Weather Update: ঝেঁপে নামবে বৃষ্টি! শনিবার থেকেই আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তনের পূর্বাভাস হাওয়া অফিসের “ট্র্যাক্টর কে খিলাড়ি” কৃষকদের 51 হাজার টাকা পর্যন্ত পুরস্কার “মিলিওনেয়ার ফার্মার অফ ইন্ডিয়া অ্যাওয়ার্ডস 2024” এবার জুরির সভাপতিত্বে নীতি আয়োগের সদস্য অধ্যাপক রমেশ চাঁদ
Updated on: 1 September, 2021 1:24 PM IST
Wood apple tree (image credit- Google)

বেল অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং উপকারী ফল। এটি কাচা এবং পাকা দুই ভাবেই খাওয়া যায়। এর দুই ভাবেই এর উপকারিতা সমান। বিভিন্ন রোগে বেলের শরবত খুব উপকারি। বেলে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে। ভিটামিন এ, সি এবং বিভিন্ন খনিজ  উপাদান যেমন ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম রয়েছে। বেল গাছ অনেক বড় ধরনের একটি বৃক্ষ। বেল গাছে ফল আসতে অনেক সময় লাগে বলে এর উৎপাদন কম । উৎপাদনের তুলনায় চাহিদা বেশি বলে বাজারে পাকা বেল খুব চড়া দামে বিক্রি হয়ে থাকে।

মাটি(Soil):

বেল একটি কষ্ট সহিষ্ণু গাছ তাই এটি যে কোন মাটিতে জন্মাতে পারে। জমি নির্বাচন করার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে জমি যেন উজ্জ্বল রৌদ্র যুক্ত না হয়। মাটি যেন সুনিষ্কাশিত হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

চারা তৈরি:

বেলের চারা তৈরি করা হয় সাধারনত বীজ থেকেই। বেল গাছ পর পরাগায়িত গাছ বলে এতে মাতৃগাছের গুনাগুন বজায় থাকে না। তাই এর জন্য গুটি কলম বা কুড়ি সংযোজন পদ্ধতির মাধ্যমে খুব উন্নত জাতের চারা উৎপাদন করতে হয়। বেল গাছের গোড়ার চারপাশে যে শিকড় থাকে তা থেকে অনেক কুড়ি বের হয়, সে সব কুড়ি মাটি সহ সাবধানে তুলে আনতে পারলেই নতুন চারা তৈরি করা যায়।

বেলের চারা উৎপাদনে কলম পদ্ধতি:

বীজ থেকে যে বেল গাছ হয় তা থেকে ফলন পেতে অনেক সময় লাগে । এত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা অনেক কষ্টসাধ্য। তাই এখন বিভিন্ন কলমের মাধ্যমে বেলের চারা উৎপাদন করা হয়। মূলের কাটিং করে এয়ার লেয়ারিং করে বা ফাটল কলমের মাধ্যমে বেলের বংশ বৃদ্ধি করা হয়। কলমের মাধ্যমে উৎপাদিত চারা থেকে ফলন দ্রুত পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -Alu Bukhara Farming: জেনে নিন আলু বোখারা ফল চাষের পদ্ধতি

চারা রোপণ:

বেল চাষ করার জন্য বাগানে পর্যাপ্ত জায়গা থাকতে হবে। এক চারা থেকে আরেক চারার দূরত্ব ১০ মিটার হতে হবে। নির্ধারিত দূরত্বে জমি ৫০ সেমি চওড়া ও ৫০ সেমি গভীর করে গর্ত করতে হবে।

সার প্রয়োগ:

চারা রোপণ করার পর পরের বছর থেকে প্রতি গাছ অনুযায়ী ১৫-২০ কেজি পচা গোবর সার ব্যবহার করতে হবে। প্রতি গর্তে গোবর সার ১০ কেজি, টিএসপি ২৫০ গ্রাম , এমওপি সার ১৫০ দিয়ে মাটিতে ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত ভরাট করে দিতে হবে। এই গর্তে ৮-১০ দিন পর একটি করে চারা রোপণ করতে হবে। চারা লাগানোর পর যদি বর্ষা না হয় তাহলে চারার গোড়ায় জল সেচ দিয়ে মাটি ভালো করে ভিজিয়ে দিতে হবে।

আগাছা দমন:

বেল গাছে প্রয়োজনীয় আগাছা ও নিড়ানির ব্যবস্থা করতে হবে। ঝড়ো বাতাসে চারা যেন হেলে না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।  চারার গোড়ায় ১০-১৫ সেমি দূরে  একটি কাঠি পুতে দিতে হবে তাহলে চারা হেলে পড়ার সম্ভাবনা থাকবে না। কোন কারণে কোন চারা যদি মারা যায় তাহলে সেখানে নতুন চারা লাগিয়ে দিতে হবে যত দ্রুত সম্ভব।

ফসল সংগ্রহ:

বীজের গাছে ফল আসাতে প্রায় ৮-১০ বছর সময় লাগে। তবে কলমের গাছে খুব কম সময়ে ফল আসে। কলমের গাছে ৫-৬ বছরের মধ্যেই ফল আসে। তবে গাছের বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে ফলন ভালো হয়। গাছের বয়স ১০ বছর পার হলে ফলন ভালো হয়। একটি পূর্ণবয়স্ক বেল গাছ থেকে বছরে  ১৫০-২০০ টি বেল পাওয়া যায়।

আরও পড়ুন -Snails farming method: বাণিজ্যিকভাবে শামুক চাষ করে ব্যাপকভাবে লাভবান হয়ে উঠুন

English Summary: Wood Apple Farming Method: By cultivating wood apples in this way, you also become profitable
Published on: 01 September 2021, 12:13 IST

எங்களுக்கு ஆதரவளியுங்கள்!

প্রিয় অনুগ্রাহক, আমাদের পাঠক হওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার মতো পাঠকরা আমাদের কৃষি সাংবাদিকতা অগ্রগমনের অনুপ্রেরণা। গ্রামীণ ভারতের প্রতিটি কোণে কৃষক এবং অন্যান্য সকলের কাছে মানসম্পন্ন কৃষি সংবাদ বিতরণের জন্যে আমাদের আপনার সমর্থন দরকার। আপনার প্রতিটি অবদান আমাদের ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান।

এখনই অবদান রাখুন (Contribute Now)