প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনা (PMFBY) থেকে কোটি কোটি কৃষক উপকৃত হয়েছেন। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী, কৈলাশ চৌধুরী, শস্য বীমা সপ্তাহের উদ্বোধনী প্রোগ্রামে জানান, বর্তমানে প্রায় ২৯ কোটি কৃষক এই প্রকল্পে আবেদন করেছেন।
সরকারী তথ্য অনুযায়ী, সর্বাধিক দাবি হিমাচল প্রদেশ, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের কৃষকরা করেছেন। মহামারীর এই দুঃসময়ে সরকার তাদের পাশে দাঁড়িয়ে তৎপরতার সাথে বীমার অর্থ প্রদান করেছেন এবং জরুরী অবস্থার ভিত্তিতে বাকিদেরও তা প্রদান করা হবে। তবে এখন এই প্রকল্পে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা প্রকল্পটি পূর্বে সকল কৃষকের জন্য বাধ্যতামূলক ছিল, কিন্তু এখন এটি স্বেচ্ছাসেবী করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন কৃষক যদি বীমার প্রিমিয়াম ব্যাঙ্কে জমা রাখেন, তবে তিনি এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন অন্যথায় এই সুবিধা থেকে কৃষক বঞ্চিত হবেন।
অধিক সংখ্যক কৃষককে সংযুক্তকরণ (Connecting more farmers) –
বক্তব্য রাখার সময় কৈলাশ চৌধুরী বলেছিলেন যে এই প্রকল্পের আওতায় আরও কৃষককে (PM Fasal Bima Yojana) সংযুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে প্রধানমন্ত্রীর ফসল বীমা যোজনা কৃষির সমৃদ্ধির পথে অভূতপূর্ব প্রমাণিত হয়েছে। অঋণী কৃষকরা নিজেরাই ফসল বীমার জন্য সিএসসি, ব্যাঙ্ক, এজেন্ট বা বীমা পোর্টালে করতে পারবেন।
এই প্রকল্পের ফলে, সুবিধাভোগী কৃষকদের কভারেজ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ঝুঁকি হ্রাস পেয়েছে। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতি বছর গড়ে সাড়ে ৫ কোটি কৃষক আবেদন করেন। ২০১৬ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত মোট ২৯ কোটি কৃষক আবেদন করেছেন।
স্কিমের সুবিধা (Advantage Of This Scheme) -
বিগত বছর থেকে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা প্রকল্পটি কৃষকদের জন্য স্বেচ্ছাসেবী করা হয়েছে। সহজভাবে বলতে গেলে যারা লোণ নিয়েছেন, এটি আগে তাদের জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এখন এটি স্বেচ্ছাসেবী অর্থাৎ যে কেউ করতে পারেন। সমস্ত কৃষককে ব্যাঙ্কে শস্য বীমার জন্য আবেদন করতে হবে। যে কৃষক ব্যাঙ্কে গিয়ে ফসলের বীমা গ্রহণ করবেন, তাদের বীমা প্রিমিয়াম বাবদ অর্থ কেটে নেওয়া হবে, ফসল বীমার সুবিধাও তিনি পাবেন। এই বীমা স্কিমে, পূর্বের মতো, সমস্ত কেসিসি হোল্ডারদের নিজস্ব ফসল বীমা হবে না বা তাদের প্রিমিয়াম কাটা হবে না।
প্রধানমন্ত্রী শস্য বীমা যোজনা (PMFBY) কীভাবে সুবিধা পাবেন –
বীজ বপনের ১০ দিনের মধ্যে কৃষককে পিএমএফবিওয়াইয়ের আবেদন ফর্ম পূরণ করতে হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে আপনার ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হলেই বীমা সুবিধাগুলি দেওয়া হবে। বপন এবং ফসল কাটার মধ্যবর্তী সময়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রোগ এবং পোকার আক্রমণে ফসলের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। স্থায়ী ফসলের ক্ষেত্রে স্থানীয় দুর্যোগ, শিলাবৃষ্টি, ভূমিধ্বস, বজ্রপাত এবং বৃষ্টিতে ফসল নষ্ট হয়ে গেলেও কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়।
ফসল কাটার পর থেকে আগামী ১৪ দিন পর্যন্ত জন্য তা শুকানোর উদ্দেশ্যে জমিতে রাখা অবস্থায় প্রাকৃতিক জঞ্ঝা হলে, ঘূর্ণিঝড়, শিলাবৃষ্টি এবং ঝড়ের কারণে ফসল খতিগ্রস্থ হলে বীমা প্রতিষ্ঠানটি পৃথক ভিত্তিতে অযৌক্ত ফসলের ক্ষতিপূরণ কৃষককে দেবে। মরসুমে প্রতিকূল অবস্থার কারণে, আপনি যদি ফসল বপন করেন না, তাহলেও আপনি ক্ষতিপূরণ বাবদ উপকৃত হবেন।
প্রিমিয়ামটি কত দিতে হবে -
একজন কৃষককে খারিফ ফসলের জন্য ২% এবং রবি ফসলের ১.৫% প্রিমিয়াম দিতে হবে। পিএমএফবিওয়াই (PMFBY) প্রকল্পটিতে বাণিজ্যিক ও উদ্যানজাত ফসলের জন্য কৃষকদের ৫% প্রিমিয়াম দিতে হয়। কৃষকদের দ্বারা প্রদত্ত প্রিমিয়ামের হার ন্যূনতম এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে শস্যক্ষেত্রে ক্ষতি হলে কৃষকদের পুরো বীমা প্রদানের জন্য সরকার কর্তৃক ব্যালেন্স প্রিমিয়াম প্রদান করা হবে।
এই প্রকল্পের সুবিধা গ্রহণের জন্য, কৃষকের একটি ছবি, আইডি কার্ড, ঠিকানা প্রমাণ, জমির কাগজ, খসড়া নম্বর, জমিতে ফসলের প্রমাণ ইত্যাদি নথি দাখিল করতে হবে।
আরও পড়ুন - Ration Aadhar Linking – বাড়ি বসেই এখন অনলাইনে রেশন কার্ডের সাথে আধার কার্ড লিঙ্ক করুন এক ক্লিকে
কৃষকরা ফসলের বীমা দাবির জন্য বীমা সংস্থা এবং কৃষি বিভাগের বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। ফসলে ক্ষতির ক্ষেত্রে, ফার্ম-ভিত্তিক লোকসান দেখে টাকার পরিমাণ নির্ধারণ ও প্রদান করা হয়। বীমার ক্ষেত্রে কোন সমস্যা হলে কোম্পানির টোল-ফ্রি নম্বর ১৮০০২০০৫১৪২ বা ১৮০০১২০৯০৯০৯০ নম্বরে কৃষকরা যোগাযোগ করতে পারেন।
অধিক তথ্যের জন্য ক্লিক করুন প্রদত্ত লিঙ্কে - https://pmfby.gov.in/
আরও পড়ুন - PM Kisan Tractor Yojana – এই যোজনার আওতায় ট্রাক্টরে কৃষক পাবেন 50% ভর্তুকি পান; এখানে আবেদন করুন