ক্যাপসিকামে ভিটামিন এ এবং সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। এটি আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। এতে ফাইবার, আয়রন এবং অন্যান্য খনিজ উচ্চ পরিমাণে রয়েছে আর ক্যালরির পরিমাণ সামান্য।
কীভাবে আপনার বাড়িতে ক্যাপসিকাম উদ্ভিদ করবেন (How to farming at home)?
এই গাছ করার জন্য বাজার থেকে ক্যাপসিকাম বীজ কেনার দরকার নেই, খাওয়ার উদ্দেশ্যে যে সবজি আপনি কিনেছিলেন তার অর্ধেক অংশ সংরক্ষণ করুন। অর্ধেক টুকরো থেকে কিছুটা বীজ ফেলে দিন। এরপর মাটি দিয়ে একটি পাত্র পূর্ণ করুন এবং বীজগুলি বপন করুন। আপনি যে কোন পাত্রে এই উদ্ভিদ লাগাতে পারেন, তবে গভীরতা কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি হতে হবে। উদ্ভিদ লাগানোর পরে, আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য নিয়মিত জল দিন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এর থেকে বীজ অঙ্কুরিত হবে।
উদ্ভিদের পরিচর্যা (Plant care) -
অঙ্কুরোদগমের আগে উদ্ভিদটি যেন কম সূর্যালোকে থাকে, এই সময়ে আপনি তা বাড়ির ভিতরে রাখতে পারেন। অঙ্কুরোদগম হওয়ার পরে, আপনি টবটিকে বারান্দায় সূর্যালোকে রাখতে পারেন।
তবে এই উদ্ভিদটি প্রখর সূর্যের আলো যান না পায়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। যে টবে বা পাত্রে আপনি এই উদ্ভিদটি রোপণ করেছেন, তার মাটিতে যেন ভাল পরিমাণে আর্দ্রতা বজায় থাকে সেদিকে নজর রাখতে হবে। ক্যাপসিকামের উদ্ভিদ বৃদ্ধি পেতে প্রায় ৪৫ থেকে ৬০ দিন সময় লাগে।
কীটপতঙ্গ এবং পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ (Pest management) -
কোনও রোগ পোকার আক্রমণ হলে টক্সিন মুক্ত দ্রবণ ব্যবহার করাই শ্রেয়। এক চামচ সাবান গুঁড়া এবং নিম তেল এক টেবিল চামচ নিন, উভয় এক লিটার জলে মিশ্রিত করুন। প্রতি সপ্তাহে এই দ্রবণ একবার স্প্রে করুন।
ঘরে তৈরি সার ব্যবহার করুন (Fertilizer) -
সারের জন্য শাকসব্জী এবং ফলের খোসা পচা জল, পাতা পচা ইত্যাদি মাটিতে প্রয়োগ করতে পারেন। এগুলি মাটির গুণমানকে উন্নত করে এবং উদ্ভিদকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।
ফসল সংগ্রহ:
বেশিরভাগ উদ্ভিদে একবারে প্রায় ৪ থেকে ৫ টি ক্যাপসিকাম আসে। একবার উদ্ভিদ ভালো করে বিকশিত হয়ে গেলে প্রথম যখন ফল আসবে তখন তা সংগ্রহ না করাই ভালো। এতে উদ্ভিদ দৃঢ় হয়। দ্বিতীয়বার থেকে ফল সংগ্রহ করাই ভালো।
Image source - Google
Related link - (Pest management of eggplant) বেগুন ফসলকে কীটশত্রুর হাত থেকে কীভাবে রক্ষা করবেন? রইল সমাধান