Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 3 August, 2021 5:10 PM IST
Guava Tree (Image Credit - Google)

পেয়ারার চাষ (Guava Farming) এখন পশ্চিমবঙ্গে খুব জনপ্রিয়। আম এবং কলার পরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ফলজাতীয় ফসল পেয়ারা। এটি প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর এলাকায় চাষ করা হয় যার গড় উৎপাদনশীলতা প্রতি হেক্টর ১৫.২ টন। পশ্চিমবঙ্গে পেয়ারা চাষের প্রধান এলাকা হল ২৪ পরগনা (দক্ষিণ), নদীয়া, মেদিনীপুর, বর্ধমান এবং হুগলী।

পেয়ারা চাষে গাছ থেকে সারা বছর ফল নিলে ও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছাড়া প্রকৃতি ও মরশুমের ওপর ফল হওয়া ছেড়ে দিলে ফলের আকার ও গুণমান হ্রাস পায়। বানিজ্যিক চাষে তাই বাগান থেকে লাভজনক ফলন পেতে ‘বাহার’ কৌশলে চাহিদার সময় উন্নত গুণমানের ফলন নিয়ে আসতে হবে। চাষি ভাই বোনেদের জন্য এই বিশেষ কৌশল ধাপে ধাপে সাজিয়ে দেওয়া হল।

কীভাবে বপন করবেন (Sowing method) -

এই ফসলের জন্য, আপনাকে একটি ২.৫. × ৩ মডেল গ্রহণ করতে হবে। এক উদ্ভিদ থেকে অপর উদ্ভিদের দূরত্ব ২.৫ ফুট এবং সারি থেকে সারির দূরত্ব ৩ ফুট হওয়া উচিত। বিঘা বাগানের জন্য ৪৫০ থেকে ৫০০টি গাছ লাগানো প্রয়োজন। মাটি প্রস্তুত করতে গোবর জৈব সারের সাথে ডিএপি সার মিশ্রিত করুন। গাছ লাগানোর ছয় মাস পরেই ফল দেওয়া শুরু করবে।

উত্পাদন বৃদ্ধি –

এক বছরে, একটি উদ্ভিদে দেড়\শতাধিক শাখা বৃদ্ধি করুন এবং গাছগুলির উচ্চতা ৬ ফুট পর্যন্ত থাকলে ভালো। পেয়ারার সর্বোচ্চ ফলনের জন্য কান্ডের পরিবর্তে শাখাগুলি বিকাশ করা দরকার। প্রকৃতপক্ষে, এর প্রতিটি পাতায়, ফুল এবং ফলগুলি ৮-১০ শাখায় জন্মায়। ফলপ্রসূ উদ্ভিদে যত বেশি শাখা-প্রশাখা তত বেশি ফল পাবেন।

যে জমিতে ফল বাগান করা হবে তাতে বিঘা প্রতি ২০ কুইন্টাল গোবরসার বা ১০ কুইন্টাল কেঁচোসারের সঙ্গে ট্রাইকোডার্মা + নিমখোল বা দানা (সুপারিশ অনুযায়ী) দিয়ে গভীর চাষ দিলে ভালো। না পারলে যতটা পারবেন করবেন। চাষ জমি হলে আগে ডালশস্য জৈব উপায়ে চাষ করে নেবেন।

বাগান পরিচর্যা (Crop Care) -

  • বসন্ত কাল থেকে শুরু করে গ্রীষ্মের মাঝামাঝি অবধি বাগানে সেচ বন্ধ করে দিন। এতে সমস্ত পাতা ঝড়ে পড়বে।

  • জৈষ্ঠ মাসে দীর্ঘ ব্যাবধানের পর এবার সার ও জলসেচ দিন।

  • যেহেতু খাড়া ও উলম্ব শাখাগুলিতে ফুল- ফল কম আসে বর্ষার আগে এই শাখাগুলিকে বাঁকিয়ে মাটির সঙ্গে বেধে দিন।

