কৃষিজাগরন ডেস্কঃ ভেড়া পালন ভারতে একটি প্রধান ব্যবসা।ভেড়া পালন ছাগল পালনের মতোই।এ ব্যবসায় কম খরচে বেশি রোজগার থাকলেও পশু মালিকদের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়।কারণ অনেক সময় রোগের কারনে পশু মারা যায়। এ কারণে উল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভেড়া চাষিদের ব্যাপক অর্থনৈতিক ক্ষতি হয়।
পা ও মুখের রোগ
এই রোগ মুলত ভাইরাস দ্বারা হয়। যে কারণে এটি একটি প্রাণী থেকে অন্য প্রাণীতে খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। রোগাক্রান্ত প্রাণীর খুরের মধ্যে মুখ,জিহ্বা ,ঠোঁট এবং ত্বকে ফোস্কা দেখা দেয়।ফলে ভেড়া ঘাস খেতে পারে না এবং দুর্বল হয়ে পড়ে।
প্রতিরোধ- সংক্রমিত ভেড়াকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা রাখতে হবে । ভেড়া পালনকারীকে ৬ মাসের ব্যবধানে এফএমডি টিকা দিতে হবে ।
আরও পড়ুুনঃ জৈব সার তৈরি করে তাক লাগিয়ে দিলেন বিহারের মহিলারা,জেনে নিন বিশেষত্ব
ব্রুসেলোসিস
ব্রুসেলোসিস একধরনের জুনোটিক রোগ, অর্থাৎ ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া থেকে পশুপাখি এবং মানুষ উভয়েই আক্রান্ত হয় এবং উভয়ের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এটি ‘ভূমধ্যসাগরীয় জ্বর’ বা ‘মাল্টা জ্বর’ নামেও পরিচিত। ব্রুসেলোসিস সাধারণত গবাদি পশু, গরু, শূকর, ছাগল,ভেড়া এবং কুকুরের থেকে ছড়ায়।
প্রতিরোধ - আক্রান্ত পশুকে টিকার ব্যবস্থা করতে হবে।
চর্মরোগ
এই রোগে অন্যান্য প্রাণীর মতো ভেড়াও উকুন , মাছি ইত্যাদি পরজীবী দ্বারা আক্রান্ত হয়।এতে ভেড়ার চামড়ায় নানা ধরনের রোগ হয় ,যার কারণে পশুর শরীর চুলকায় এবং পশু বারবার অন্য প্রাণী,পাথর বা গাছে শরীরের সাথে তার শরীর আঁচড়াতে থাকে।
আরও পড়ুনঃ বাজরার তৈরি খাবার এবার মিড-ডে মিলে, কৃষকদের ক্ষমতায়নের চেষ্টা
প্রতিরোধ -প্রথমে ভেড়ার চামড়া পশুচিকিত্সক দ্বারা পরীক্ষা করান। আক্রান্ত প্রাণীটিকে অন্যান্য প্রাণী থেকে আলাদা করুন। পশুকে অন্তত দুবার কীটনাশক দিয়ে স্নান করাতে ভুলবেন না।
গোলাকার কৃমি
এই কৃমিগুলি প্রধানত ভেড়ার অন্ত্রে সুতার মতো লম্বা এবং সাদা রঙের হয়। এরা ভেড়ার অন্ত্রে আক্রমন করে।ফলে পশুর শরীর দুর্বল হতে থাকে। পশুর ডায়রিয়া হয় ,পশম উৎপাদন কমে যায়,পশু খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়।
প্রতিরোধ- ভেড়ার পেটের কৃমি মারার ওষুধ বছরে অন্তত তিনবার পশু চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে দিতে হবে।