সবুজ মরিচ (কাঁচা লঙ্কা) আমরা সাধারণত সকলেই রান্নায় ব্যবহার করে থাকি। দৈনন্দিন জীবনে রন্ধনকার্যে এই সবুজ মরিচের সংযোগ তো করা হয়, কিন্তু তা কি শুধুই খাদ্যে স্বাদ বৈচিত্র্যে ভিন্নতা আনতে? না কি এর মধ্যে উপস্থিত রয়েছে আরও কিছু গুন? অনেকেই এই সম্পর্কে অবগত নন যে, এই সবুজ মরিচ যুক্ত খাদ্য মানুষকে বিভিন্ন ধরণের রোগ থেকে মুক্তি দিতে পারে। কারণ এতে রয়েছে ফাইবার এবং ভিটামিন-সি সহ অনেকগুলি গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদান, যা আমাদের হজম ক্ষমতাকে ভাল রাখে। শুধু তাই নয়, সবুজ মরিচ হাড়, দাঁত এবং চোখের জন্যও ভাল।
তবে বাজার থেকে কেনার পরিবর্তে, আপনি বাড়িতেও সবুজ মরিচ চাষ করতে পারেন। এর জন্য আপনার দরকার একটি টব/পাত্র বা ধারক এবং অল্প মাটি। জেনে নিন কয়েকটি কার্যকর পদ্ধতি, যার মাধ্যমে আপনি বাড়িতে মরিচ চাষ করতে পারবেন সহজেই।
পাত্রে রোপণ -
গ্রীষ্মের এই উষ্ণ মরসুমে, খুব সহজেই সবুজ মরিচের গাছ রোপণ করা যায়। বাড়িতে দু’ভাবে চাষ করা যায় মরিচ- ১) বীজ থেকে এবং ২) সরাসরি চারা মাটিতে বা পাত্রে বসাতে পারেন। যদি বীজ থেকে গাছ করেন, সেক্ষেত্রে মরিচের বীজ মাটিতে কমপক্ষে ৩ ইঞ্চি নীচে রেখে দিন। আর যদি সরাসরি চারা রোপণ করেন, তাহলে বাজার থেকে চারা সংগ্রহের পর একটি ফুলের টব নিন, যদি না থাকে, তাহলে আপনি টবের পরিবর্তে যে কোন পাত্রও ব্যবহার করতে পারেন। এরপর পাত্রটিতে জৈব সার মিশ্রিত মাটি সহযোগে গাছটি রোপণ করুন। যদি কোনও জৈব কম্পোস্ট না থাকে, তাহলেও এই গাছটি আপনি সাধারণ মাটিতেই রোপণ করতে পারবেন।
জলসেচ-
গ্রীষ্মের এই প্রখর তেজে আপনার সযত্নে লালিত উদ্ভিদে নিয়মিত পরিমাণ বুঝে জল দিন। তবে খেয়াল রাখবেন, জল যেন কোনভাবেই গাছের গোড়ায় জমে না থাকে। এতে গোড়া পচে উদ্ভিদটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই উদ্ভিদ রোপণের সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে জল নিষ্কাশন ব্যবস্থার দিকে, যাতে পর্যাপ্ত জল উদ্ভিদের শোষণের পর অতিরিক্ত জল টব বা পাত্র থেকে নিষ্কাশন ব্যবস্থার মাধ্যমে বেরিয়ে যেতে পারে।
সূর্যালোক -
যে কোন উদ্ভিদের বৃদ্ধির জন্যই সূর্যালোক অত্যন্ত জরুরি একটি বিষয়। সূর্যালোকের অভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি হ্রাস পায়। সুতরাং, এমন একটি স্থানে পাত্রটিকে রাখুন, যেখানে উদ্ভিদ পর্যাপ্ত সূর্যালোক পাবে।
কীটনাশক -
মরিচ গাছে বেশী পরিচর্যার দরকার হয় না। যদি উদ্ভিদে ব্যাকটিরিয়া উইল্ট, পাউডারি মিলডিউ, লিফ স্পট বা অন্যান্য রোগ-পোকার সংক্রমণ ঘটে, তাহলে ট্রাইকোডার্মা ভিরিডি এবং সিউডোমোনাস জাতীয় স্প্রে রোগের বিস্তার রোধ করতে সহায়তা করবে।
স্বপ্নম সেন (swapnam@krishijagran.com)
Share your comments