশে ও দুধ উৎপাদনের প্রচলিত রীতিসমূহ ক্লিন মিল্ক উৎপাদনের সহায়ক নয়।

ক্লিন মিল্ক উৎপাদনের ন্যূনতম করণীয় বিষয় গুলি হল –

গাভী থেকে যে সমস্ত জীবাণু দুধের মধ্যে সংক্রমিত হয় ঐ সমস্ত জীবাণুঘটিত রোগমুক্ত কিনা তা পরীক্ষা দ্বারা নিশ্চিত হতে হবে।

  • গাভীর দেহ পরিষ্কার রাখতে হবে।

  • দুধ দোহনকারী ও গোপালককে সংক্রামক রোগ মুক্ত হতে হবে।

  • দুধ সংগ্রহের পাত্রসমূহ জীবাণুমুক্ত হতে হবে।

  • গাভীকে পরিষ্কার পরিবেশে পালন করতে হবে।

  • দুধ ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার নীচের তাপমাত্রায় রাখতে হবে, যতক্ষণ না সেই দুধ স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে প্রস্তুত হয়ে সাধারণের ব্যবহারের উপযোগী করে তোলা যায়।

পশুদের যে স্থানে রাখা হয়, অর্থাৎ গোয়ালঘরটিকে সব সময় পরিষ্কার রাখা দরকার। সেখানে যেন পশুদের মলমূত্র না জমে থাকে, সে ব্যাপারে নজর রাখা উচিৎ। অনেক সময়ই গরুর গোবর তার গায়ে এবং বাঁটে লেগে থাকে । এর ফলে দুগ্ধ দোহন করার সময় দুগ্ধের মধ্যে গোবর বা ধুলোবালি মিশে যেতে পারে। এই ব্যাপারগুলি অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

যে ব্যক্তি দুগ্ধ দোহন করবেন, তাঁকেও অত্যন্ত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হওয়া বাঞ্ছনীয়। তিনি যেন অবশ্যই পরিষ্কার জামাকাপড় পরিধান করেন। তাঁকে নখ ছোট করে কাটতে হবে এবং তিনি দুগ্ধ দোহন করার সময় যেন কথা না বলেন অথবা থুতু না ফেলেন।

যে পাত্রে দুগ্ধ সংগ্রহ করা হবে, সেটিও অবশ্যই পরিষ্কার থাকা দরকার। দুগ্ধ সংগ্রহ করা করার পরেই পাত্রটিকে একবার জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়া দরকার এবং পরে সেটিকে ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করা উচিৎ। যে পাত্রে দুগ্ধ দোহন করা হবে তার মুখের দিকটি বেশি চওড়া না হওয়া বাঞ্ছনীয়। এর ফলে বাইরে থেকে ধুলোবালি দুগ্ধের মধ্যে মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা কম হবে । বালতি বা এই জাতীয় পাত্র ব্যবহার না করাই উচিৎ।
দুগ্ধ দোহনের কমপক্ষে এক ঘন্টা পূর্বে পশুদের খাবার দেওয়া দরকার। দুগ্ধ দোহনের সময় অল্প কিছু দানাশস্য দেওয়া যেতে পারে। এটি পশুদেরকে ব্যস্ত রাখবে।

আরও পড়ুন - Mixed Fish farming: জেনে নিন পুকুরে একইসাথে মলা ও তেলাপিয়া মাছের চাষ পদ্ধতি

দুগ্ধ সংগ্রহের পরে তাকে শীতল জায়গায় সংরক্ষিত করা দরকার। গ্রীষ্মকালে সম্ভব হলে পাত্রের চারিদিকে বরফ দিয়ে ঠান্ডা রাখতে হবে। সংগৃহীত দুগ্ধ  যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুগ্ধ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা উচিৎ।

কৃষকেরা যদি পরিষ্কার দুগ্ধ উৎপাদন করেন, তাহলে তাঁরা সেই দুগ্ধ বেশি দামে বিক্রি করতে পারবেন এবং অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন। অপরদিকে যাঁরা পরিষ্কার দুগ্ধ গ্রহণ করবেন, তারাও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হবেন এবং রোগ মুক্ত থাকতে পারবেন।

আরও পড়ুন -Bean Farming: শিখে নিন শিম বা বিন চাষের কৌশল

English Summary: Here are some simple tips on how to make more money by cattle rearing
Published on: 13 August 2021, 04:01 IST