Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 19 May, 2021 12:11 PM IST
Rose garden (Image Credit - Google)

গোলাপ ফুল ভালোবাসেন এমন কেউ নেই! গোলাপ হলো সৌন্দর্য্য ও লাবন্যের প্রতীক। বাজারে এই ফুলে চাহিদা ব্যাপক | এই ফুলের চাহিদা ও সৌন্দর্য্যের কারণে সারাবছর গোলাপ চাষ করা হয় | বর্ণ, গন্ধ ও কমনিয়তায় গোলাপকে ফুলের রানী বলা হয়ে থাকে। শুধু তাই নয়,  গোলাপের চাষ (Rose cultivation) দিন দিন বৃদ্ধি পাওয়ায় গোলাপ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

বর্তমানে অনেকেই, বাড়ির ছাদ-বাগানে গোলাপ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন | এতে, ছাদের সৌন্দর্য্যও বৃদ্ধি পাবে সমানভাবে | তবে জেনে নিন, গোলাপ চাষের কিছু সহজ পদ্ধতি

মাটি ও জলবায়ু (Soil & Climate):

গোলাপ প্রধানত শীত এবং নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডীয় একটি ফুল। বেশি উষ্ণ বা আর্দ্র আবহাওয়ায় গোলাপের গাছ ভালোভাবে জন্মায়না। ২০-৩০ ডিগ্রী সে. তাপমাত্রা, ৮৫% আপেক্ষিক আর্দ্রতা এবং ১০০-১২৫ সেমি গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত গোলাপ চাষের জন্য উপযোগী। ৬.০-৬.৫ pH মানযুক্ত  সুনিষ্কাশিত এবং উর্বর দোঁআশ মাটি  গোলাপ চাষের জন্য উত্তম।

রোপণের সময়:

অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত গোলাপের চারা রোপণের উপযুক্ত সময়।

বাড়ির টবে গোলাপের চাষপদ্ধতিঃ

টবের স্থানঃ

খোলামেলা ও আলো বাতাসপূর্ণ এমন স্থানে গোলাপের টব রাখতে হবে যেখানে গাছ সকালের সূর্য কিরণসহ ৬-৮ ঘন্টা রোদ পায়। বিকেলের রোদ (বিশেষ করে গ্রীষ্মকালে) না লাগানোই ভালো, কেননা এতে ফুলের রং ফ্যাকাসে হয়ে যেতে পারে। লক্ষ রাখতে হবে গোলাপ গাছে যাতে চারিদিক হতেই আলো পড়ে। কেননা একদিকে আলো পেলে গাছটি কেবল আলোর দিক দিয়েই বাড়বে। এজন্য টবসহ গাছটি মাঝে মাঝে ঘুরিয়ে দিতে হবে। গ্রীষ্মের প্রখর রোদ থেকে টবের গোলাপ গাছকে রক্ষা করার জন্য পর্যায়ক্রমে রোদ ও ছায়ায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে টব রাখলে গাছ ভালো থাকবে এবং ফুলও বেশি দিন পাওয়া যাবে।

মাটি তৈরি :

এঁটেল মাটি গোলাপ চাষের জন্য উপযোগী নয়। টবের জন্য সার মাটি এমনভাবে তৈরি করতে হবে যাতে মাটি বেশ ফাঁপা থাকে এবং জল জমে না থাকে। ১ ভাগ দোআঁশ মাটি, ৩ ভাগ গোবর সার বা কম্পোষ্ট, ১ ভাগ পাতা পচা সার, আধা ভাগ বালি (নদীর সাদা বালি হলে ভাল হয়) দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে তাতে এক মুঠো সর্ষের খোল  ও এক চামচ চুন মিশিয়ে ১টি ২০ সেমি (৮ ইঞ্চি) টবে ১ মাস রেখে দিতে হবে। এই ১ মাস টবে জল দিয়ে মাটি উল্টে পাল্টে দিতে হবে। এতে মাটির মিশ্রণ ভালো হবে।  টবে নিচের কয়েক সেমি পরিমাণ অংশে ইট বা মাটির হাঁড়ির ভাঙা টুকরো এমনভাবে বিছিয়ে দিতে হবে যাতে টবের মাটি এগুলোর উপর থাকে। এতে অতিরিক্ত জল নিষ্কাশনের সুবিধা হবে।

