'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 24 May, 2021 3:24 AM IST
Black peeper (Image Credit - Google)

ভারতীয় রান্নায় ব্যবহৃত মশলার মধ্যে গোলমরিচ সর্বাধিক পরিচিত। গোলমরিচের বাজারদরও বেশ ভালো । দেশ-বিদেশে এর বিপুল চাহিদাও রয়েছে। কিন্তু ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ-সহ কয়েকটি রাজ্যে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে এর চাষ করা হয়।

মূলত তামিলনাড়ু এবং কেরলে সবচেয়ে ভাল গোলমরিচ উৎপাদন হয়। তবে সেখানে এই উৎপাদন বাড়ানোর মতো পর্যাপ্ত জমির অভাব দেখা দিয়েছে। সে কারণে দেশের অন্য রাজ্যের পাশাপাশি এই রাজ্যের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে গোলমরিচ চাষ  (Black peeper cultivation) করে অনেকে লাভবান হয়েছেন | বিশেষ করে, উত্তরবঙ্গের মাটি ও জলবায়ু গোলমরিচ চাষের জন্য বেশ উপযোগী | এক বিঘা গোলমরিচ চাষ করে আপনি হতে পারেন লাখপতি !

হ্যাঁ, তবে দেখে নিন কিভাবে চাষ করবেন এই গোলমরিচ;

জলবায়ু (Climate):

গোলমরিচ চাষের জন্য উষ্ণ আর্দ্র  জলবায়ু প্রয়োজন। উল্লেখযোগ্য যে, গোলমরিচের পরাগ সংযোগ বৃষ্টির উপর নির্ভর করে। গোলমরিচ চাষের জন্য বার্ষিক ২৫০০ মিঃ মিঃ বৃষ্টি এবং ১০ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন । দীর্ঘদিন অনাবৃষ্টি অথবা খরা পরিস্থিতি গোলমরিচ চাষের জন্য খারাপ।

মাটি (Soil):

অব্যবহৃত বা পতিত জমিতে উচ্চ জৈব সার বিশিষ্ট জল জমে না থাকা, পাহাড়ের লালমাটি গোলমরিচ চাষের জন্য বেশি উপযোগী। বন্যা কবলিত অঞ্চল ছাড়া বেলে দো-আঁশ মাটিতে গোল মরিচের চাষ করা যায়।

জাত:

অনেকগুলো জাত থাকলেও উত্তরবঙ্গের জন্য পানিয়ূর-১, কারিমুণ্ডা জাতগুলি বেশি প্রচলিত। ইরিথ্রিনা, সিলভার ওক, সুপারি, নারকেল ইত্যাদি অবলম্বণকারী গাছের সঙ্গে লতিয়ে বাড়ে গোলমরিচ। অবলম্বণকারী গাছের বয়স চার-পাঁচ হলে গোলমরিচ চাষ শুরু করতে হয়।

চারা রোপণ পদ্ধতি (planting method):

গোলমরিচের চারা দুভাবে রোপণ করা যায়। যদি বাগানে সুপারি, নারকেল, আম, কাঁঠাল ইত্যাদি আশ্রয় গাছ হিসেবে ব্যবহারের গাছ থাকে, তখন ওই গাছ থেকে দেড় হাত দূরে, দেড় হাত দৈর্ঘ্য, দেড় হাত প্রস্থ এবং দেড় হাত গভীর গর্ত করতে হয়। গোবর, পচনসার, বালিযুক্ত মাটি দিয়ে গর্তটি পূরণ করে চারা রোপণ করতে হয়। গাছ উঠার সুবিধার জন্য বাঁশের অবলম্বন দেওয়া খুবই  প্রয়োজন। নতুন জায়গায় গোলমরিচের চাষ করতে হলে প্রথমে আড়াই হাত থেকে চার হাত দূরত্বে এক হাত দৈর্ঘ্য এক হাত প্রস্থ এবং এক হাত গভীর গর্ত করে মাটি দিয়ে গর্ত পূরণ করতে হয় এবং সেখানে আশ্রয় গাছের দক্ষিণ দিক ছেড়ে চারা লাগাতে পারেন ওই একই নিয়মে। প্রয়োজনে চারাগাছে ছায়া দেওয়া উচিত।

