বিশ্বজুড়ে চলছে করোনার সাথে লড়াই, নিজেকে সুস্থ রাখতে সকলেই বিশেষ মনোযোগ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর খাদ্যে। এমন পরিস্থিতিতে কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষকদের এরকম শস্য আবাদে উত্সাহিত করছেন যা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং তাদের আয় বৃদ্ধি করে। কৃষি বিজ্ঞানীরা কৃষকদের কালো গম উত্পাদন সম্পর্কে সচেতন করা শুরু করেছেন। এই প্রজাতির গমে উচ্চ প্রোটিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা আমাদের খাদ্যের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর।
সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিদ ডাঃ আরএস সেঙ্গার বলেছেন যে, কালো গমের প্রজাতি (নবী এমজি)-তে সাধারণ গমের প্রজাতির চেয়ে আয়রন, জিঙ্ক এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বেশি রয়েছে। এর বীজের মূল্য ছয় থেকে নয় হাজার টাকা প্রতি কুইন্টাল।
এটি সাধারণত নভেম্বর মাসে বপন করা হয়। ডিসেম্বরে বপনের ফলে প্রতি হেক্টর জমিতে তিন থেকে চার কুইন্টাল এবং জানুয়ারিতে বপনের ফলে প্রতি হেক্টর জমিতে চার থেকে পাঁচ কুইন্টাল গমের ফলন হ্রাস পায়। এই প্রজাতির সাধারণ উত্পাদন প্রতি বিঘায় ১০ থেকে ১২ কুইন্টাল হয়।
কালো গম সাধারণ গমের চেয়ে বেশি পুষ্টিকর। এতে অতিরিক্ত পরিমাণে আয়রনও রয়েছে। উচ্চ গুণমান এবং গুণাবলীর কারণে এটি সাধারণ গমের তুলনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হয়। এই গম বিক্রি করে কৃষকরা ধনী হয়ে উঠছেন।
কৃষি বিজ্ঞানীরা এখনও গবেষণা করে চলেছেন। বাজারে এখনও ব্যাপক হারে এটি আসেনি। কোন কৃষক যদি এর চাষ করতে চান, তবে কৃষি বিজ্ঞানীদের সহায়তায় তা করতে পারেন। সাধারণ শস্য চাষের তুলনায় এতে কৃষকের অনেকটাই মুনাফা হবে।
Image source - Google
Related link - (High yield of wheat at low cost) কম খরচে গমের উচ্চ ফলন পেতে চান? এই পদ্ধতির অনুসরণ করুন