টবের আকারঃ

টবের আকার নির্ভর করে যে গোলাপের চাষ করা হবে তার জাতের উপর। ছোট জাতের জন্য ২০ সেমি (৮ ইঞ্চি) টব, বড় জাতের জন্য ৩০ সেমি (১২ ইঞ্চি) বা আরো বড় টব ব্যবহার করতে হবে। তবে প্রথম বছর যে আকারের টবে গাছ বসানো হবে পরের বছর বড়- আকারের টবে গাছ স্থানান্তর করলে বড় আকারের বেশি ফুল পাওয়া যাবে।

টবে চারা বসানোর সময়ঃ

বছরের যে কোন সময়ই টবে গোলাপের চারা বসানো যায়। তবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর ও জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারি মাস চারা লাগানোর উত্তম সময়। এ সময় চারা লাগালে বেশি দিন ধরে ফুল পাওয়া যাবে। এছাড়াও গাছের পরিচর্যা করতে সুবিধা হবে এবং গাছে রোগ ও পোকার আক্রমণ তুলনামুলকভাবে কম হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন - সয়াবিন চাষ করে লাভ ঘরে তুলতে পারেন কৃষকরা

সেচঃ

টবে বসানোর পর অন্তত ২-৩ বার জল সেচ দিতে হবে। চারা অবস্থায় গাছ যাতে প্রখর রোদ বা বৃষ্টির ঝাপ্টা থেকে রক্ষা পায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। প্রথম অবস্থায় ৩/৪ ঘণ্টা  এবং ধীরে ধীরে বাড়াতে বাড়াতে ৬-৭ ঘণ্টা রোদ পাওয়ার ব্যবস্থা করলে গোলাপের ফলন ভালো হবে। জল সেচের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে যাতে গাছের গোড়ায় জল দাঁড়িয়ে না থাকে। কচি পাতা ও কুঁড়ি ছাড়ার সময় জল বেশি প্রয়োজন হয়ে থাকে। এইসময়, সকাল সন্ধ্যা সেচ দেওয়া উচিত। ঝাঁঝরি দিয়ে ডালপালাসহ সমস্ত গাছটিই জল দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে।

সার প্রয়োগ (Application of fertilizer):

টব বসাবার ১ মাস পর থেকে ১৫-৩০ দিন অন্তর অন্তর সার দিতে হবে। শীতের ঠিক পরেই অর্থাৎ মার্চের শেষে বা এপ্রিলের প্রথম দিকে টবের উপরের ৮/১০ সেমি মাটির স্তর তুলে দিয়ে খালি জায়গায় পচা গোবর সার ও নতুন ফাঁপা মাটি দিয়ে ভরে দিতে হবে। এর পর খড় বা পাতা দিয়ে ঢেকে গ্রীষ্মের প্রখর রোদ থেকে গাছের শিকড়কে রক্ষা করতে হবে। শীতকালে গাছ ছাটার পর, প্রতি টবে ৩ মুঠা গুঁড়া গোবর সার ও ১ মুঠা স্টিমড হাড়ের গুঁড়া বা স্টেরামিল প্রয়োগ করতে হবে । পরবর্তীতে পুরো শীতকালে ১ মাস পর পর ১ মুঠা করে স্টিমড্ বোন মিল বা স্টেরামিল প্রয়োগ করতে হবে।

রোগ-পোকা দমন (Disease Management System):

শুঁয়ো পোকার আক্রমণ দেখা যায় এই গাছে। লাল মাকড়সার আক্রমণ ও ডাইব্যাক রোগই বেশ মারাত্মক। গোলাপ গাছের নানা অংশ কালো হয়ে মরে যায় | এ রোগটিকেই ডাইব্যাক বলে। গাছের রোগাক্রান্ত অংশটি কেটে ফেলে ডাইথেন এম-৪৫ ২ গ্রাম/ লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।

নিবন্ধ: রায়না ঘোষ

আরও পড়ুন - জেনে নিন চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম

English Summary: Learn how to grow attractive roses and care for roses in your home tub
Published on: 19 May 2021, 07:41 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)