কাশ্মীরি আপেল কুল গাছ গুলির উচ্চতা ৪-৫ ফুটের মতন হয় এবং থোকায় থোকায় কুলে ভরা গাছগুলিকে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। এই কুল দেখতে অনেকটা মাঝারি সাইজের আপেলের মতো। রং আপেলের মতো সবুজ ও হালকা হলুদের ওপর লাল। স্বাদ হালকা মিষ্টি, অনেকটা বাউকুলের মত। বর্তমানে আমাদের দেশের বিভিন্ন স্থানে কাশ্মীরি আপেল কুল চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন চাষিরা।
আপেল কুল চাষ (Kashmiri Apple Ber) -
কৃষিবিদদের মতে, উর্বর বা অনুর্বর জমিতে কম খরচে সহজে আপেল কুল চাষ করা যায়। তবে, চাষের আগে চাষিদের সঠিক জাতের চারা নির্বাচন করতে হবে। নতুন চাষিরা গাছ লাগানোর আগে ভালো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা থেকে গুণমানের চারা লাগাতে পারলে ভালো ফলন পেতে পারেন।
সময় -
বর্ষার পর কাশ্মীরি আপেল কুলের চারা লাগানো উচিত। সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত এর চারা বোনা হয়। গাছ থেকে গাছ ও সারি থেকে সারির দূরত্ব ১০ ফুট বাই ১০ ফুট রাখতে হবে। বিঘা প্রতি ২০০টির বেশি গাছ লাগানো যাবে। আকারে ছোট হওয়ায় গাছটি খুব সহজে পরিচর্যা করা যায়।
কীটনাশক প্রয়োগ:
পরিণত গাছে আগস্টে ফুল ধরতে শুরু করে। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলে ফুলের সময়। এসময় কোনো ধরনের পোকানাশক স্প্রে ব্যবহার করা যাবে না। ফুল ধরলে প্রতি ১০ লিটার জলের সঙ্গে ৩ মিলি ফাইটোনাল এম আই গুলে স্প্রে করতে হবে। এতে ফলের আকার বাড়বে এবং ফলন ভালো হবে।
পরিচর্যা:
এপ্রিলে ফলন তোলার পর পরিচর্যার জন্য বেশি উচ্চতার গাছগুলি কেটে দিতে হয়। এছাড়া ফুল আসার সঙ্গে সঙ্গে মাছি ক্ষতি করতে পারে। মাছির হাত থেকে ফল রক্ষা করতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে চাষ করতে হবে। মাছি ধরার ফাঁদ ব্যবহার করে দমন করতে হবে। কিংবা মিষ্টি গন্ধযুক্ত গুঁড় বা পাকা ফলের সঙ্গে কীটনাশক মিশিয়ে রাখলে এর মধ্যে আকৃষ্ট হয়ে মাছি মারা যাবে।
ফলন:
গাছে প্রথম বছরেই বিঘা প্রতি ৬০-৭০ কেজি ফল উৎপাদন হয়ে থাকে। পরবর্তীতে গাছের বয়সের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন বাড়তে থাকে। বছরে দু’বার ফলন পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন - সহজ পদ্ধতিতে বাড়ির টবে/বাগানে গোলাপ চাষ পদ্ধতি (Rose Farming In Home)