কৃষকদের অতিরিক্ত উপার্জনের জন্য মৎস্যপালন (Fish Farming) একটি ভাল পেশা হিসাবে বিবেচিত হয়। এ জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বহু পরিকল্পনা প্রচলন করেছে। এই প্রকল্পগুলির সহায়তায় কৃষকরা মৎস্য পালন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সরকার মধ্য প্রদেশের কৃষকদের নিজস্ব জমিতে মৎস্য চাষ করতে নতুন পুকুর তৈরির জন্য ভর্তুকি দিচ্ছে। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক এই পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য।
প্রকল্পের নাম এবং এর উদ্দেশ্য (Purpose Of The Scheme) -
সরকার কৃষকদের নিজস্ব জমিতে মৎস্য চাষের জন্য নতুন পুকুর নির্মানের জন্য ৫০ শতাংশ ভর্তুকি দিচ্ছে। এটি একটি কেন্দ্রীয় প্রকল্প, যা মৎস্য পালন উন্নত করার লক্ষ্যে এবং কৃষকদের আর্থিক দিক থেকে উন্নত হতে সহায়তা করবে। মধ্যপ্রদেশের সমস্ত জেলার কৃষকরা এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন।
প্রকল্পের জন্য শর্তাবলী -
-
এই প্রকল্পটি নীল বিপ্লবের অধীনে সরকার পরিচালনা করছে, যেখানে এসসি, এসটি এবং ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক মহিলা কৃষকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
-
সুবিধাভোগীরা এই প্রকল্পের জন্য জাতীয়করণকৃত ব্যাংকগুলির নিজস্ব ব্যয় বা আর্থিক সহায়তা নিতে পারবেন।
-
সুবিধাভোগীদের নিজস্ব বা দীর্ঘ সময় লিজহোল্ড জমি থাকতে হবে।
-
উপকারীদের নির্বাচিত সাইটের একটি নকশা এবং খসড়া, জমি সম্পর্কিত সমস্ত নথি থাকতে হবে।
-
নির্বাচনের পরে ইউনিট সাইটটি বিভাগীয় প্রকৌশলী বা অফিসারগণ দ্বারা পরিদর্শন করা হবে।
-
ইউনিটের পরিকল্পনা এবং প্রাক্কলন প্রকৌশলী তৈরি করবেন।
-
বাছাই শেষে, সুবিধাভোগীদের ফিশারি এর সংক্ষিপ্তকরণগুলি শিখতে পাঁচ দিনের প্রশিক্ষণ নিতে হবে।
কত ভর্তুকি পাওয়া যায় -
সুবিধাভোগীদের ন্যূনতম ০.৫ হেক্টর থেকে ২.০ হেক্টর জমিতে পুকুর নির্মাণের জন্য ভর্তুকি সরবরাহ করা হবে। মোট ইউনিটের আনুমানিক ব্যয় ৭ লাখ টাকা। যার জন্য সরকার ৫০ শতাংশ অনুদান প্রদান করবে। অবশিষ্ট অর্থের পরিমাণ সুবিধাভোগীকে নিজেকে অথবা ব্যাংক থেকে লোণ নিয়ে প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন - কৃষকবন্ধুরা মরসুম বিশেষে মাছ চাষ করে অধিক উপার্জন করুন (Seasonal fish cultivation)