বেশি যত্ন করতে হয়না, সকলের অযত্নে, অবহেলায় পথের ধারে অথবা বাড়ির একপাশে বেড়ে ওঠে এই ফুল। তবে মহাদেব তুষ্ট হন একমাত্র এই ফুলেই। বর্তমানে ক্রমশই বেড়ে চলেছে আকন্দ ফুলের চাহিদা। এমনকি বানিজ্যিক ভাবেও এই ফুল চাষের বিভিন্ন চেষ্টা চলছে। স্বল্প খরচে এবং তুলনামূলক কম শ্রমে বেড়ে ওঠে এই ফুল।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ টাকা উপার্জন! ময়নাগুড়ির ড্রাগন চাষী অজিত সরকার
সারাবছর তেমন চাহিদা না থাকলেও চৈত্র, বৈশাখ, আষাঢ়, শ্রাবন এই চার মাসে ব্যাপক চাহিদা চাহিদা থাকে। সেরকম পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামলে এই ফুলের হাত ধরে হতে পারে লক্ষাধিক টাকা লাভ। এমনই কাহিনি উঠে এল বঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলায়। নিউজ ১৮ বাংলা সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী এই জেলার এক কৃষক দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে এই ফুলের চাষ করে আসছেন। তিনি জানান এই চাষের করতে পরিকল্পনা করতে হবে। সপ্তাহে দু তিন দিন এই ফুলের ব্যপক চাহিদা থাকে।
আরও পড়ুনঃ অকালবর্ষণ! বোরো ধানে ব্যাপক ক্ষতি চাষিদের, কি পদক্ষেপ নেবে সরকার?
পাশাপাশি ওই কৃষক জানান, সামনেই শিবের এত পুজো তাই শিবের মাথায় জল ঢালবে সকলেই। আর শিবের পুজোর জন্য অন্যতম প্রধান ফুল আকন্দ। ওই কৃষক প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে আকন্দ ফুলের চাষ করে আসছেন। লাভের অংশীদার তিনি একা নন এর সঙ্গে আরও বহু কৃষক যুক্ত রয়েছেন। চাষ করা থেকে শুরু করে, ফুলের মালা গাঁথা সব কাজই করছেন কৃষকরা।
আরও পড়ুনঃ এবার চালক ছাড়ায় চলবে ট্রাক্টর! আসছে রিমোট চালিত প্রযুক্তি
তবে শুধু পূজার্চনা নয় আকন্দ ফুলে রয়েছে ওষুধের গুনও। এই ফুল এশিয়া এবং আফ্রিকায় এক বিশেষ গুল্ম ওষধি হিসেবে ব্যবহিত হয়। পাশাপাশি পাতা, ফুল, মূল, রসালো আটা, চূর্ণ ব্যবহার করে ঘরোয়া, কবিরাজি, আয়ুর্বেদিক, ইউনানী, হোমিও চিকিৎসা ও ওষুধ তৈরিতে ভূমিকা ছিল অপরিসীম। সভ্যতার উষালগ্ন থেকে মানুষের বহুবিধ রোগ মুক্তি বা নিরাময়ে মন্ত্র শক্তির মতো কাজ করতো।