  • এসময় খাড়া ডালগুলির সঙ্গে বেশকিছু ডালকে মুচড়ে গোঁড়ায় বেঁধে দিতে হবে। গ্রাম বাংলায় এই কৌশল ‘ম্যাসেজ’ নামে পরিচিত। এতে বর্ষার সময় থেকে আসা প্রচুর ফুলে পুজোর সময় থেকে শীত অবধি চাহিদার বাজারে উন্নত গুনমানের ফলে লাভ হবে অনেক বেশী।

পেয়ারা চাষের জৈব প্যাকেজ (Organic cultivation) –

  • ৬ মিটার x ৬ মিটার বা অধিক ঘন ৩ মিটার X ৩ মিটার বা বর্তমানে সুবিধাজনক ঘনত্বে ২ ঘনফুট গর্তে ১০ কেজি গোবর সার/৫ কেজি কেঁচোসারে ২৫ গ্রাম জীবাণু সার + ২৫ গ্রাম ভালো জৈব সয়েলকন্ডিশনার দানা বা হিউমিক অ্যাসিড + ২৫ গ্রাম জৈব এনজাইমের সাথে ৩/৪ কেজি নিম খোল প্রয়োগ ।

সার ব্যবস্থাপনা (Fertilizer Application) -

বর্ষার আগে ও পরে সমান দুভাগে ভাগ করে রিং নালা কেটে প্রয়োগ-

প্রথম বছর -

গোবর সার ২০ কেজি/কেঁচো সার ১০ কেজি + খোল ১ কেজি, জীবাণুসার ৫০ দানা ৪০ গ্রাম প্রতি বছর সমান অনুপাতে বাড়িয়ে প্রয়োগ করতে হবে ।

ষষ্ঠ বা সপ্তম বছর থেকে -

গোবর সার ২৫ কেজি/কেঁচো সার ১০ কেজি + খোল ২ কেজি , জীবাণুসার ৭০ গ্রাম, হিউমিক অ্যাসিড ৭০ গ্রাম, জৈব উৎসেচক দানা ৭০ গ্রাম প্রতি বছর সমান অনুপাতে বাড়িয়ে প্রয়োগ করতে হবে।

  • পেয়ারার ক্ষেত্রে ফল আসলে আবশ্যিক ভাবে ফলের মাছির ফেরোমন ফাঁদ বিঘাতে ২ টি লাগানো ও প্রাথমিক বাড়বৃদ্ধির বছরে জৈব রোগনাশক স্প্রে। মাঝে ফুল থেকে ফল আসার সময় নিমবীজ নির্যাস বা নিমতেল (নিমজাত কৃষিবিষ) ১০০০০ পি পি এম ২ মিলি/লিটার জলে স্প্রে।

  • ফুল আসার পর ফলের বাড় বৃদ্ধিতে জৈব বাড়বৃদ্ধি কারক স্প্রে ফলের উৎপাদনের সঙ্গে গুণগত মান বৃদ্ধি করে যা চাষির লাভ বাড়ায়।

আরও পড়ুন - PM KISAN 9th Installment - আগস্টের শুরুতেই কৃষকদের অ্যাকাউন্টে এল পিএম কিষানের নবম কিস্তি

এই জাতের একটি উদ্ভিদ এক বছরে প্রায় ৩০ কেজি ফল দিতে পারে। আপনি যদি এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করতে চান, আপনাকে প্রায় ৫০০ টি গাছ লাগাতে হবে। যার থেকে আপনি প্রতি বছরে ১৫০ কুইন্টাল ফলন পাবেন। যদি বাজারে আপনার ফল ৩০ কেজিও বিক্রি হয়, তবে আপনি এক বছরে প্রায় ৭ লক্ষ টাকারও বেশি আয় করতে পারেন।

আরও পড়ুন - Paddy High Yield - বীজতলায় চারার পরিচর্যাই ধানের ভালো ফলনের চাবিকাঠি

English Summary: Know how to take care of guava trees this season to get higher yield
Published on: 03 August 2021, 04:07 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)