আজও গ্রামাঞ্চলের বহু দরিদ্র মানুষের দৈনন্দিন জীবনে প্রোটিনের উৎস গেঁড়ি এবং গুগলি। উচ্চবিত্তরা গেঁড়ি এবং গুগলির কথা শুনলেই নাক সিটকান। চিকিৎসকরা বলছেন, গেঁড়ি এবং গুগলির মধ্যে রয়েছে উচ্চমানের প্রোটিন এবং ভিটামিনের উৎস। গুগলি খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল থাকে। গ্রামের মানুষরা টাটকা গুগলির কত রকমের পদ রান্না করে খেয়ে থাকেন। তবে এখন গ্রাম বললে ভুল হবে, শহরবাসীও গেঁড়ি এবং গুগলির স্বাদে মজেছেন। বর্তমান সময়ে কলকাতার একাধিক বাজারে গুগলির চাহিদা তুঙ্গে।
এবার শহরাঞ্চলের বাজারে গুগলি বিক্রি করতে এগিয়ে আসছে রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত দফতর গুলি। সম্প্রতি, পঞ্চায়েতের কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন গুগলি বিক্রির উদ্যোগ নিচ্ছে। ইতিমধ্যেই শহরের কিছু জায়গায় বিক্রি চালু হয়ে গিয়েছে। বিক্রিত গুগলির মূল্য শুনলে অবাক হবেন আপনিও। কলকাতা ও আশপাশের এলাকায় গুগলি বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি ৩৫০ টাকা দরে।
আরও পড়ুনঃ লঙ্কাকাণ্ড! ঝাল খেয়ে ভাঙল পাঁজরের চারটি হাড়
কীভাবে পাবেন গুগলিঃ
গুগলি কেনার জন্য, কর্পোরেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ও হোয়াটস অ্য়াপের মাধ্যমে অর্ডার করতে পারেন। অর্ডারের মাধ্যমে গুগলি পাওয়া যাবে।
গুগলি কীভাবে সংগ্রহ করা হচ্ছেঃ
গ্রাম বাংলার বিভিন্ন স্বনির্ভর গোষ্ঠী এই গুগলি সরাবরাহের দায়িত্ব নিয়েছে। পঞ্চায়েতের কম্প্রিহেনসিভ এরিয়া ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের আশা বর্তমানে শহরবাসীর কাছে গুগলির যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আগামীদিনে উচ্চমানের প্রোটিন এবং ভিটামিনের উৎস হিসাবে গুগলির চাহিদা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। শহরাঞ্চলে গুগলি বিক্রির জন্য অনেকটাই উপকৃত হচ্ছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলো। বলা চলে খাদ্যগুণ এবং স্বাদে গ্রাম থেকে শহরাঞ্চলের রেস্তোরাঁয় কোথাও পিছিয়ে নেই গুগলি।