এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 19 February, 2021 4:13 PM IST
Pineapple (Image Credit - Google)

এই ফলের আদি জন্মস্থল দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ। তবে বর্তমানে ক্রান্তীয় অঞ্চলে বিশ্বের সর্বত্রই এর চাষের ব্যাপক প্রচলন রয়েছে। কোস্টারিকা, ব্রাজিল এবং ফিলিপিন্স এই তিনটি দেশ একত্রে বিশ্বের সমগ্র আনারস (Pineapple) উৎপদনের প্রায় এক তৃতীয়াংশ উৎপাদন করে। আধুনিক পদ্ধতিতে ও উন্নত জাতের আনারস চাষ করলে ফলন অনেক বেশি হয়। 

পুষ্টি মূল্য:

আনারস ভিটামিন এ, বি ও সি এর একটি উত্তম উৎস।

ভেষজ গুণ :

পাকা ফল বলকারক, কফপিত্ত বর্ধক, পাচক ও ঘর্মকারক। কাঁচা ফল গর্ভপাতকারী। পাকা ফলের সদ্য রসে ব্রোমিলিন নামক এক জাতীয় জারক রস থাকে বলে এটি পরিপাক ক্রিয়ার সহায়ক এবং রস পান্ডুরোগে হিতকর। কচি ফলের শাঁস ও পাতার রস মধুর সাথে মিশিয়ে সেবন করলে ক্রিমির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।

ব্যবহার:

জ্যাম ও জেলি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়।

আনারস চাষ (Pineapple Cultivation):

উপযুক্ত জমি ও মাটি: উঁচু জমি ও পানি দাঁড়ায় না। মাটি হতে হবে দোআঁশ ও বেলে দোআঁশ। জমি থেকে ১৫ সেমি উঁচু এবং ১ মিটার প্রশস্ত বেড তেরি করতে হবে। এক বেড থেকে অন্য বেডের মধ্যে ৫০-১০০ সেমি ফাঁক রাখতে হবে।

চারা রোপণের উত্তম সময় :

অক্টোবর থেকে নভেম্বরে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। তবে সেচের সুবিধা থাকলে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত রোপণ করা যেতে পারে। সারি থেকে সারি দূরত্ব ৫০ সেমি এবং চারা থেকে চারার দূরত্ব ৩০-৪০ হতে হবে।

সারের পরিমাণ :

প্রতি গাছে গোবর সার ২৯০ থেকে ৩১০ গ্রাম, ইউরিয়া সার ৩০ থেকে ৩৬ গ্রাম, টিএসপি ১০ থেকে ১৫ গ্রাম, এমপি সার ২৫ থেকে ৩৫ গ্রাম, জিপসাম ১০ থেকে ১৫ গ্রাম প্রয়োগ করতে হবে।

সার প্রয়োগ পদ্ধতি :

গোবর, জিপসাম এবং টিএসপি বেড তৈরির সময় মাটির সাথে মিশিয়ে দিতে হবে। ইউরিয়া এবং পটাশ সার চার-পাঁচ মাস পর থেকে শুরু করে পাঁচ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে।

আনারসের সাথে সাথী ফসল চাষ:

আনারসের সাথে অনায়াসে আদা, সয়াবিন, সরিষা, কলাই, কচু ইত্যাদি সাথী ফসল হিসেবে চাষ করা যায়।

সেচ, নিকাশ ও আগাছা ব্যবস্থাপনা: 

শুকনো মৌসুমে আনারস ক্ষেতে সেচ দেওয়া দরকার। তাছাড়া বর্ষাকালে যাতে অতিরিক্ত পানি না জমে সে ব্যবস্থা করতে হবে।  চারা বেশি লম্বা হলে ৩০ সে.মি পরিমান রেখে আগার পাতা সমান করে কেটে দিতে হবে।

আগাছা আনারসের খুবই ক্ষতি করে। বছরে অন্তত দু’বার আগাছা পরিষ্কার করতে হবে; একবার আগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে ফল সংগ্রহ করার পর ও দ্বিতীয় বার অক্টোবর-নভেম্বর মাসে। জমিতে সেচ প্রদান এবং সার প্রয়োগের পর মালচিং করে নিলে জমি আগাছা মুক্ত থাকে।

আগাছা দিয়ে মালচিং করার পর একসময় পচে জৈব সার হিসেবে মাটিতে যুক্ত হয় এবং এতে করে মাটির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি পায়।

হরমোন প্রয়োগে সারা বছর আনারস :

আনারস পরিকল্পিতভাবে চাষ করলে হরমোন প্রয়োগের মাধ্যমে সারা বছর উৎপাদন করা যায়। হরমোন প্রয়োগের পদ্ধতি হচ্ছে, আনারসের শাকার রোপণের আট-নয় মাস বয়সের ৩০-৩২টি পাতা সম্বলিত গাছে হরমোন প্রয়োগ করতে হয়। গাছপ্রতি ৫০ মিলি ইথ্রেল দ্রবণ প্রয়োগ করতে হবে। ইথ্রেল দ্রবণ তৈরির পদ্ধতি হচ্ছে- এক লিটার পানিতে ৫০০ মিলি ইথ্রেল ভালোভাবে মিশিয়ে প্রতি গাছে ৫০ মিলি করে প্রয়োগ করতে হবে। এভাবে এক লিটার দ্রবণ দিয়ে ৩০ টি গাছে প্রয়োগ করা যাবে। হরমোন প্রয়োগের ৩৫-৪০ দিনের মধ্যে গাছে ফুল আসে।

ফসল সংগ্রহ :

চারা রোপণের ১৫ থেকে ১৬ মাস পর ফসল সংগ্রহ কর সম্ভব। হিমাগারে কয়েকদিন সংরক্ষণ করা যায়।আনারস হেক্টরপ্রতি ১০-১২ মেট্টিক টন, হানিকুইন ২৫-৩০ টন, জায়েন্ট কিউ ৩০-৪০ টন পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন - সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে বাড়িতে মানিপ্ল্যান্ট উদ্ভিদ রোপনের পদ্ধতি (Money Plant Cultivation)

English Summary: Pineapple cultivation techniques in modern Technique
Published on: 19 February 2021, 04:13 IST