পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত ঐতিহ্যমণ্ডিত অঞ্চল নবদ্বীপ। ভাগিরথী ও জলঙ্গী নদীর মিলনে একপাশে নবদ্বীপ ও অপরপাশে মায়াপুর বঙ্গের অন্যতম হেরিটেজ শহর। মহাপ্রভুর আকর্ষণে যে মজেছে, একমাত্র সেই জানে এই প্রেমরসের কি মাহাত্ম্য।
চলুন দেখে নিই, মহাপ্রভুর ধামে গিয়ে কোথায় কোথায় ঘুরব।
মহাপ্রভু শ্রী মন্দির (Mahaprabhu Sri Mandir) -
নবদ্বীপ ভ্রমণের অন্যতম মূল আকর্ষণ হলো মহাপ্রভু শ্রী মন্দির। ৫৫০ বছরের পুরনো এই মন্দিরে রয়েছে অপরূপ সুন্দর সোনার গৌড়াঙ্গ। বেশ কিছু দেব-দেবীর বিগ্ৰহও রয়েছে এখানে। বলা হয়, কৃষ্ণনাম অর্থাৎ হরিনাম সংকীর্তনও এই মন্দিরেই প্রথম শুরু হয়, অতঃপর সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পরে। মহাপ্রভু শ্রী মন্দিরের পাশেই রয়েছে জগাই মাধাই মন্দির। এখানে মহাপ্রভু এবং জগাই মাধাই সহ বেশকিছু বিগ্ৰহ রয়েছে।
রাধারানি মন্দির (Radharani Mandir) –
পুষ্পশোভিত আসামান্য কারুকার্যমণ্ডিত রাধারানি মন্দিরের আর এক মাহাত্ম্য রয়েছে। কথিত আছে, রাসেশ্বরী অর্থাৎ শ্রী রাধিকাকে দেবীজ্ঞানে পুজো করতেই এই মন্দির নির্মাণ করা হয়। রাসপূর্ণিমায় এই মন্দির যেন এক আলাদা মাত্রা পায়। রাধারানি মন্দির দেখে আপনি যে মুগ্ধ হবেনই, তা বলার অপেক্ষা রাখে না!
মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের জন্মস্থান যোগপীঠ (Yogpith) -
‘যোগপীঠ’ – এই স্থানেই ১৪৮৬ সালে মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যের জন্ম হয়। মহাপ্রভুর জন্মস্থান নিয়ে সুদীর্ঘ মতভেদ থাকলেও ১৮৮৭ সালে অবহেলায় পড়ে থাকা একটি বাড়ির দেওয়ালে মহাপ্রভুর চৈতন্যর জন্মের দেওয়াল চিত্র আবিষ্কৃত হয়। পরে ১৮৯৩ সালে এই স্থানেই যোগপীঠ মন্দির প্রতিষ্ঠা করা হয়।
আরও পড়ুন - জানুন বাঁকুড়ার বিভিন্ন হস্তশিল্প সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য (Different Handicrafts Of Bankura)
সমাজবাড়ি আশ্রম -
নবদ্বীপ মানেই পরম আরাধ্য দেবদেবী রাধাকৃষ্ণ, তাঁদের প্রেমলীলা, আর মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য দেবের গাঁথা। মূল মন্দিরে বেশ কিছু দেব-দেবীর বিগ্ৰহ রয়েছে। দেবদেবীর যে কোন স্থানে গেলেই আমাদের একটি সুপ্ত বাসনা থাকে মন্দিরের ভোগের প্রতি। এই সমাজবাড়ি আশ্রম হল এরকমই একটি জায়গা, এখানে দুপুরে ভোগ খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।
আরও পড়ুন - (Sundarban the thrill of this winter) এই শীতে রোমাঞ্চ রস আস্বাদন করতে বেড়িয়ে আসুন সুন্দরবন