ভারতবর্ষে কৃষি ১০,০০০ (দশ হাজার) বছরেরও বেশী প্রাচীন, যা তৎকালীন স্থানীয় প্রাপ্ত পরিবেশবন্ধু জৈব সামগ্রীর দ্বারা সম্পন্ন করা হত।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে আধুনিক বিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে সীমিত কৃষি জমির উপর নির্ভর করে পৃথিবীর বিপুল জনসংখ্যার মুখে খাদ্য যোগান দিতে গিয়ে রাসায়নিক রোগ ও কীটনাশকের ব্যবহার সীমাহীন ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ভারতবর্ষেও ১৯৫০ সালের পর থেকে রাসায়নিক সার, রোগ ও কীটনাশকের ব্যবহার শুরু হয়। এরপরই নতুন রাসায়নিক ওষুধ, সার ও উচ্চফলনশীল বীজের মাধ্যমে ১৯৬৮ সালে ভারতের 'সবুজ বিপ্লব' দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। নিঃসন্দেহে বলা যায় যে এটা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা আনার জন্য একটি বিশেষ প্রয়াস বা পদক্ষেপ।
কিন্তু বর্তমানে এই পদক্ষেপ একটি অভিশাপ বা মুখ্য সমস্যা হিসাবে দেখা দিয়েছে যেমন, ব্যাপক হারে চাষ ও মাটি খনন, অপরিমিত ও অনাদর্শ/অপৌষ্টিক সারের বহুল ব্যবহার, উচ্চফলনশীল প্রজাতির সীমিত উৎপাদন, উদ্ভিদ খাদ্যের সদ্ব্যবহারে ধারাবাহিকভাবে সুক্ষমতার অভাব, মাটিতে জৈব কার্বনের অভাব, জলের স্তরের নিম্নাভিমুখী অভিযান, মাটি লবণাক্তের সমস্যা এবং সর্বোপরি পরিবেশ দূষণের কারণে মাটি ধীরে ধীরে 'বন্ধ্যা'-য় পরিণত হওয়া। এর প্রমাণস্বরূপ কতকগুলি প্রধান ফসল যেমন, গম ও ধানের ক্ষেত্রে অনেক রাজ্যেই ফলন অনেকাংশেই কমে গিয়েছে।
১৯৯২ সালে ডঃ স্বামীনাথন বলেছেন, “ভারতবর্ষের মৃত্তিকা শুধু কেবল 'তৃষ্ণার্ত'-ই নয়, 'ক্ষুধার্ত'-ও বটে। তাই ফলন পেতে হলে মাটিতে খাদ্য প্রয়োগের প্রয়োজন।” সুতরাং খাদ্যের পরিমাণ না কমিয়ে যা আমাদের করা প্রয়োজন তা হল বাজার থেকে কেনা রাসায়নিক খাদ্যের প্রয়োগ কমানো এবং সহজভাবে গ্রহণযোগ্য সুসংহত উদ্ভিদখাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতির ব্যবহার দ্বারা যেমন, ফসলের বৈচিত্র্যতা পরিবর্তন, সবুজ সার ও জীবাণু সার প্রয়োগ এবং জৈবিক বৈচিত্র্যতার মাধ্যমে বহুল পরিমানে পচা সার উৎপাদন ও প্রয়োগ দ্বারা মাটির ভৌতিক গঠনের সুপরিবর্তন, জৈব কার্বন বৃদ্ধি, জলধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদির মাধ্যমে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি করা।
২০০১ সালে ভারত সরকারের ১০ম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাতে উপরোক্ত মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং জৈব ও জৈবিক বৈচিত্র্যতার উদ্দেশ্যে ও ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিকে অনুমোদন করা হয়, যা মাটির স্বাস্থ্য, উদ্ভিদ, প্রানী, মানুষ এবং পরিবেশের উন্নতিতে সাহায্য করবে।
জৈব কৃষির প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা এবং বিশ্বের বাজারে জৈব উৎপাদনের চাহিদাকে মাথায় রেখে ভারত সরকারের কৃষি ও সহযোগিতা বিভাগ ২০০০ সালের মে মাসে জৈব কৃষির উপর একটি 'টাস্ক ফোর্স' গঠন করেছিলেন। এর কাজ ছিল জৈব কৃষির উপর নানা রকমের সংবাদ সংগ্রহ করা, জৈব কৃষির উপযুক্ত প্রযুক্তির মূল্যায়ন এবং সঠিক মান নির্ণয়ের পন্থা পদ্ধতি স্থাপন করা। এই কারনে ভারত সরকার ২০০৪ সালের অক্টোবর মাসে উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদে জাতীয় জৈব কৃষি সংস্থান স্থাপন করেন।
