'রাক্ষুসে মাছ'-বিপদ কোথায়? 'MFOI, VVIF কিষাণ ভারত যাত্রা' গুজরাটের বিভিন্ন গ্রামে পৌঁছে কৃষকদের সম্মানিত করেছে কাঁচা আম খেলে হিট স্ট্রোক প্রতিরোধ হবে এবং এই সমস্যাগুলো দূর হবে!
Updated on: 3 November, 2021 3:54 PM IST
Mexican grass (image credit- Google)

বিঘার পর বিঘা জমি জুড়ে সবুজ ঘাস। তবে এ ঘাস গরু খাবে না। ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না ছাগল।এই ঘাস দিয়ে তৈরি হয় কার্পেট। ভারতবর্ষ তো বটেই, বিদেশেও এর চাহিদা বেশ ভালরকমের। ছাদে বা বাড়ির বাগানে এই কার্পেটের মতো ঘাস বিছিয়ে দিলেই হল। এরপর রোদ-জল পেলে দিব্যি বেঁচেবর্তে সবুজ ছড়াবে ঘাসের কার্পেট। উত্তর ২৪ পরগনায় নিউটাউন লাগোয়া রাজারহাট পঞ্চায়েত এলাকার বিস্তীর্ণ জমিতে এর চাষ হয় বছরভর। কয়েক হাজার কৃষকের রুটিরুজির সংস্থান এই ঘাষ চাষ করে, বিক্রি করে।

রাজারহাট ব্লকের চাঁদপুর, পাথরঘাটা, বিষ্ণপুর ১ ও ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার অধিকাংশ মাঠে গেলে চোখে পড়বে দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ঘাস। কৃষকরা মেক্সিকান ঘাস (Mexican Grass), সিলেকশান ঘাসের চাষ করছেন। আর মোটা টাকা ঘরে আনছেন। মুনাফার টানে অন্য যে কোনও ফসল, সবজি ছেড়ে কেবল ঘাস চাষেই এখন মন দিয়েছেন রাজারহাটের চাষিরা। এক বিঘা জমিতে সিলেকশান ঘাস চাষ করতে হাজার দুয়েক টাকার মতো মাটি, পাঁচ হাজার টাকার প্লাস্টিক, ছ’হাজার টাকার সার এবং সাত হাজার টাকার মত শ্রম খরচ হয়। সবমিলিয়ে বিশ হাজার টাকার মতো খরচ। দুসপ্তাহের মধ্যেই সেই ঘাস পূর্ণ আকার নেয়। খোলা বাজারে কমপক্ষে পঞ্চাশ হাজার টাকায় বিক্রি হয়, জানিয়েছেন চাঁদপুরের এক কৃষক।

ঘাসচাষিরা আড়াই বাই চার ফুট অর্থাৎ ১০ ফুটের ছোট ছোট কার্পেট তৈরি করেন। সেগুলিই রোল করে বড় বান্ডিল করে তা গাড়ি বোঝাই হয়ে ভিন রাজ্যে চলে যায়। বিক্রি হয় চড়া দামে। মাঠ থেকে যে কার্পেট সরাসরি তিন থেকে চার টাকা বর্গফুট দরে পাইকারি বিক্রি হয়। রিটেলে তার দাম দশ টাকা বর্গফুট। রাজারহাটের এক নামকরা নার্সারির মালিক জানিয়েছেন, “ঘাস চাষে কখনও লোকসান হয় না। এর লাভের অঙ্ক এবং বিশ্ব জুড়ে চাহিদা দুটোই উর্দ্ধমুখী। তাই এই অঞ্চলে একজন কৃষক অন্যকে দেখে ঘাস চাষ শুরু করেন।” এই প্রবনতার ফলে এখন নিজেদের জমিতে নার্সারি তৈরি করে হাজার কয়েক চাষি ঘাস বুনতে শুরু করেছেন।

আরও পড়ুন -Shade net farming process: শেড নেট পদ্ধতিতে চাষ করে হয়ে উঠুন লাভবান

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে নিউটাউনে বিশ্ববাংলা সরণির ডিভাইডারগুলি মেক্সিকান ঘাস ও সিলেকশান ঘাসের কার্পেটে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল। হিডকোর এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, সহজে নষ্ট হয় না, অনেকটা আগাছার মত, রাফ ইউস করা যায়। অথচ দেখতেও সুন্দর। তাই ইকো পার্ক-সহ নিউটাউনের অনেক জায়গা সাজাতে এর ব্যবহার হয়েছে। এভাবে রাজারহাটের কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে কয়েকটি সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাও। বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার মধ্যেও সিলেকশান গ্রাসের চাহিদা বাড়ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকদের একাংশ। এক বেসরকারি সংস্থার কর্তা জানিয়েছেন, কোরিয়ান গ্রাস বা মেক্সিকান গ্রাস বেশ শক্ত। কিন্তু সিলেকশান গ্রাস খুব নরম আর দৃষ্টিনন্দন। অফিস সাজাতে রাজারহাট থেকে সিলেকশান গ্রাস নিয়ে আসা হয়েছে।

এই ঘাস চাষের প্রক্রিয়াকে আরও বিজ্ঞানসম্মত ও আধুনিক করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে অনুরোধ জানিয়েছেন রাজারহাটের ঘাষ চাষিরা। পরিকাঠামো এবং আর্থিক সহায়তার দাবি জানিয়েছেন নার্সারির মালিকরা। পরিকাঠামোর উন্নয়ন, প্রশিক্ষন দেওয়ার ব্যাপারে উদ্যান পালন দফতরের পদক্ষেপ দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন -Weed management methods: দেখে নিন ক্ষেতের আগাছা দমন করার উপায়

English Summary: Maxican grass cultivation: Mexican grass cultivation started in Kolkata, a new direction of income
Published on: 03 November 2021, 12:39 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)