মৎস্য চাষে বায়ো-ফ্লক প্রযুক্তির মাধ্যমে জলজ চাষকে উন্নীত করার জন্য, ওড়িশা রাজ্য সরকার কৃষকদের জন্য একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে এসেছে। প্রকৃতপক্ষে, তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের একটি রিলিজ অনুসারে, এটি একটি উন্নত মাছ চাষ প্রযুক্তি যা ওড়িশায় উদ্যোক্তা, বেকার যুবক এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রগতিশীল মাছ চাষীদের জীবিকা সহায়তা প্রদানের জন্য চালু করা হয়েছে, যার লক্ষ্য রাজ্যে উৎপাদনশীলতা এবং রাজ্যকে স্বনির্ভর করা।
বায়োফ্লক প্রযুক্তি ভিত্তিক মাছ চাষ
বায়োফ্লক প্রযুক্তি একটি আধুনিক ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি। মাছ চাষের এই কৌশল অবলম্বন করলে জেলেরা শুধু নীল বিপ্লবের আশ্রয়দাতাই হবে না, বেকারত্ব থেকেও মুক্তি পাবে। বায়োফ্লক প্রযুক্তির মাধ্যমে কৃষকরা পুকুর খনন না করে ট্যাঙ্কে মাছ চাষ করতে পারবে। সর্বশেষ প্রযুক্তি মাছ ও চিংড়ি উৎপাদন প্রচার করা হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, "একজন ব্যক্তি যার একটি ছোট জমি আছে (যা 150 থেকে 200 বর্গ মিটার জমির সমান) পৌরসভার পাইপলাইন থেকে জল সরবরাহ করে অল্প বিনিয়োগে এই ব্যবসা শুরু করতে পারে"। এই নতুন প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল মাছ চাষীদের পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তাদের আয় ও জীবিকা নির্বাহে সহায়তা করা।
আরও পড়ুনঃ কিভাবে মাছ চাষের জন্য ঋণ পাবেন?
এছাড়াও বায়োফ্লক প্রযুক্তি স্থানীয় বাজারের চাহিদার ভিত্তিতে মিষ্টি জলের মাছ যেমন তেলাপিয়া, পাঙ্গাসিয়াস, মাগুর, কমন কার্প, আনাবাস ইত্যাদির জন্য উপযুক্ত। বায়োফ্লক প্রযুক্তিতে ট্যাঙ্কে জৈব পদার্থ যেমন ফিডের মতো বর্জ্য, প্রোবায়োটিক ইত্যাদি মাছের খাদ্যে রূপান্তরিত হয়।
বায়োফ্লক প্রযুক্তির সুবিধা
এই প্রযুক্তির সাহায্যে 10 হাজার লিটার ধারণক্ষমতার ট্যাঙ্ক (একবার খরচ 32 হাজার টাকা, 5 বছরের জন্য) প্রায় ছয় মাসে (পালন খরচ 24 হাজার টাকা) উৎপাদন ছাড়াও 3.4 কুইন্টাল মাছ (মূল্য 40 হাজার) উৎপাদন করা যায়। দামি মাছ উৎপাদিত হলে এই লাভ সাড়ে চার গুণ বেশি হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ Village Business Idea: গ্রামে শুরু করুন এই ব্যবসা! শীঘ্রই হবেন কোটিপতি