ভারতীয় কৃষি গবেষণা কাউন্সিল ছোলার ফলন বাড়াতে দুটি নতুন জাত উদ্ভাবন করেছে। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, নতুন আবিষ্কৃত এই উভয় জাতই উন্নত প্রকৃতির, যা এর ফলন বাড়াতে সক্ষম। ছোলা একটি ডাল ফসল যার ফলন খুব কম হয়। এই নতুন জাতের ছোলা হল হ'ল 'পুসা চিকপি -১০২১৬' এবং 'সুপার এনেগ্রি -১'। আসুন জেনে নেওয়া যাক, ডালের এই দুটি নতুন প্রজাতি সম্পর্কে -
পুসা চিকপি – ১০২১৬
এটি একটি খরা সহনশীল জাত। কৃষি বিজ্ঞানী ডাঃ ভরদ্বাজ চিল্লাপিলা এবং তার সহযোগীদের দ্বারা বিকশিত এই জাতটি 'পুসা- ৩৭২' জাতের বিকাশের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। উত্তর-পূর্ব সমভূমি, মধ্য অঞ্চল এবং উত্তর-পশ্চিম সমভূমিতে আবাদ হওয়া একটি প্রচলিত জাত এটি। ১৯৯৩ সালে ভারতীয় গবেষণা কেন্দ্র দ্বারা এই জাতটি তৈরি করা হয়েছিল। তবে বছরের পর বছর ধরে এই জাতের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন যে, পুসা চিকপি -১০২১৬, যা পুসা -৩৭২ এর তুলনায় উন্নত এবং এর ফলনের দিক থেকেও এটি ১১.৯ শতাংশ বেশি ফলন দেয়। এটির দানার রঙও সর্বোত্তম। এটি ছোলার রুট রট, ফুসারিয়াম উইল্ট এবং অন্যান্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। মধ্য প্রদেশ, গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং বুন্দেলখণ্ড অঞ্চলের কৃষকরা এই জাতটি চাষে ভালো লাভ করতে পারবেন।
সুপার এনেগ্রি -২
কর্ণাটকের রায়চুর এগ্রিকালচারাল সায়েন্স ইউনিভার্সিটি এই জাতের ছোলা তৈরি করেছে। কর্ণাটক রাজ্যের ডালের জাত এনেগ্রি -২ এর বিকাশের মাধ্যমে এই জাতের ডালটি তৈরি করা হয়েছে। নতুন জাতটি পুরান জাতের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি ফলন দেবে কৃষককে। এই জাতটি ফুসারিয়াম উইল্ট রোগের সাথে লড়াই করতে সক্ষম। আর এই প্রজাতির ফসল ৯৫ থেকে ১১০ দিনের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায়। কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের কৃষকরা এই জাতটি আবাদ করে নিজেদের উন্নীত করতে পারেন।
Image source - Google
Related link - (Wheat cultivation) বপন থেকে ফসল সংগ্রহ পর্যন্ত - এই অক্টোবরে গম চাষে মনে রাখুন এই বিষয়গুলি, উপার্জন হবে দ্বিগুণ
(Guava cultivation) এই প্রজাতির পেয়ারা চাষে আয় হবে লক্ষাধিক