১ থেকে ৩ ডিসেম্বর দিল্লিতে 'মিলিয়নেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া' অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠিত হবে, কীভাবে নাম নথিভুক্ত করবেন জেনে নিন গরু ও মহিষের জন্য সস্তায় খাবার প্রস্তুত করুন, বিস্তারিত জেনে নিন স্বল্প পরিসরে মাছ চাষ করুন, রইল সম্পূর্ণ ব্যবসায়িক পরিকল্পনা
Updated on: 14 August, 2021 5:12 PM IST
Custard apple Farming

বাঙালিদের খাদ্যাভাসের মধ্যে ফল খাওয়ার প্রবণতা ভীষণ ভাবে লক্ষ্য করা যায়। আম, কলা, লিচু, আনারসের পাশাপাশি আতা ফলও বঙ্গবাসীদের অত্যন্ত প্রিয়। এই মিষ্টি যৌগিক ফল, মেওয়া নামেও মানুষের কাছে পরিচিত। প্রায় ১০ মিটার পর্যন্ত এই গাছের উচ্চতা হয়ে থাকে। বাজারে আতার চাহিদা প্রচুর পরিমানে থাকায় চাষিরাও এই চাষ করে বহুল পরিমানে অর্থ উপার্জন করেন। অত্যন্ত পুষ্টিকর এই ফল শিশু থেকে বৃদ্ধ সকলেরই প্রিয়। স্বাদের দিক থেকে অতুলনীয় এই ফল বলা চলে একটি অর্থকরী ফসলও বটে। আসুন জেনে নেওয়া যাক, আতা চাষের সহজতম কৌশল।

মাটি ও জলবায়ু (Soil and Climate)

আতা চাষের জন্য উঁচু জমি বেছে নেওয়া উচিত, লক্ষ্য রাখতে হবে জমিতে সহজেই যাতে জল না উঠে যায়।  অল্প ছায়াযুক্ত স্থানেও আতা চাষ করা যায়।  এই চাষের জন্য উপযুক্ত মাটি হলো দোআঁশ মাটি।  শুষ্ক ও গরম পরিবেশে এই ফলন ভালো হয় |

চারা রোপণের প্রক্রিয়া (Planting process)

বীজ থেকে চারা তৈরী হলেও, বর্তমানে কলমের মাধ্যমে চারা তৈরী হয়ে থাকে।  সবসময় নীরোগ ও পুষ্ট বীজ থেকে চারা উৎপাদন করতে হয়। বীজ থেকে চারা উৎপাদন হতে ২-৩ মাস সময় লাগে। তাই বীজ জলে ভিজিয়ে বপণ করলে তাড়াতাড়ি অংকুরিত হয়।  জুন-জুলাই চারা রোপণের জন্য আদর্শ সময় হিসাবে বিবেচিত হয়।

জমি প্রস্তুত (Land Preparation)

নির্বাচিত জমির আগাছা পরিষ্কার করে ভালো করে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরে করতে হবে।  চারা গাছ থেকে গাছের ও সারি থেকে সারির দুরত্ব হতে হবে ৪ মিটার।  গর্তের মাপ হতে হবে ৬০*৬০*৬০ সে.মি।  গর্তপ্রতি ২৫০ গ্রাম এমপি সার, ২০ কেজি পচা গোবর সার মিশিয়ে গর্ত ভরিয়ে ১৫-২০ দিন রেখে দিতে হবে। এহেন অবস্থায়, গর্তের মাঝে খাড়াভাবে চারা রোপণ করতে হবে।  সার দেওয়ার পর প্রয়োজনে সেচ ব্যবস্থা চালু করতে হবে।  প্রতিবছর ফেব্রুয়ারী, মে ও অক্টোবর মাসে একটি ফলন্ত গাছে ১৫০-১৭৫ গ্রাম এমপি সার, ১৫০-১৭৫ গ্রাম ইউরিয়া, ১৫০-১৭৫ গ্রাম টিএসপি প্রয়োগ করতে হবে।

আরও পড়ুন: Easiest way of Coriander Leaf Farming: ঘরে বসে সহজে করুন ধনে পাতার চাষ

রোগ ও প্রতিকার (Disease Control)

আতা গাছে মিলিবাগ নামের এক ধরণের পোকার আক্রমণ দেখা যায়। বাজারে ব্যবহৃত কীটনাশক ব্যবহার করে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। মাঝে মাঝে হাত দিয়ে ফল পরিষ্কার করে রক্ষা পাওয়া যায়।  আতা ফল এনথ্কাস রোগে আক্রন্ত হয়ে কালো হয়ে নষ্ট হয়ে যায়।  সেই ধরণের ফল গাছ থেকে কেটে ফেলতে হয় এবং যে সব গাছের ডাল মরে গেছে সেগুলিও কেটে ফেলতে হবে।

ফল সংগ্রহ (Harvest)

প্রধানত, ফুল ফোটার ৩-৪ মাসের মধ্যে ফল পুষ্ট হয়।  ফল পুষ্ট হলে হালকা সবুজ থেকে হলুদ ভাব হয়ে যায়। সংগ্রহ করা পরিপক্ক ফলগুলো ১ থেকে ২ দিনের মধ্যে পাকতে শুরু করে। ৩ থেকে ৪ বছর বয়সী গাছে ১৫০ থেকে ২৫০ টি পযর্ন্ত ফল ধরে। এক একটি ফলের ওজন ১৫০ থেকে ২৫০ গ্রাম পর্যন্ত হয়।

এই কথা নিঃসন্দেহে বলা চলে আতা চাষ করে প্রচুর পরিমানে আয় সম্ভব। সঠিক উপায়ে পরিচর্যা করলে এবং যত্ন নিলে আতা গাছে প্রচুর পরিমানে আতা ফলবে। নবীন চাষিরাও বর্তমানে আতা চাষ করে প্রচুর লাভ করছেন। সম্ভাবনাময় এই চাষ পশ্চিমবঙ্গের বহু জায়গায় ইদানিং বহুল পরিমানে হচ্ছে। তাই নির্দ্বিধায় বলাই চলে আতা চাষ করে লাভবান আপনি সহজেই হতে পারেন, যদি পরিকল্পনামাফিক এই চাষে মন দেন।

আরও পড়ুন: Millet Cultivation Guide: এই পদ্ধতি অবলম্বনে করুন বাজরা চাষ

English Summary: Easiest way of Custard apple Farming
Published on: 14 August 2021, 04:16 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)