খুবই আনন্দের কথা এই যে ২০১১ সালে প্রকাশিত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের রোডেল ইন্সটিটিউটের জৈব কৃষি ও রাসায়নিক কৃষির ৩০ বছরের পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফলে জানা যায় যে উৎপাদনক্ষমতা, লাভ, সুস্থিত অবস্থা, মাটির খাদ্যগ্রহণ করার ক্ষমতা এবং মানের সুনির্দ্দিষ্ট কোনো নিয়ন্ত্রক মাণক না থাকার জন্য এগুলি এখনও একটি অনিশ্চিত অবস্থায় বিরাজ করছে।
উপরোক্ত সমস্যা ও বিষয় গুলির উপর নজর রেখে কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশনে গত ২০১১ সালের জুন মাস থেকে প্রথমত- বেশী জমিতে সুসংহত উদ্ভিদখাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতি ( জৈব উপাদানের বেশী প্রয়োগ ও রাসায়নিক উপাদান ধাপে ধাপে কমিয়ে ফেলা) এবং দ্বিতীয়ত, কম জমিতে পুরোপুরি জৈবকৃষি পদ্ধতিতে (বিভিন্ন জৈব উপাদানের প্রয়োগে) চাষ-আবাদের কাজ শুরু হয়েছে। উদ্দেশ্য হল, জৈবকৃষি প্রযুক্তির কিছু মূল্যবান উপাদান এখানে বিজ্ঞানসম্মত ভাবে তৈরী করা এবং তার প্রশিক্ষণ, সংরক্ষণ ও তা বৃদ্ধি করা এবং তা জমিতে প্রয়োগ করে তা ফটোসহ তার ফলাফল, কামারপুকুর রামকৃষ্ণ মিশন দ্বারা আয়োজিত ও পরিচালিত, প্রতি বছর জানুয়ারী বা ফেব্রুয়ারী মাসে অনুষ্ঠিত নিবিড় প্রশিক্ষণ সহ ৩ দিন ব্যাপী “কৃষি মেলা”-য় অন্যান্য বিষয়ের বিজ্ঞানীগণের উপস্থিতি ও মূল্যবান আলোচনায় সাথে সাথে তুলে ধরা, যা কৃষক ভাইদের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াতে ও এই জৈব কৃষিকাজে উদ্বুদ্ধ করতে সাহায্য করবে।
জৈব কৃষির জন্য নিম্নোক্ত সমগ্র জৈব উদ্ভিদখাদ্য উপাদান প্রয়োগ বাঞ্ছনীয় । যে সব জৈব উদ্ভিদ খাদ্য উপাদান এখানে তৈরী করা হয় তা নীচে বর্ণনা করা হল :
ক) শক্ত জৈবসার :
১) কেঁচোসার : মুখ্য জৈবসার হিসাবে এখানে দুই প্রকারের কেঁচোকে ব্যবহার করে, নানা রকমের পচনশীল জৈব আবর্জনা/ বর্জ্য পদার্থকে অল্প গোবর, কচুরীপানা, কলাগাছের অংশ, পুকুরের পাঁক, কাঠের ছাই, বর্জ্য ফল, ফুল, সব্জি ও শিম্বজাতীয়( লেগুমিনাস বা রাইজোবিয়াম যুক্ত) গাছের সবুজ অংশ ইত্যাদি দিয়ে অল্প পচিয়ে নিয়ে, কেঁচোকে খাইয়ে খুবই কম সময়ে (৪৫-৬০ দিন) উৎকৃষ্টমানের কেঁচোসার তৈরী করা হয় ।
২) কম্পোষ্ট সার : এছাড়া বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি মেনে কম্পোষ্টসারও প্রয়োজন মতো তৈরী করা হয় উপরোক্ত বর্জ্য আবর্জনা থেকে।
৩) সবুজসার : দুই প্রকারের ধইঞ্চা, শণ, লজ্জাবতী, গাইমুগ ও গোখাদ্য বরবটি ও বারসীম, মোট ৭ রকমের রাইজোবিয়ামযুক্ত সবুজসারের গাছ চাষ করা হয়। কিছুটা বীজের জন্য রেখে, বাকী সবটাই কেঁচোসারের মান উন্নত করার জন্য কেঁচোর খাবারে মিশিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়া যে কোনও চাষের আগে জমিতে এর বীজ ছড়িয়ে দিয়ে ৪০ দিন পর বর্ষায়, মাটিতে তা মিশিয়ে দেওয়া হয়। এর দ্বারা জৈব নাইট্রোজেন, অল্পমাত্রীয় খাদ্য উপাদান ও হরমোন ইত্যাদি পাওয়া যায়।
