ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের "কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষণ সংস্থা (কলকাতা কেন্দ্র) এবং জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র - এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো আধুনিক মৎস্য চাষের এক দিবসীয় প্রশিক্ষণ শিবির। জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র (পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় এর অধীনস্থ) যৌথভাবে এগিয়ে আসলো আলিপুরদুয়ার জেলার তফসিলি উপজাতি মৎস্য চাষী ভাই, বোন দের আধুনিক উপায়ে মৎস্য চাষে আগ্রহী করে তোলার জন্য।
যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত (২১ শে আগস্ট, ২০২১) এই এক দিবসীয় প্রশিক্ষণ শিবিরে উপস্থিত ছিলেন কেভিকে-র বরিষ্ঠ বৈজ্ঞানিক, কৃষি অধিকর্তা এবং কৃষি কর্মকর্তা সহ খ্যাতনামা ব্যক্তিবর্গ। জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে জেলা মৎস্য বিজ্ঞানী শ্রী ইন্দ্রনীল ঘোষ, যিনি সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন; সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রের বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ও প্রধান ডা: বিপ্লব দাস। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ছিলেন ডা: শুভাশীষ বটব্যাল (গবেষণা, সম্প্রসারণ ও খামার বিভাগের অধিকর্তা)।
আধুনিক মৎস্য চাষ সম্পর্কে আলোচনা :
এই প্রোগ্রামের প্রধান বিষয়বস্তু ছিল আধুনিক মৎস্য চাষ সম্পর্কে আলোচনা। কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষণ সংস্থা, কলকাতা কেন্দ্রের অফিসার ইন চার্জ ডা. জি. এইচ. পৈলান, মুখ্য বিজ্ঞানী ও ট্রেনিং কোঅর্ডিনেটর ডা: শুভেন্দু দত্ত, ডা: গৌরাঙ্গ বিশ্বাস সহ অন্যান্য বিজ্ঞানীরা কিভাবে তফসিলি উপজাতি মৎস্য চাষীদের মৎস্য উৎপাদন ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করা যায়, তার জন্য সবাই আধুনিক মৎস্য চাষের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
মাছ চাষের সরঞ্জাম বিতরণ (Critical input distribution program) -
প্রশিক্ষণের শেষে সকল মৎস্য চাষী দের হাতে মাছ চাষের জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু উপাদান তুলে দেওয়া হয়, যার মধ্যে কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষণ সংস্থা, কলকাতা কেন্দ্রের দ্বারা উদ্ভাবিত জলের পি. এইচ নির্ণায়ক কিট উল্লেখযোগ্য, এটি আধুনিক মাছ চাষে এক অতি প্রয়োজনীয় মেশিন এবং এটি সাধারণ চাষীরা সহজেই ব্যাবহার করতে পারেন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ব্যক্তিবর্গ -
এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রতীক মজুমদার (BDO, Falakata block)
শ্রীমতী সন্ধ্যা বিশ্বাস (Sabhapati, Falakata Panchayet Samity)
শ্রীমতী সুদেষ্ণা দাস (ADA,. FALAKATA)
শ্রী রূপম দত্ত (BTM, ATMA, Falakata block)
শ্রী হরেশ্বর বর্মণ (Krishi Karmaddhakshya, Falakata Panchayet Samity)
শ্রী রামসিং কার্জী (Motsyo Karmaddhakshya, Falakata Panchayet Samity)
শ্রী সুভাষ চন্দ্র রায় (Chairman, WBCADC, Alipurduar District).
পরবর্তীকালে মৎস্য বিজ্ঞানী শ্রী ইন্দ্রনীল ঘোষ এই সকল চাষীদের কাজকর্ম মনিটর করবেন ও প্রযুক্তিগত সহয়তা প্রদান করার চেষ্টা করবেন জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র এর পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন - Tomato Disease Control – জেনে নিন টমেটোর বিভিন্ন রোগ ও তার প্রতিকার পদ্ধতি সম্পর্কে
এর আগেওন জলপাইগুড়ি জেলার ১০০ জন তফসিলি জাতিভুক্ত মৎস্য চাষী ভাই বোনেদের একইরকমভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় ও মাছ চাষের প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয় ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের "কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষণ সংস্থা (কলকাতা কেন্দ্র) এবং জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র-এর যৌথ উদ্যোগে। শুরু থেকে জলপাইগুড়ির এই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র যেভাবে কৃষকদের জন্য তাদের উন্নতির স্বার্থে অবিরত প্রচেষ্টা করে চলেছে, তাতে বলা বাহুল্য ভবিষ্যতেও এই কেভিকে তাদের পাশে থেকে কৃষিকাজে যথাসাধ্য কর্ম সঞ্চালন করবে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগেও এই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে উদ্যোগ গ্রহণ করে ন্যাশনাল ফিশ ফার্মারস ডে উপলক্ষ্যে মৎস্য পালন সম্পর্কে আলোচনা করা হয় ভার্চুয়াল প্রোগ্রামের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, পূর্বে অনুষ্ঠিত এই ভার্চুয়াল প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় মৎস্য মন্ত্রী শ্রী অখিল গিরি।
তথ্যসূত্র - মৎস্য বিজ্ঞানী শ্রী ইন্দ্রনীল ঘোষ (জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র)
আরও পড়ুন - Education Supervisor Recruitment: রাজ্যে এডুকেশন সুপারভাইজার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি, দেখুন বিস্তারিত তথ্য