কোনও ব্যক্তি যাতে খাদ্যশস্যের অধিকারযুক্ত কোটা থেকে বঞ্চিত না হয়, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় ভোক্তা বিষয়ক, খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন মন্ত্রক সমস্ত রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে সুস্পষ্ট নির্দেশনা জারি করেছে ।
আধার রেশন সংযুক্তকরণ (Aadhar Ration Link) -
সরকারের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, আধার কার্ডকে রেশনের সাথে সংযুক্তকরণ নিশ্চিত করবে যে, রেশনের অধিকারী কোনও ব্যক্তি এ জাতীয় সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না। আইএএনএসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ৮০ কোটি সুবিধাভোগীর প্রায় ৮৫% তাদের রেশন কার্ডের সাথে যথাক্রমে আধার নম্বর সংযুক্ত করেছেন।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ডিজিটাল রেশন কার্ডের একটি ধারণা চালু করেছে যার মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের রেশন কার্ডটি সমস্ত বাসিন্দাদের জন্য ডিজিটাল উপায়ে উপলব্ধ করা হবে। ডিজিটাল রেশন কার্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে নাগরিকরা প্রচুর সুবিধা পাবেন কারণ এতে নাগরিককে কোথাও পুরানো কাগজের রেশন কার্ড বহন করতে হবে না। এছাড়াও ডিজিটাল রেশন কার্ডের মাধ্যমে, বাসিন্দাদের পক্ষে যে কোনও নির্দিষ্ট সময়ে রেশন কার্ড সরবরাহ করা খুব সহজ হবে। ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়াটির দিকে ডিজিটাল রেশন কার্ড একটি দুর্দান্ত পদক্ষেপ যা ভারতে দীর্ঘদিন ধরে চলছে।
দুয়ারে সরকার (Duare Sarkar) -
পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই রাজ্যের যেসব নাগরিকদের কাছে এখনও ডিজিটাল রেশন কার্ড নেই তাদের জন্য কুপনের ব্যবস্থা করেছে। নাগরিকরা জেলা সদর, বিডিও, এসডিও, বা পৌরসভার সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কুপনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সরকার লকডাউনের সময়কালে ভর্তুকি হারে রেশনও ঘোষণা করেছিল। লকডাউন পিরিয়ড থেকে সাধারণ মানুষ ৬ মাসের জন্য রেশন পাবে ৫ কেজি/জন।
বর্তমানে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পের আওতায় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড থেকে শুরু করে, কিষাণ ক্রেডিট কার্ড, আধার সংযুক্তিকরণ ইত্যাদি সকল কিছুর সাথে সাথে রেশন কার্ডের সাথে আধার লিঙ্কও বাড়ি বাড়ি গিয়ে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেই অনলাইনে রেশন-আধার সংযুক্তিকরণ করলেও বেশীরভাগ মানুষই এখনও তা করে উঠতে পারেননি। তাই সকলে যাতে ডিজিটাল কার্ডের সুবিধা ভোগ করতে পারেন তার জন্যই এই ব্যবস্থা। এছাড়াও রেশন-আধার সংযুক্তিকরণের অন্য উপায়ও রয়েছে। ব্লকভিত্তিক শিবির করেও এই কাজ করা হবে আবার কোন ব্যক্তি ফর্ম নম্বর ১১ ফিল আপ করে রেশন অফিসে জমা দিতেও পারেন।
আরও পড়ুন - PMJAY - প্রধানমন্ত্রীর এই প্রকল্পের আওতায় কৃষক এবং শ্রমিকরা পাবেন বিনামূল্যে চিকিৎসা
ডিজিটাল কার্ডের সুবিধা হল, নাগরিকরা যখনই ডিজিটাল কার্ড ব্যবহার করে রেশন শপ থেকে রেশন তুলতে যাবেন, তখন ই-পস মেশিনে উপভোক্তার সমস্ত তথ্য দেখা যাবে। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য ওয়ান নেশন ওয়ান রেশন কার্ডের আওতায় যাতে আসে তার জন্য কিছুদিন পূর্বেই সুপ্রিম কোর্ট থেকে নির্দেশনা এসেছে। তবে ৫ বছর ধরে রাজ্যে চালু থাকা রেশন স্কিম ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পতেও খুশি সাধারণ মানুষ।