Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 16 May, 2020 12:54 AM IST

কলা, সারাবছরই পাওয়া যায় স্বাস্থ্যকর এই ফলটি৷ কাঁচা এবং পাকা, দু অবস্থাতেই এটি খাওয়া হয়৷ কাঁচা কলা সবজি হিসেবে রান্না করে খাওয়া হয়, পাকা কলা বিভিন্ন ভাবে খাওয়া হয়৷ কলা দিয়ে নানান পদও তৈরি করা হয়৷ সারাবছরই আমাদের খাদ্যতালিকায় যে ফলগুলি থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হল কলা৷

কলা মুসাসেই গোত্রীয় ফলের অন্তর্গত। এর বৈজ্ঞানিক নাম হল মুসা অ্যাকিউমিনাটা, মুসা বালবিসিয়ানা৷ কলা (বাংলা), Banana (ইংরেজি), কেলা (হিন্দি), বিভিন্ন ভাষায় বিভিন্ন নামে পরিচিত এই ফল৷ কাঁচা অবস্থায় সবুজ, পাকা অবস্থায় হলুদ বর্ণের হয় এটি৷ আবার লাল কলাও (বাইরের খোসার রঙ) পাওয়া যায় অনেক জায়গায়৷ 

কলার বিভিন্ন প্রকারভেদ রয়েছে৷ কিছু কলাতে আবার বীজ থাকে৷ কিছু কলাতে থাকে না৷ কলার গাছের শুধু ফলই নয়, এর বিভিন্ন অংশ আমরা ব্যবহার করে থাকি৷ তাই কলার চাষও কৃষকদের জন্য যথেষ্ট লাভজনক। ফলের পাশাপাশি কাণ্ড, ফুল, পাতা, কলার খোসা, এসবও আমরা ব্যবহার করি৷

প্রতি ১০০ গ্রাম পরিমাণ কলায় রয়েছে- জল- ৭০.১%, আমিষ- ১.২%, ফ্যাট- ০.৩%, খনিজ লবণ- ০.৮%, ক্যালসিয়াম- ৮৫মি.গ্রা., ফসফরাস- ৫০মি.গ্রা., আয়রন- ০.৬মি.গ্রা., আঁশ- ০.৪%, শর্করা- ৭.২% প্রভৃতি উপাদান রয়েছে৷

এবার দেখে নেওয়া যাক আমাদের শরীরের জন্য কলা কেন প্রয়োজন (Benefits of Banana)-

১) হার্টের সুরক্ষায়- কলা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ, এমন আমাদের হার্টকে সুস্থ রাখতে গেলে অন্যান্য উপাদানের মতো প্রয়োজন রয়েছে পটাশিয়ামেরও৷ যার ফলে আমাদের হৃদযন্ত্র শুধু সুস্থই থাকে না, এর কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়, এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে৷

২) হজমশক্তি বাড়াতে- কলাতে ফাইবার বিদ্যমান, যা আমাদের হজমে খুবই সাহায্য করে এবং পরিপাকক্রিয়াতেও সাহায্য করে৷ গ্যাস্ট্রিক সমস্যা সমাধানেও এর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ৷ এছাড়াও কলার মধ্যে থাকা উপাদানগুলি আমাদের শরীর থেকে মেদকে দূরে রাখে৷ এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য, কাঁচা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সহায়তা করে থাকে৷

৩) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে- পটাশিয়ামের পাশাপাশি কলাতে সোডিয়াম এবং কার্বোহাইড্রেট এই দুটি উপাদানও বিদ্যমান, যা আমাদের শরীরের প্রতিদিনের এই উপাদানের যে চাহিদা তার জোগান দেয়৷ এবং সেই সঙ্গে রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে৷

৪) ওজন নিয়ন্ত্রণে- কলার মধ্যে বিদ্যমান ফাইবার এক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন৷ প্রতিদিন নিয়ম করে একটি বা দুটি কলা শরীর থেকে বাড়তি মেদ যেমন দূরে রাখে তেমনই ওজনও নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে৷

৫) হাড়ের শক্তিবৃদ্ধিতে- কলাতে বিদ্যমান ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম হাড়ের গঠন মজবুত করতে খুবই প্রয়োজনীয়৷ আমাদের শরীরকে অস্টিওপোরোসিসের মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এই উপাদানগুলি৷ তাই খাবারের তালিকায় রোজ একটা করে কলা থাকা আবশ্যক৷

৬) রক্তাল্পতার সমস্যা সমাধানে- অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন৷ কলাতে থাকা ভিটামিন এই সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে৷ কলাতে থাকা তামা এবং লোহাও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে৷

৭) ডায়েরিয়া নিয়ন্ত্রণে- ছোট থেকে বড় সকলকেই ডায়েরিয়ার মতো সমস্যা থেকে বাঁচাতে কলার জুড়ি মেলা ভার৷ পেটের কোনও সমস্যা, কোষ্ঠাকাঠিন্য দূর করতে কাঁচা কলা, পাকা কলা উভয়ই খুব কার্যকরী৷

৮) ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে- কলাতে কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার রয়েছে প্রচুর পরিমাণে, যা, রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে৷

৯) ত্বকের সুরক্ষায়- ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে, ব্রণর সমস্যা কমাতে, বলিরেখা পড়া রুখতে, পাকা কলা চটকে, বা তার সঙ্গে কিছুটা মধু মিশিয়ে অনেকে মুখে ২০ মিনিট ফেসপ্যাক হিসেবে মেখে তা ধুয়ে ফেলেন৷

১০) চুলের সুরক্ষায়- চুলের স্বাস্থ্য রক্ষায় অনেকে পাকা কলা ব্যবহার করেন৷ পাকা কলার সঙ্গে দই মিশিয়ে চুলে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে দিলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো হয়৷ মজবুত হয়৷ এছাড়া পাকা কলা, নারকেলের দুধ, অ্যাভোক্যাডো মিশিয়ে, সেই পেস্ট চুলে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে দিলে চুল নরম হয়৷

কলার ব্যবহার (Usage of Banana)- কলার জুস, কলা থেকে বিভিন্ন মিষ্টি, প্যানকেক, কেক এমন অনেক কিছু পদই তৈরি করা হয়৷ দক্ষিণ ভারতে আবার কলা ভাজাও খুবই জনপ্রিয়৷ এছাড়া রূপচর্চায় কলার ব্যবহারও প্রায় সকলেরই জানা৷ তাই প্রতিদিন কলা খেলে বহু সমস্যা থেকেই আমাদের শরীর রক্ষা পাবে৷ তবে কলা বা কোনও ফলে অ্যালার্জি থাকলে সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই তা খাওয়া উচিত৷

বর্ষা চ্যাটার্জি

English Summary: Health Benefits of Banana
Published on: 15 May 2020, 04:30 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)