৪) সবুজ পাতাসার : দুই রকমের রাইজোবিয়ামযুক্ত সবুজ পাতাসারের গাছ চাষ হয়। সাধারণতঃ যা জমির আলের ধারে ধারে বা অন্যত্রও লাগানো যেতে পারে। কিছু অংশ বীজের জন্য ছেড়ে গাছের বাকী সবটাই কেঁচোসারের উৎকৃষ্টতা বাড়ানোর জন্য কেঁচোর খাবারে মেশানো হয়। সাধারণভাবে এই গাছ আলে লাগানো হলে ঐ পাতা জমিতে পড়ে এবং অল্প সময়ে সবুজ পাতাসারে পরিণত হয়।
৫) জীবাণুসার : নাইট্রোজেন-আবদ্ধকারী ৩ টি ও ফসফেট-দ্রবণকারী ২ টি জীবাণুসার বিজ্ঞান সম্মতভাবে সংরক্ষণ করা হয় এবং এর মধ্যে ১ টি নাইট্রোজেন-আবদ্ধকারী (অ্যাজেটোব্যাক্টর) এবং ১ টি ফসফেট-দ্রবণকারী ( আরবাসকুলার মাইকোরাইজা ছত্রাক ) জীবাণুসার পরীক্ষাগারে তৈরীও করা হয়।
৬) অ্যাজোলা : একটি জলজ ফার্ন, যার মধ্যে নাইট্রোজেন –আবদ্ধকারী আলগী (অ্যানাবিনা, নস্টক) থাকে এবং নির্দিষ্ট অগভীর জলাশয়ে চাষ করা হয়ে থাকে। অল্প কিছু, বিশেষ করে আমন ধানের জমিতে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং বাকিটা কেঁচোর খাবারে উৎকৃষ্টতার জন্য মিশিয়ে দেওয়া হয় বা কেঁচোসারেও মিশিয়ে দেওয়া হয়। পরপর দু বছর অ্যাজোলা আমন ধানের জমিতে প্রয়োগ করলে তৃতীয় বছর থেকে তা আপনা থেকেই জন্মায়।
খ)তরল জৈবসার : নিম্নলিখিত ৬ প্রকারের তরল জৈবসার উৎপাদন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।
১)কেঁচোধোয়া/ কেঁচোর বেডধোয়া জল : কেঁচোসার তৈরী হয়ে গেলে, বেডের উপর জল ছড়িয়ে বা কেঁচোকে উষ্ণ/ হাল্কা গরম জলে ধুয়ে এগুলি তৈরী করা হয়।
২)নেচারভেল : কতকগুলি সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়াকারী ব্যাকটিরিয়া্র মিশ্রণ, যা গুড় মিশ্রিত জল দ্বারা বৃদ্ধি করা হয়।
৩) সঞ্জীবনী : (ক) বীজ সঞ্জীবনী (খ) পৌধ সঞ্জীবনী – গোবর, গমুত্র ও জল দিয়ে তৈরী করা হয়।
৪) পঞ্চগব্য : গোবর, গোমূত্র, দুধ, দই, ঘি ও জল দিয়ে তৈরি করা হয়।
৫) শস্যগব্য : গোবর, গোমূত্র, বর্জ্যশস্য বা শাকসব্জির খোসা ও জল দিয়ে তৈরী হয়।
৬) কুনাপাজালা : গোবর, গোমূত্র, বর্জ্য মাছ মাংসের অবশিষ্ট অংশ ও জল দিয়ে তৈরী করা হয়
গ) রোগ ও কীটনাশক জীবাণু : কতকগুলি নির্দিষ্ট রোগের বা কীট পোকা দমনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু জীবাণু (ছত্রাক/ব্যাকটিরিয়া ), হয় গাছের গোঁড়ার মাটিতে বা জলে গুলে ছেঁকে স্প্রে করা হয়। এছাড়া নির্দিষ্ট কিছু বন্ধু পোকাও ছাড়া যেতে পারে জমিতে শত্রু পোকা দমনের জন্য।
নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষার ফলাফল :
১) ধান : যেসব জমিতে ২০১১ সাল থেকে পুরোপুরি উপরোক্ত সীমিত জৈবখাদ্য উপাদান এবং কীটনাশক দিয়ে জৈব পদ্ধতিতে ধানচাষ করা হচ্ছে, সেই সব জমিগুলিতে প্রথম ফসলে রাসায়নিকের তুলনায় কম, পরের ফসলে সমান এবং তার পরের ফসল থেকে অল্প অল্প ধানের ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন জমিগুলি থেকে প্রতি কাঠায় ২-৩ কেজি ধান ( সুপ্রভাত/আম্রপালী) বেশী পাওয়া যাচ্ছে। সব থেকে বড় কথা কোনো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়নি। এছাড়া রোগ ও কীট-পোকার আক্রমণও অবিশ্বাস্যভাবে কমে গিয়েছে।
