অনন্তমূল একটি বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠল লতানে গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ। রোহিণী কাণ্ডের অবলম্বনে এর বৃদ্ধি ঘটে। কাণ্ডটি সুগন্ধযুক্ত, কাণ্ড ও পাতায় আঘাত করলে সাদা তরুক্ষীর নিঃসৃত হয়। পাতা লম্বাকার এবং মধ্যশিরার ওপর সরু ঈষৎ শুভ্রাভ দাগযুক্ত। গুচ্ছাকারে সবুজ বর্ণের ফুল ধরে এবং ফল সরু ও লম্বাটে হয়।
জলবায়ু ও মাটি –
অনন্তমূল গ্রীষ্মপ্রধান অঞ্চলের উদ্ভিদ। ঝোপ- ঝাড় ও পতিত জমিতে এই উদ্ভিদ দেখা যায়। প্রায় সকল ধরণের মাটিতেই এটি জন্মায়। বিশেষ কোন মাটির প্রয়োজন হয় না।
চারা তৈরি –
শিকড়ের কাটিং এবং বীজের চারা বর্ষার আগে তৈরি করা শুরু হয়। বীজ মাটিতে ফেলা হয়। ৪ ইঞ্চি সাইজ করে শিকড় কেটে হাপরে বসালে ৩ সপ্তাহের মধ্যে চারা তৈরি হয়ে যাবে।
চারা রোপণ (Plantation) –
বর্ষার শুরুতে মূলত এর চারা রোপণ করা হয়। একটি থেকে অপর চারা ২-৩ ফুট দূরত্ব রেখে বসাতে হবে।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি –
এর চাষের জন্য জমি তৈরির সময় বিঘা প্রতি ১০ কুইন্ট্যাল গোবর সার বা ভার্মিকম্পোস্ট প্রয়োগ করা হবে।
ফলন –
চারা রোপণের ৬ মাস পর থেকে বছরে একাধিকবার এর শিকড়, আঠা ও পাতা সংগ্রহ করা যায়।
ঔষধি ক্ষেত্রে ব্যবহার (Medicinal Usage) –
-
কিডনির সঠিক কার্যকারিতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
-
রক্ত থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন অপসারণ করে।
-
রিউমাটয়েড আর্থারাইটিস নিয়ন্ত্রণেও এটি সহায়তা করে।
-
হজম শক্তির বৃদ্ধি ঘটায়।
-
অনন্তমূল গাছের পাতার রস ১০-১৫ মিলি অল্প জল সহযোগে অথবা থেতো করে রাতে গরম জলে ভিজিয়ে রেখে রস সকালে খালি পেটে খেলে অরুচির সমস্যা দূর হয়।
-
১.৫ গ্রাম শিকড় বেটে মধুর সঙ্গে ৩-৪ দিন সেবন করলে কাশি নিরাময় হয়।
-
এর শিকড় বাটা লবণ সহযোগে সেবন করলে হাঁপানি রোগ থেকে মিলবে মুক্তি।
-
এই উদ্ভিদের শিকড় একজিমা রোগ নিয়ন্ত্রণে খুবই কার্যকরী।
আরও পড়ুন - সারাদিনের স্ট্রেস থেকে রিলিফ মাত্র একটি লেবুতে! কি বলছেন বিজ্ঞানীরা