কৃষিজাগরন ডেস্কঃ কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি এটা ছাগল চাষীদের জন্য একটি কমন প্রশ্ন। আর তাই আপনি যদি পশ্চিমবঙ্গে ছাগল পালনের ব্যবসা শুরু করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার খামারের জন্য সেরা জাতের ছাগল সংগ্রহ করতে হবে।কারন দেশে দ্রুত হারে পশুপালনের ব্যবসা বাড়তে শুরু করেছে।
কোন জাতের ছাগল পালনে লাভ বেশি?
অন্যান্য সকল প্রাণীর মতো ছাগলেরও বিভিন্ন জাত রয়েছে। ছাগলের বিভিন্ন জাতের মধ্যে তাদের শারীরিক গঠন, রং ও অন্যান্য চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।আপনি কোন ধরনের ব্যবসা করতে চান তার উপর নির্ভর করে আপনাকে ছাগলের জাত নির্নয় করতে হবে।তবেই আপনি ব্যবসায় লাভ করতে পারবেন।কারন কোনও জাতের ছাগল মাংসের জন্য ভালো আবার কোনও জাতের ছাগল দুধের জন্য।তাই পশুপালন ব্যবসায় নামার আগে আপনাকে ছাগলের জাত সম্পর্কে জেনে নিতে হবে। তাই ৫০টি সেরা জাতের মধ্যে কৃষকদের স্বর্থে কৃষিজাগরন বেছে নিয়েছে তিনটি সেরা জাতের ছাগল।
আরও পড়ুনঃ এই ৫ টি জাতের ছাগল পালন করে আপনি অল্প সময়ে বেশি লাভ করতে পারেন
কালাহারি জাতের ছাগল
কালাহারি লাল ছাগল দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে উৎপন্ন।এটি প্রধানত মাংসের জন্য পালন করা হয়। কালাহারি জাতের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হচ্ছে, এটির মাংস অন্যান্য জাতের ছাগলের তুলনায় নরম আর এর প্রজনন ভালো হয়। বোয়ার ছাগলটির সাথে মিল এর রয়েছে। কালাহারি জাতের ছাগল ৮ মাস পর পর বাচ্চা দেয়। বাণিজ্যিকভাবে ছাগল পালনে এই জাত সর্বোচ্চ লাভ দিতে পারেন। কৃষিজাগরনের প্রথম পছন্দ কালাহারি জাতের ছাগল।
বোয়ার জাতের ছাগল
আপনার উদ্দেশ্য যদি শুধু মাংস উৎপাদন হয়ে থাকে তবে বেয়ার জাতের ছাগল আপনার জন্য একদম উপযুক্ত।এই জাতের পুরুষ ছাগলের ওজন প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। অপরদিকে বেয়ার জাতের স্ত্রী ছাগলের ওজন ৯০ থেকে ১২০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে। ১৯০০ সালে সাউথ আফ্রিকায় প্রথম দেখা যায় বোয়ার জাতের ছাগল। বোয়ার জাতের ছাগল প্রতিদিন গড়ে ২৫০ গ্রাম করে ওজন বাড়ে, তিন মাসে ৩০ থেকে ৩৬ কেজি ও এক বছরে ৭২ কেজি পর্যন্ত ওজন হয়।এরা খুব দ্রুত প্রাপ্ত বয়স্ক হয় এবং ২ টা থেকে ৪টা বাচ্চা দিয়ে থাকে।কৃষিজাগরনের দ্বিতীয় পছন্দ বোয়ার জাতের ছাগল।
আরও পড়ুনঃ খামারিদের কোটিপতি বানাবে আটশো লিটার দুধ দেওয়া এই গরু
যমুনাপারি ছাগল
রাম ছাগল বাংলার অতি পরিচিত একটি ছাগলের জাত। এই ছাগল অন্যান্য ছাগলের জাতের চেয়ে আকারে একটু বড় হয়। এই জাতকে যমুনাপাড়ি ছাগলও বলা হয়,এটিকে যমুনাপাড়ি ছাগল বলার কারণ হচ্ছে এই জাতের ছাগলের আদিনিবাস ভারতের উত্তর প্রদেশের যমুনা ও গঙ্গা মধ্যবর্তী এলাকায়। তবে রাম ছাগলকে পুরোপুরি বিদেশি জাতের ছাগলের জাত বলাও যায় না।
পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তবর্তী অঞ্চলেও রাম ছাগল দেখতে পাওয়া যায়।রাম ছাগল আকারে বড়, তাই মাংসের জন্য এই ছাগল পালন করা যেতে পারে। তবে রাম ছাগলের মাংস ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগলের মতো সুস্বাদু নয়। তবে রাম ছাগলের দুধ উৎপাদন ক্ষমতা অনেক বেশি। একটি রাম ছাগল দৈনিক দুই লিটার পর্যন্ত দুধ দিতে পারে। এবং এতে ফ্যাটের পরিমান বেশি থাকে।একটি রাম ছাগলের ওজন গড়ে ৭০ থেকে ৯০ কেজি পর্যন্ত হতে পারে।তাই কৃষিজাগরনের তৃতীয় পছন্দ এই রামছাগল।