'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 5 January, 2021 8:20 PM IST
Fish Farming Equipment

সরঞ্জাম – তা সাবেকি (কায়িক শ্রম সহযোগে হত বা পা চালিত) হোক কিংবা আধুনিক (মোটর/ব্যাটারি/সৌরশক্তি কিংবা ডিজেল চালিত) সময় ও শ্রম লাঘব করে সমগ্র কর্মকাণ্ডের প্রতিবন্ধকতা সরিয়ে সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাঙ্খিত উৎপাদন লাভের অন্যতম প্রধান হাতিয়ার। কৃষিতে বিভিন্ন ধরণের সহায়ক সরঞ্জাম দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে সাফল্যের সঙ্গে। মাছ চাষে এই ধরণের প্রয়োগ এখনও সীমাবদ্ধ।

মৎস্য চাষে সরঞ্জামের গুরুত্ব (Importance of equipment in fish farming) - 

এখনও একজন মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক পুকুর পরিদর্শনে গেলে তাঁর সঙ্গে প্রায় কোন সরঞ্জাম থাকে না বললেই চলে। মাছের উৎপাদন বাড়াতে এগুলির কিন্তু প্রয়োজন আছে- অবশ্যই এর সাথে প্রযুক্তিগগত দিকগুলিতেও খেয়াল রাখতে হবে।

পুকুরের জলে প্রয়োজনীয় মাত্রায় প্রাকৃতিক খাদ্যকণার উপস্থিতি দেখে নেওয়া জরুরি – তা চাষের শুরুতেই হোক বা চাষ চলাকালীনই হোক না কেন। খুব সাধারণ, দামেও কম, ব্যবহারেও জটিলতা নেই, এইরকম দুটির নাম হল সেক্‌চি ডিস্ক এবং প্ল্যাঙ্কটন নেট। এগুলি থাকলে চাষি সুবিধা পেতে পারেন। পুকুরের জল ও মাটির গুনাগুণ মাছের বাড়বৃদ্ধিকে সরাসরি প্রভাবিত করে। যে কোন পুকুরের উৎপাদন ক্ষমতা তার জলের ও তলদেশের মাটির প্রকৃতির দ্বারা অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত হয়। এই জল বা মাটির ভৌত রাসায়নিক বা জৈবিক গুনমানের কোন সমস্যার উদ্ভব হলেই সঙ্গে সঙ্গে মোকাবিলা করে অনুকুল মাত্রায় না আসা পর্যন্ত মাছ চাষ ব্যাহত হবে। জলে মাছেদের বেঁচে থাকা, স্বাভাবিকভাবে খাবার গ্রহণ, বিপাকীয় জৈব রাসায়নিক ক্রিয়াকলাপ, রোগবালাই সমূহকে যতদূর সম্ভব বাঁচিয়ে বেড়ে ওঠা – এইসব কিছুতেই জলের গুণমান – অন্তত নির্দিষ্ট কয়েকটি সূচক ভীষণ প্রভাব ফেলে। জলের পিএইচ ৭.০ –এর নীচে ৮.০ –এর উপরে গেলে জলে/মাটিতে অবস্থিত নাইট্রিফায়িং ব্যাকটিরিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়, যা মাছের থেকে অনবরত নির্গত অ্যামোনিয়াকে জারিত করে জলকে নির্মল রাখতে সাহায্য করে। সাধারণ পিএইচ পেপার, বহনযোগ্য পি এইচ মিটার, লোভিবন্ড কম্প্যারেটর, সঙ্গে তাহলে তা পরখ করে নেওয়া যায়।

পিএইচ-এর মাত্রা বেশী হলে জলে দ্রবীভূত কার্বনডাই অক্সাইড থাকতে পারে না, ফলে উদ্ভিদকণা উৎপাদন তথা প্রাথমিক উৎপাদন বাধাপ্রাপ্ত হয়, এমনকি বন্ধও হয়ে যেতে পারে। অনুরূপজনক হল যদি আম্লিক হয়ে যায়, তখন মাছের খাদ্যগ্রহণ ঠিকঠাক মতো হয় না এবং রোগবালাই শুরু হয়ে যায়। সপ্তাহে একবার তাই জলের পিএইচ দেখে নেওয়া একান্ত দরকার। ফসফরাস-ক্যালসিয়াম, আয়রন ও অ্যালুমিনিয়াম ফসফেট সাধারণ হিসাবে মাটিতে থাকে। পিএইচ একটু কম বেশী হলেও যদি পরিমিত জৈব পদার্থ থাকে, তাহলে ফসফরাসের সহজপ্রাপ্যতা অব্যাহত থাকতে পারে (মাটিতে ১০০ গ্রামে ১০-১৫ মিলিগ্রাম থাকা উচিৎ)। অনুরূপভাবে মাটিতে পরিমিত নাইট্রোজেনের উপস্থিতিতে সালোকসংশ্লেষণ সুষ্ঠুভাবে হয়। ফলে উদ্ভিদকণা ও তার মাধ্যমে প্রাণীকণা উৎপন্ন হতে পারে, যা মাছের বেড়ে ওঠার সহায়ক।