যেসব জমিতে ধাপে ধাপে জৈবখাদ্য উপাদান প্রয়োগ বৃদ্ধি অ-রাসায়নিক খাদ্য উপাদান প্রয়োগ কম করা হয়েছে (সুসংহত উদ্ভিদখাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতি ), সেই জমিগুলিতে প্রথমে ফসল পুরো রাসায়নিকের সমান এবং পরের ফসল থেকে ফলন অল্প অল্প বৃদ্ধি পেয়েছে। তাছাড়া রোগও কীট-পোকার আক্রমণ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে।
এছাড়া এই দুই প্রকার চাষে, চাষের খরচ, মাটি ও পরিবেশ দূষণ অনেকাংশে কমে গিয়েছে।
২)আলু : আলুচাষে সীমিত জৈবখাদ্য উপাদান (জৈবকৃষি) দ্বারা এখনও পর্যন্ত আলুর ফলন (জ্যোতি),
রাসায়নিকের তুলনায় সমান হয় নি বা বৃদ্ধিও পায়নি। তবে যদিও ফলনের পার্থক্য অনেক, তবুও ধীরে ধীরে রাসায়নিকের ফলনের কাছাকাছি আসছে (পোখরাজ)। এর কারণ হল, আলুর যে পরিমান খাদ্য চাহিদা, এখনও পর্যন্ত সীমিত জৈবখাদ্য উপাদান তা পূর্ণ করতে সক্ষম হচ্ছে না। তবে সুসংহত উদ্ভিদখাদ্য প্রয়োগ পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে জৈব খাদ্য উপাদান বাড়িয়ে এবং রাসায়নিক খাদ্য উপাদান
কমিয়ে, প্রায় রাসায়নিকের সমান আলু (পোখরাজ, জ্যোতি ) উৎপাদন হতে চলেছে।
আলু চাষের ব্যাপারে আর একটি বিশেষ খবর : তিন বছরের পরীক্ষার ফলাফল থেকে জানা যায় যে গতানুগতিক / পারস্পরিক আলুচাষ পদ্ধতি পালন ও রাসায়নিক সার প্রয়োগের তুলনায়, জমি না খুঁড়ে, ভালো করে খড় ঢাকা দিয়ে আলুচাষ করে এবং অনুমোদিত মাত্রায় রাসায়নিক সার ও রোগ-কীটনাশক প্রয়োগ করে আলুর ফলন ২৪.০৯% বৃদ্ধি পেয়েছে।
একইভাবে গতানুগতিক / পারস্পরিক আলুচাষ পদ্ধতি পালন ও সীমিত জৈব খাদ্য উপাদান এবং জৈব রোগ-কীটনাশক প্রয়োগের তুলনায়, জমি না খুঁড়ে ভাল করে খড় ঢাকা দিয়ে আলুচাষ করে এবং সীমিত মাত্রায় জৈব খাদ্য উপাদান এবং জৈব রোগ কীটনাশক প্রয়োগ করে ৯.৯৮% আলুর ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয় ঢাকা দেওয়া খড় পরে কম্পোষ্টসারে পরিণত হয়েছে। এক্ষেত্রে অবশ্যই বলা যায় যে রাসায়নিকের তুলনায় সীমিত জৈবখাদ্য উপাদান প্রয়োগের দ্বারা আলুচাষ আলুর ফলন এখনও অনেকটাই পিছিয়ে আছে।
এছাড়া গম, মুগ, মুসুর, বাদাম, সূর্যমূখী, তিল, সরষে, ফুলকপি, বাঁধাকপি, রাঙ্গালু, শাঁখালু, ফুল, আদা, নারিকেল, আম, ভুট্টা, বেবিকর্ণ ও নানারকম শাকসব্জি চাষে জৈব কৃষি খাদ্য উপাদান, রোগ ও কীটনাশক প্রয়োগ করে আশাতীত ফল পাওয়া গেছে। এর ফলে ফসল ফলার সময় অবধি বৃদ্ধি, মান, ফলন এবং আস্বাদনও বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া রোগ ও কীট পোকার আক্রমণের প্রাদুর্ভাব অনেক কমেছে। রাসায়নিক সারের ও রোগ-কীটনাশকের ব্যবহার কমেছে, ফলে খরচও কমেছে। মাটি ও পরিবেশ দূষণ কম হচ্ছে।
এছাড়া যেখানে ধাপে ধাপে রাসায়নিক খাদ্য উপাদান কম প্রয়োগ ও রোগ কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে জৈব খাদ্য উপাদান ও রোগ কীটনাশকের প্রয়োগ বৃদ্ধি করা হয়েছে, সেখানে অচিরেই ফলন রাসায়নিক সার ও রোগ-কীটনাশকের প্রয়োগের সমান হয়েছে বা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রোগ ও কীট-পোকার আক্রমণ ধীরে ধীরে কম হয়েছে।
- Dr. Gopal Chandra Setua (Former scientist of Central Silk Board, India)
Share your comments