যষ্টিমধুর নাম অনেকেই শুনেছেন, কিন্তু মধুর সাথে নামের সামঞ্জস্য থাকলেও মধুর স্বাদ কিন্তু এতে কোনভাবেই নেই। তাহলে কি এই জিনিসটি? যষ্টিমধু হিসেবে যা আমরা ব্যবহার করি তা আসলে গাছের শিকড়। এর প্রধান ব্যবহার ওষুধ (Medicinal Herb) হিসেবে। প্রাচীনকাল থেকেই এটি ওষুধ তৈরির অন্যতম উপাদান হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে (Increases Immunity) -
যষ্টিমধুতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, যা ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। ফুড কেমিস্ট্রি নামক জার্নালে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে, যষ্টিমধু শরীর থেকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিকেল দূর করতে সহায়তা করে এবং শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে উন্নত করে তোলে।
ত্বককে প্রাণবন্ত করে -
ষষ্ঠিমধু ত্বকের একজিমা, সোরিয়াসিস, প্রদাহ, সানবার্ন ও পায়ের ছত্রাক জনিত অ্যাথলেট’স ফুট নিরাময় করতে পারে। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন ফোলা ভাব ও চুলকানি হলে যষ্টিমধুর নির্যাস ব্যবহারে পরামর্শ দেওয়া হয়।
অ্যালার্জি প্রতিরোধক -
যষ্টিমধুর গ্লাইসিরাইজিক অ্যাসিড মাস্টকোষ হতে হিস্টামিন নিঃসরণ কমিয়ে অ্যালার্জি প্রতিরোধ করে।
লিভার সুরক্ষায় -
লিভারের সমস্যাতেও যষ্টিমধু বেশ উপকারী। এতে থাকা গ্লাইসিরাইজিন নামক যৌগ লিভারকে সুরক্ষা প্রদান করে।
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি -
স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি করতে যষ্টি মধু কার্যকরী। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস দুধের সাথে যষ্টিমধুর গুড়ো মিশিয়ে পান করলে স্মৃতি শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
কফের সমস্যা -
যাদের বুকে কফ জমে থাকে ও খুসখুস কাশি হয় তারা চায়ের সাথে যষ্টিমধু মিশিয়ে পান করুন। এতে বুকের কফ ও কাশি সেরে যাবে।
শীতকালে খুসকি এবং চুল পড়া এক সমস্যা। আর যষ্টিমধু প্রাচীন যুগ থেকে চুলের জন্য ব্যবহার হয়ে আসছে। নিয়মিত যষ্টিমধু ও আমলকি মিশিয়ে মাথায় ব্যবহার করলে খুসকি ও চুল পড়া বন্ধ হবে।
আরও পড়ুন - জানুন আঁশফল বা কাঠ লিচুর উপকারিতা (Longan Health Benefits)