কৃষিজাগরন ডেস্কঃ দুদিনের নন্দিগ্রাম সফরে এসে ফিশারী রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ডাইরেক্টর ডঃ বসন্ত কুমার দাস সহ দুজন মৎস্য বিজ্ঞানী ডঃঅর্চনা কান্তি দাস এবং টি চানু গ্রামে গ্রামে ঘুরে মৎস্যজীবিদের প্রশিক্ষন দিচ্ছেন । হুগলী ও হলদী নদীর কোল ঘেসে অবস্থিত নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের কেন্দেমারী, কাঁটাখালি, সাউদখালি ও গাংরাচরের মৎস্য অবতরন কেন্দ্রে।সেখানে যেমন আছে ধীবর নৌকা মৎস্যজীবীদের নদী-সমুদ্রে মাছ আহরন তেমনি নন্দীগ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে আছে ঈষদ নোনা জলের ভেনামী চিংড়ির চাষ,মিঠে জলের রুই, কাতলা সহ অন্যন্য মাছের চাষ।
এলাকার মৎস্য ক্ষেত্রে সার্বিক উন্নয়নের জন্য ইতিমধ্যে ব্লক মৎস্য দপ্তর নানা কর্মসূচী গ্রহন করেছে। জেলার মধ্যে সর্বাধিক মৎস্যজীবী ক্রেডিট কার্ড যেমন রয়েছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকে তেমনি মৎস্যজীবীদের দল গঠন করে সরকারি প্রকল্প সমূহ সাধারন মাছ চাষির মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ কৃষি যন্ত্র কেনার জন্য ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেবে রাজ্য সরকার
মৎস্য ক্ষেত্রে এই অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করতে দেশের অন্যতম মৎস্য গবেষনা কেন্দ্রের ডাইরেক্টর ডক্টর বসন্ত কুমার দাসের সঙ্গে মৎস্যজীবীদের সরাসরি মতবিনিময়ের সুযোগ করে দিয়েছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগ।
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু এর তত্বাবধানে সিফ্রি গবেষনা কেন্দ্রের ডিরেক্টর ও বিজ্ঞানীদের দল নন্দীগ্রাম এলাকার মৎস্য ক্ষেত্র গুলি ঘুরে দেখেন। নৌকা করে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরার বিষয় গুলি ক্ষতিয়ে দেখেন । পাশাপাশি ইলিশ , শুশুক সংরক্ষনে সচেতন করে ঈষদ নোনাজলের ভেনামী চাষিদের সঙ্গে চাষের খুটিনাটি বিষয় ও বিকল্প মাছ চাষ নিয়েও কথা হয়।
আরও পড়ুনঃ গ্রামে গ্রামে ঘুরে মাছ চাষের পাঠ পড়াচ্ছেন মৎস্য আধিকারিক সুমন কুমার সাহু
নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, “মৎস্য সংক্রান্ত পেশার সাথে যুক্ত মানুষের বৈজ্ঞানিক স্বাক্ষরতা বৃদ্ধির সাথে সাথে পরিকল্পনা মাফিক মৎস্য ক্ষেত্রের উন্নয়নের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে এতে আর্থ-সামাজিক শ্রী বৃদ্ধি ঘটবে”।
সেন্ট্রাল ইনল্যান্ড ফিশারী রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (কেন্দ্রীয় অভ্যন্তরীণ মৎস্যচাষ গবেষণা কেন্দ্র) ডাইরেক্টর দেশের বিশিষ্ট মৎস্য বিজ্ঞানী ডক্টর বসন্ত কুমার দাস বলেন “নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের মৎস্য ক্ষেত্র গুলি পরিদর্শন করে আমরা খুব খুশি এবং তার সাথে ব্লক মৎস্য দপ্তরের তৎপরতায় এলাকায় মৎস্যজীবীদের উৎসাহ উদ্দিপনা বিশেষ লক্ষনীয়, যেভাবে দল গঠনের মাধ্যমে মৎস্যজীবিদের প্রশিক্ষিত করা হচ্ছে তা খুব প্রসংশনীয়”।
ব্লক মৎস্য আধিকারিকরা যেভাবে মৎস্য বিজ্ঞানীদের নিয়ে মাছ চাষিদের সঙ্গে এলাকায় ঘুরলেন কথা বললেন তাতে খুবই খুশি মৎস্য বিশেষজ্ঞ থেকে চাষি মহল। বিশেষজ্ঞদের ধারনা যে ভাবে মৎস্য সম্প্রসারন আধিকারিকরা মৎস্যজীবীদের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে এলাকায় নীল বিপ্লবের জোয়ার বইতে বেশি সময় লাগবে না।