পোলট্রি খাতের জন্য বড় ধরণের সম্ভাবনা তৈরি করেছে 'ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই'- যেটি মূলত একটি মাছি জাতীয় প্রাণীর লার্ভা। খামারি ও কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন মাছ ও পোলট্রির প্রচলিত খাদ্যের বিপরীতে এটিই ভবিষ্যতে বিকল্প খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হবে - এর পুষ্টিমান ও কম খরচের কারণে।
ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই বা বিএসএফ আগামী দিনে ভারতে ঘরে ঘরে কুটির শিল্পের মতো হবে। এটি ন্যাচারাল ও উৎপাদন খরচ খুব কম। এর বিপরীতে বাজারে ফিশারিজ ও পোলট্রির যেসব খাবার পাওয়া যাচ্ছে তার দামও অনেক বেশি, আবার এগুলোর পুষ্টিমান নিয়ে সংশয় আছে। অন্যদিকে বিএসএফে প্রোটিন অনেক বেশি।
আরও পড়ুনঃ ছোলা ফসলে বেণি রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে, বাঁচাতে এসব ওষুধ স্প্রে করুন
'ব্ল্যাক সোলজার ফ্লাই' বা বিএসএফ আসলে কী?
এটি একটি মাছি জাতীয় প্রাণী।এটি মাছি-জাতীয় হলেও ক্ষতিকর প্রাণী নয় এবং একেবারেই প্রাকৃতিক বলে মাছ বা মুরগির মাধ্যমে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর কিছু সম্ভাবনা থাকে না। তবে হাঁস বা মুরগীকে খাওয়ানোর সময় এই বিএসএফের লার্ভার সাথে কিছুটা কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারের সাথে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে।
এই লার্ভাকে কিভাবে মাছ ও মুরগির খাবারে পরিণত করা হয়
মাছির মতো মূল পোকাগুলো একটি জালের মধ্যে রাখা হয়।কিন্তু কোনো রকম আলো যেন না আসে সেই দিকে খেয়াল রাখতে হবে।একটা সময় পোকাগুলো নিজেদের প্রজনন ক্রিয়া সম্পন্ন করে। পরে সেখানে কাঠের স্তরের মধ্যে ডিম পাড়ে। সেই ডিমগুলো হ্যাচিং করে ফোটানোর আট থেকে দশ দিন পর আলাদা করে অন্য জায়গায় রাখা হয়।এরপর২০-৩০ দিনের মধ্যে এই লার্ভাগুলো দেখতে পোকার মতো হয়ে যায় যেগুলো মাছ, হাঁস বা মুরগীকে খাবার হিসেবে দেয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ Floating Agricultural System: বর্ষায় ভাসমান ধাপ পদ্ধতিতে ফসল উৎপাদনের অভিনব কৌশল
এতে প্রোটিনের পরিমাণ ৪৩-৫৫ শতাংশ পর্যন্ত। অন্যদিকে বর্তমানে বাজারে ফিশারিজ ও পোলট্রি ফিড যা পাওয়া যায় - তার প্যাকেটে ৩৩ শতাংশ প্রোটিন উল্লেখ করা হলেও বরাবরই এ নিয়ে অভিযোগ আসে খামারিদের কাছ থেকে। পাশাপাশি পোকাটিতে ফ্যাটের পরিমাণ থাকে প্রায় কুড়ি শতাংশ।বাজারের পোলট্রি ফিডে অনেক করম খারাপ উপাদান থাকে যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর।এই পোকাটিতে সেই ঝুঁকি নেই।