মৃদুমন্দ ছন্দে বয়ে চলা নদীর মাঝে ছবির মতো সুন্দর সবুজ এক দ্বীপ৷ দুধারে পাম-মেহগনি-পাইন গাছের ছাওয়ায় প্রাণ জুড়ানো হাওয়া৷ মিঠে রোদ, নদীতে বয়ে চলা অবিরাম ঢেউ, কেউ কেউ ছিপে মাছ ধরছেন, এমন মনোরম দৃশ্য কে না উপভোগ করতে চায়। কোথায় গেলে দেখতে পাবেন এই দৃশ্য? চলুন হদিশ দিই আপনাদের এমন এক জায়গার, যেখানে সপ্তাহান্তে গেলে আর ফিরতেই ইচ্ছে করবে না।
কলকাতা থেকে ৭৫ কিলোমিটার দূরে বেহুলা ও হুগলি নদীর সংযোগস্থলে রয়েছে এক চর, নাম সবুজ দ্বীপ। হুগলি জেলা পরিষদ ও মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে স্বপ্নের মতো সুন্দর এই জায়গার সংস্করণ হয়েছে। ঝাউ, পাম, ইউক্যালিপটাস, অর্জুন, শাল, সেগুন, মেহগনি, সুপারি, নারকেল ও দেবদারুর মহীরুহে এই দ্বীপের নাম ‘সবুজ দ্বীপ’ সার্থকতা পেয়েছে। পিকনিক হোক বা প্রিয়জনের সাথে, পরিবারের সকলের সাথে কিছুটা সময় কাটানোর এ এক আদর্শ জায়গা।
কি কি দেখবেন -
নবরত্ন মন্দি, সিংহবাহিনী মা জগদ্ধাত্রী। ঐতিহাসিক স্থান ১৭৬৫ সালের পিরামিডধর্মী পঞ্চরত্ন মন্দিরে শ্রী শ্রী মহাবিদ্যা, সুখাড়িয়ার প্রাসাদ, ১৮১০ সালে তৈরি নাগারা শৈলীর টেরাকোটার কাজে ২৫ চুড়োর বারোচালার আনন্দময়ী মন্দির, এর মধ্যে আবার রয়েছে দ্বাদশ শিবমন্দির, হরসু্ন্দরী ও নিস্তারিণী কালী মন্দির। শ্রীপুর জমিদারবাড়িতে কারুকার্যময় আটচালার দুর্গামন্ডপ। একচুড়োর রাধাগোবিন্দজিউর মন্দির, বাংলার তক্ষন শিল্পের নিদর্শন দোচালা চন্ডীমন্ডপ, আটচালা শিবমন্দির, গড়ের বাইরে রেখ শৈলীর জোড়া শিবের পঞ্চরত্ন মন্দির।
কীভাবে যাবেন –
হাওড়া থেকে ৪০ কিলোমিটার দুরের ব্যান্ডেল হয়ে ব্যাক লুপ লাইনে ত্রিবেণী, বলাগড়, সোমড়া বাজার রেল স্টেশন থেকে আসতে পারেন সবুজ দ্বীপ। সরাসরি ট্রেনও রয়েছে। সোমড়া বাজার রেল স্টেশন থেকে রিকশা বা পায়ে ১০ মিনিটের পথে সুখাড়িয়া গ্রাম বা সবুজ দ্বীপ ঘাট। এরপর নৌকা পেরিয়ে গন্তব্যে। বলাগড় থেকেও পায়ে হেঁটে বা রিকশায় সোমড়া বাজার পৌঁছে যাওয়া যায় সবুজদ্বীপে।
Image source -Google
Reated link - (Kenya Travel) রোমাঞ্চকর কেনিয়া ভ্রমণ – প্রকৃতির সৌন্দর্য আপনার মানসপটে অঙ্কন করতে হলে একমাত্র গন্তব্য কেনিয়া