আমন্ড বাদাম এক অতন্ত্য গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য | মুদি দোকানে এই আমন্ডের দামও বেশ অনেক, অতঃপর এর বাজার চাহিদাও প্রায় সারাবছর তুঙ্গে থাকে | এই আমন্ড বাদাম আমাদের ত্বক, চুল উজ্জ্বল করতে যেমন কাজে লাগে তেমনি আমাদের শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে | আপনিও নিশ্চই আপনার বাড়িতে এই আমন্ডের চাষ করতে ইচ্ছুক ? আপনি আরও অবাক হবেন খুব সহজেই আমন্ডের বীজ থেকেই চারা তৈরী করতে পারবেন ঘরে | তবে, দেখে নিন কোন পদ্ধতিতে আমন্ডের বীজ থেকে চারা তৈরী করা যায়,
প্রথম পর্ব(1st Step):
প্রথমে ১০ থেকে ১২ টা আমন্ড নিয়ে এক টা কাপে জল দিয়ে প্রায় ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে | মাঝে একবার জল বদলে দিতে হবে যাতে ছত্রাক না লাগে |
দ্বিতীয় পর্ব(2nd Step):
১২ ঘন্টা পর দেখা যাবে বাদামগুলো ফুলে উঠেছে | এরপর একটা আয়তাকার জায়গায় কোকোপিটের একটা স্তর রাখতে হবে | কোকোপিট্ জলে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে রাখতে হবে | তার ওপরে বাদামগুলো সাজিয়ে নিতে হবে | তার ওপরে আবার কোকোপিট্ দিয়ে দিতে হবে | যেহেতু আমন্ড উৎপাদনের জন্য ঠান্ডা আবহাওয়া প্রয়োজন, তাই যে আয়তাকার বাক্স নেওয়া হয় সেটার ঢাকা বন্ধ করে ফ্রিজের যেখানে সব্জি রাখা হয় সেখানে রাখতে হবে | মনে রাখতে হবে, কখনোই ডিপ ফ্রিজে রাখা যাবেনা |
১০ থেকে ১৫ দিন পর খুলে একবার পরীক্ষা করা যেতে পারে | তবে, অঙ্কুরোদগমের জন্য মূলত ২০ থেকে ২৫ দিন লাগে | ২২ ২৩ দিন পর দেখা যাবে অঙ্কুরোদ্গম হয়েছে যা বপণ যোগ্য |
রোপণ পদ্ধতি(Plantation method):
প্রথমে ৫০ শতাংশ কোকোপিট্ নিতে হবে | বাগানের মাটি কিছুটা, কিছুটা পারলাইট, কিছুটা বালি ও দুমুঠো কম্পোস্ট নিয়ে একটা ৫০ শতাংশের মিশ্রণ বানাতে হবে | এই মিশ্রনের সঙ্গে ৫০ শতাংশ কোকোপিট্ মিশিয়ে দিতে হবে | এরপর এক একটি টবে ১ টি করে বীজ পুঁতে দিতে হবে | পরথমে মাটির মিশ্রণ দিয়ে তারপরে বীজ দিয়ে তারপর আবার ১ ইঞ্চি মতো মাটির স্তর দিয়ে টব ভর্তি করতে হবে | ওপর থেকে জল দিয়ে দিতে হবে | ছায়া তে রাখতে হবে টব | করা রোদে রাখা যাবেনা |
আরও পড়ুন - Student credit card 2021: সুখবর! পুজোর আগেই হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর অ্যাকাউন্টে ঢুকবে টাকা
সার প্রয়োগ(Fertilizer):
এই গাছের সর্বাধিক পুষ্টি ও বৃষ্ঠির জন্য প্রয়োজনীয় ২ শতাংশ নাইট্রোজেন, ১.২ শতাংশ পটাসিয়াম, ২.২ শতাংশ ক্যালসিয়াম, ০.৩ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম | ১ থেকে ৩ বছরের গাছের জন্য, গাছ বসানোর দ্বিতীয় ও তৃতীয় বছরের পর থেকে ৫.৩ oZ প্রয়োগ করতে হবে | বৃদ্ধিপ্রাপ্ত গাছের জন্য ৩.৬ থেকে ৫.৪ কেজি ১২:১২:১৭ নাইট্রোজেন, পটাসিয়াম ও ক্যালসিয়াম মিশিয়ে তার সাথে ২ গ্রাম ম্যাগনেসিয়ামঅক্সাইড মিশিয়ে গাছে প্রয়োগ করতে হবে | ফেব্রুয়ারী-মার্চ মাসে জলে দ্রবীভূত সার এন-পি-কে ১৫:১৫:১৫ হরে প্রয়োগ করতে হবে | এপ্রিল-মে মাসের দিকে গাছে সেচ দিতে হবে | এই গাছে নিমখোল ও কম্পোস্ট সার হিসাবে প্রয়োগ করা যেতে পারে |ছত্রাক লেগে যাতে গাছের ক্ষতি না হয়, তাই গাছকে সবসময় ছায়া যুক্ত স্থানে রাখতে হবে | প্রয়োজনে নিম তেল প্রয়োগ করা যেতে পারে |আগাছা জন্মালে তা অবশ্যই পরিষ্কার করে দিতে হবে |
আরও পড়ুন -Sheep rearing guide: স্বল্প পুঁজিতে গাড়ল পালনে হয়ে উঠুন লাভবান