সার প্রয়োগ:

প্রতি গর্তে ৩০০ গ্রাম ইউরিয়া, ১১০ গ্রাম টিএসপি ও ৪৫০ গ্রাম পটাশ দিতে হয়। তবে এ পরিমাণ সার তৃতীয় বছর থেকে দিতে হবে। এ পরিমাণের ১/৩ ভাগ ১ম বছর এবং ২/৩ ভাগ দ্বিতীয় বছরে দিতে হবে। সার সাধারণত বছরে দুবার দিতে হবে। একবার মে-জুন মাসে ও পরের বার আগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে দিতে হবে । এছাড়া প্রতি বছর প্রতি গর্তে মে-জুন মাসে ১০ কেজি পচা গোবর ও প্রতি ১ বছর অন্তর-অন্তর প্রতি গর্তে ৬০০ গ্রাম চুন দিতে হবে।

রোগবালাই ও দমন (Disease Management System):

গোলমরিচ গাছে কিছু  ছত্রাক আক্রমণ করে থাকে । এদের মধ্যে কুইক উইল্ট, অ্যানথ্রাকনোজ উল্লেখযোগ্য। এই সমস্ত রোগের হাত থেকে দূরে রাখতে হলে দেখতে হবে যাতে জমিতে জল না দাঁড়ায়, গাছের মূল ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। ছত্রাক জাতীয় রোগে আক্রান্ত হলে গাছের পাতাগুলি ধীরে ধীরে কালো রং ধারণ করে। মাটির উপরে থাকা কাণ্ড পচতে শুরু করবে এবং গাছটি খুব দ্রুত শুকিয়ে যাবে। এই ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে কপার অক্সিক্লোরাইড (০.২ শতাংশ) ৫-১০ লিটার প্রতি গাছের গোড়ায় দিতে হবে। তবে এই সমস্ত রোগ দেখা দেওয়ার আগে থেকেই চাষিকে সতর্ক থাকতে হবে। এর জন্য বর্ষার আগে থেকেই মেটালাক্সিল এবং ম্যানকোজেবের মিলিত ওষুধ যা বাজারে রিডোমিল বলে পাওয়া যায় ০.২ শতাংশ হারে ১৫ দিন অন্তর দুই-তিন বার স্প্রে করতে হবে। যদি রোগ বাগানে ছড়িয়ে যায়, গাছগুলিকে বাগান থেকে দ্রুত বার করে পুড়িয়ে ফেলতে হবে।

আরও পড়ুন - Sesame Cultivation: আপনিও কি তিল চাষে ইচ্ছুক? জেনে নিন পদ্ধতি

ফলন:

গোলমরিচ রোপণের তিন বছর থেকে উৎপাদন শুরু হয়। যদিও ৭-৮ বছর থেকে পুরোপুরি উৎপাদন চলে আসে। প্রতি গাছ থেকে ৫-৬ কেজি কাঁচা গোলমরিচ উৎপাদন হয়। কাঁচা গোলমরিচ থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ শুকনো গোলমরিচ পাওয়া যায়। অর্থাৎ, একটি গাছ থেকে গড়ে দেড় থেকে দুই কেজি শুকনো গোলমরিচ পাওয়া যায়। এগুলি বাজারজাত করে কৃষকভাইরা লাভবান হতে পারেন |

নিবন্ধ: রায়না ঘোষ

আরও পড়ুন - বাড়ির টবে সহজ পদ্ধতিতে করুন রসুন চাষ

English Summary: Black peeper farming: black pepper cultivation will double the income, find out the method
Published on: 24 May 2021, 03:24 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)