কেন্দ্রীয় সরকার মৎস্য চাষ প্রসারের জন্য প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (পিএমএমএসওয়াই) পরিচালনা করছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে, সরকার মাছ উৎপাদনে ব্যবহৃত কৌশলগুলি্তে প্রশিক্ষণ দিয়ে জেলেদের আয় বাড়াতে চায়। এর পাশাপাশি সরকার সারা দেশে Cage Culture প্রচার করছে। এটি বিশ্বাস করা হয় যে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে চিংড়ি উৎপাদনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে একটি মাছ রফতানি কেন্দ্র করারও পরিকল্পনা রয়েছে।
মাছের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায়, আগামী পাঁচ বছরে, সরকার সারা দেশে প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনার আওতায় ২০,০৫০ কোটি টাকা ব্যয় করবে। একই সঙ্গে মাছ রফতানি দ্বিগুণ করারও লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের লক্ষ্য মৎস্যজীবনের ধারাবাহিক ও দায়িত্বশীল বিকাশ সাধন করা। এ জন্য মাছ উৎপাদনের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। একই সঙ্গে, জেলেদের টেকসই জীবিকা সরবরাহ, মৎস্য বৈচিত্র্য বিদেশে রফতানি প্রচার করাও এর অন্যতম লক্ষ্য। এটি ছাড়াও শক্তিশালী ডাটাবেস তৈরি করে মাছের উৎপাদন প্রচার করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী মৎস্য সম্পদ যোজনা (PMMSY) -
মৎস্য ক্ষেত্র দেশে একটি উদীয়মান খাত হয়ে উঠছে। এই খাতের সাথে প্রায় ১৫ লক্ষ মানুষ কর্মসংস্থান পেতে চলেছেন, তাই কেন্দ্রীয় সরকার ক্রমাগত মৎস্য চাষের জন্য প্রচার করে চলেছেন। ২০২২-২৫ সাল নাগাদ সরকারের প্রায় ৫৫ লক্ষ লোককে কর্মসংস্থান দেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে।
ফিশারি স্কিমের উদ্দেশ্য (Goal of this scheme) -
এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। ফিশারি সেক্রেটারি ডাঃ রাজীব রঞ্জনের মতে, ২০১৮-১৯ সালে ১৩৭.৫৮ লক্ষ টন থেকে ২০২৪-২৫ বছরে ২২২ লক্ষ টনে মাছের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ২০২৪-২৫ বছরে হেক্টর প্রতি গড়ে জলজ চাষের উৎপাদন ৩.৩ টন থেকে হেক্টর প্রতি ৫.০ টনে বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
গ্রামীণ উন্নতি -
সরকার মাছ উৎপাদনের এমন একটি টেকসই ব্যবস্থা তৈরি করতে চায় যা পরিবেশ বান্ধব। এ জন্য সরকার সমন্বিত আধুনিক উপকূলীয় ফিশারি গ্রামগুলির উন্নয়ন করবে। এই প্রকল্পের জন্য সরকার ৭৫০কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য নীল অর্থনীতির প্রচারের মাধ্যমে উপকূলীয় জেলেদের সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী করা।
কারা এই সুবিধা পাবেন (Beneficiaries) -
১) মৎস্য সম্পদ যোজনার সুবিধা কেবল জেলে সম্প্রদায়ের মানুষরাই পাবেন।
২) যারা জলজ অঞ্চলে এবং এই সংক্রান্ত কাজ করছেন তারা এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য হবেন।
৩) ঝড়, বন্যা, ঘূর্ণিঝড়ের মতো যে কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগে আক্রান্ত জেলেরা এই পরিকল্পনাটির সুবিধা পাবেন।
৪) মাছ চাষীরা সহজেই তিন লাখ টাকা লোণ পাবেন। ইতিমধ্যে সরকার মৎস্য ক্ষেত্রকে কিষাণ ক্রেডিট কার্ডের সাথে সংযুক্ত করেছে।
আরও পড়ুন - Jan Dhan AC - ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে? পাবেন ২ লাখ টাকার বীমা কভারেজ, কীভাবে জানুন বিস্তারিত
ফিশিংয়ের পদ্ধতি -
কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০-২১ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পিএমএমএসওয়াই প্রকল্পের অধীনে মৎস্যজীবীদের জন্য ২৮৮১.৪১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। এই জন্য নতুন মৎস্য আহরণের পদ্ধতি বিকাশ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় হুক এবং লাইন ফিশিং, ট্র্যাপ ফিশিং, ডাউন সেট, টুনা লংলাইন এবং পট ফিশিংয়ের মতো পদ্ধতি পরিচালিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন - PMGKY Scheme- প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা দীপাবলি পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ সরকারের