কৃষিজাগরন ডেস্কঃ কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানে আবারও ডেঙ্গু তাণ্ডব চালাচ্ছে। অনেকেই এর শিকার হচ্ছেন।ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত মশার কামড়ে এই জ্বর হয়। ডেঙ্গুতে রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট দ্রুত কমে যায়। যার ফলে ওই রোগীকে প্লেটলেট দেওয়া প্রয়োজনীয় হয়ে পরে। প্লেটলেট কাউন্ট কমে গেলে রোগীর রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যায় এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না হলে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
জেনে নিন কখন প্লেটলেট দান করতে হয়
চিকিৎসক বা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু জ্বরে রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট কমে যায়। একজন সুস্থ ব্যক্তির রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা ১.৫০ থেকে ৪.৫০ লাখ থাকে। ডেঙ্গু রোগীদের প্লেটলেট কাউন্ট ২০ হাজারের নিচে নেমে গেলে এই অবস্থায় প্লেটলেট দেওয়া হয়। এটি শুধুমাত্র ডেঙ্গুর ক্ষেত্রে অল্প শতাংশে ঘটে। বেশিরভাগ রোগী প্লেটলেট ট্রান্সফিউশন ছাড়াই যথাযথ চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হয়ে ওঠেন। তবে ডেঙ্গুর লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পরীক্ষা করাতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসায় বিলম্ব হলে অবস্থা গুরুতর হতে পারে।
আরও পড়ুনঃ স্বাস্থ্যের ঝুঁকি উল্লেখ করে সাধারণ আগাছানাশক গ্লাইফোসেটের ব্যবহার নিষিদ্ধ করল PAN
এ ধরনের মানুষের জন্য ডেঙ্গু মারাত্মক হতে পারে
চিকিৎসকদের মতে সময় মত সঠিক চিকিৎসা করা গেলে প্রায় এক সপ্তাহের মধ্যে তা সেরে উঠতে পারে। তবে, ডায়াবেটিস, যক্ষ্মা, এইডস এবং ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য ডেঙ্গু মারাত্মক হতে পারে। এই ধরনের লোকদের ডেঙ্গু সম্পর্কে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়া উচিত। একই সময়ে, ডেঙ্গুর কারণে ডায়াবেটিস রোগীর রক্তে শর্করার মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে, যার কারণে মাল্টি-অর্গান ব্যর্থতার ঝুঁকি থাকে। উচ্চ বা নিম্ন রক্তচাপও ডেঙ্গুর কারণে হতে পারে। এই জ্বর বয়স্ক এবং ছোট শিশুদের জন্য খুবই বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।
এগুলো ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ
প্রচণ্ড জ্বর ও প্রচণ্ড ব্যথা, ত্বকে ফুসকুড়ি, চোখের নিচে ব্যথা, জয়েন্ট ও পেশি, চরম ক্লান্তি, বমি বমি ভাব এবং পেটে ব্যথা সবই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ।
আরও পড়ুনঃ ওজন কমাতে প্রতি সপ্তাহে যেসব খাবার খাবেন
ডেঙ্গু থেকে নিজেকে ও পরিবারকে দূরে রাখবেন যেভাবে
ডেঙ্গু জ্বর থেকে বাঁচতে হলে মশার হাত থেকে বাঁচতে হবে। এ জন্য মশা নিরোধক ক্রিম বা লোশন লাগান। রাতে মশারি দিয়ে ঘুমান। জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন এবং রক্ত পরীক্ষা করান। সঠিক সময়ে এর চিকিৎসা নিলে এক সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু থেকে সেরে উঠতে পারেন।