জলের তাপমাত্রা নির্ণয় (Determination of water temperature) - 

সামান্য একটি থার্মোমিটারের সাহায্যে যদি দেখে নেওয়া যায়, জলের তাপমাত্রা ২৫- ৩০C আছে, তবে তা কার্প বা পোনা জাতীয় মাছের খাদ্যগ্রহণে খুবই সহায়ক হয়। তাপমাত্রা বাড়লে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেন কমে যেতে পারে এবং তা হলে সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিলে মাছের ফলনে কোন বাঁধা সৃষ্টি হয় না। উদ্ভিদকণা ও অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে জলে অক্সিজেন যোগান দেয়, যদিও বায়ুমন্ডল থেকেও কিছুটা অক্সিজেন জলে দ্রবীভূত হয়তো বটেই। জলে অক্সিজেন ৩.০ পিপিএম বা কম (১০০ মিলি জলে ৩ মিলিগ্রামের নীচে গেলে) মাছের স্বাভাবিক খাদ্যগ্রহণ ও বাড়বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। যদি দ্রবীভূত অক্সিজেন ৫.০ পিপিএম বা তার বেশী থাকে, তাহলে খুবই ভালো হয়।

আজকাল পোর্টেবল বা বহনযোগ্য অক্সিজেন মিটার (একটি পেনের আকারে) পাওয়া যায় এবং এর সাহায্যে অক্সিজেন মেপে নিয়ে তার ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যা পরিকল্পনামাফিক করা যায়।

মৎস্য চাষিদের সহায়তা (Some Organization for fish farmers) - 

বিভিন্ন কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, মৎস্য দপ্তরের ব্লক আধিকারিক, CADC-র প্রোজেক্ট অফিসের মৎস্য আধিকারিক, কেন্দ্রীয় মৎস্য গবেষণা সংস্থা, CIFRI, CIFA ও CIFE (কলকাতায় অবস্থিত) প্রায় সকলের কাছেই এই সরঞ্জামের সহযোগিতা পাওয়া যায়। NFDB, হায়দ্রাবাদ, MPEDA কোচিন ভারত সরকারের Department of Fisheries, Animal Husbandry of Dairying –এর তরফ থেকেও মাছ চাষিদের সহায়তা দানের ব্যবস্থা আছে। কিষাণ হেল্পলাইনগুলি আজকাল সক্রিয় থাকে, সেখান থেকেও যোগাযোগের মাধ্যমে আধিকারিকদের সরাসরি চাষের ক্ষেত্রে আসার অনুপ্রেরণা জানানো যায়, যার জন্য কোনরকম ব্যয়ভার বহন করতে হয় না।

কিছু এই সাধারণ সরঞ্জামই চাষিকে অনেকটা ভরসা দিতে এবং মাছের ফলনে নিশ্চয়তা দিতে পারে, কারণ এর দ্বারা জলজ পরিবেশের ভৌত রাসায়নিক গুণাবলী রক্ষা করে জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ, তাপমাত্রা ও বিভিন্ন অণুখাদ্যের উপস্থিতি নিশ্চিত করা যায় – অণুখাদ্যগুলির মধ্যে রোটিফার ও ক্ল্যাডোসেরান্সের উপস্থিতি খুবই দরকারি।

আরও পড়ুন - বেকার যুবক ছোট্ট পুকুর বা ডোবায় মাত্র পাঁচ থেকে দশ হাজার টাকায় এই ব্যবসা শুরু করে উপার্জন করুন অতিরিক্ত অর্থ (Business For Unemployed)

English Summary: Which equipment in fish farming, will be beneficial to the farmer? What the experts say, find out their opinion
Published on: 05 January 2021, 08:20 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)