এই 20টি ব্যবস্থা পোল্ট্রি খামারকে বার্ড ফ্লু থেকে নিরাপদ রাখবে! ভার্মি কম্পোস্ট ইউনিটের জন্য ৫০% পর্যন্ত ভর্তুকি পাওয়া যাবে, শীঘ্রই আবেদন করুন এই হাইব্রিড জাতের টমেটো 900 কুইন্টাল প্রতি হেক্টর ফলন দেবে দুধের সঠিক সময় বেছে নিলে উৎপাদন বাড়বে, কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?
Updated on: 6 December, 2022 5:31 PM IST
প্রশিক্ষণ শিবিরে মৎস্যচাষীদের সঙ্গে কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

কৃষিজাগরন ডেস্কঃ প্রতি বছরের মত এবারও জলপাইগুড়ি জেলার মৎস্য চাষীদের প্রশিক্ষণ দিতে এগিয়ে এসেছে জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র, পশ্চিমবঙ্গ প্রাণী ও মৎস্য বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয় ও ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষণ সংস্থান, কলকাতা কেন্দ্র। 

মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক মৎস্যচাষীদের স্বনির্ভর করে তোলাই এই প্রশিক্ষনের মুল উদ্দেশ্য। এই শিবিরে মৎস্য বিজ্ঞানীরা হাতে কলমে মৎসচাষীদের প্রশিক্ষণ দেবেন । তিনদিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ শিবির চলবে। সোমবার জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বোয়াল মারি গ্রামের সন্ন্যাসী পাড়া ফার্মাস ক্লাবের ২০ জন মৎস্য চাষীকে নিয়ে প্রশিক্ষণ শিবির অনুঠিত হয়।এর পাশাপাশি মাছচাষের বিভিন্ন সামগ্রীও বিতরণ করা হবে।

আরও পড়ুনঃ মাছ চাষে রেকর্ড গড়ল বাংলা,নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্র ছাড়িয়ে গেল উৎপাদন

প্রশিক্ষণ দেবেন জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মৎস্য বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ, এছাড়াও কেন্দ্রীয় মৎস্য শিক্ষা সংস্থার দুই বরিষ্ঠ বিজ্ঞানী ডঃ গৌরাঙ্গ বিশ্বাস ও ডঃ দিলীপ কুমার সিংহ। জলপাইগুড়ি কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের মৎস্য বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ বলেন,"পুরুষ ও মহিলা চাষীদের হাতেনাতে মাছের খাবার তৈরী ও জল মাটি পরীক্ষা করা শেখানো হবে।চাষীদের জল মাটি পরীক্ষা করার কিট ও দুটি প্রশিক্ষণ পুস্তিকা বিনামূল্যে এই প্রশিক্ষন শিবির থেকে দেওয়া হবে,এতে চাষীরা উপকৃত হবেন।"

হাতে কলমে প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি প্রান্তিক মৎস্য চাষীরা।কেন্দ্রীয় মৎস্য প্রশিক্ষণ সংস্থার নিজস্ব উদ্ভাবন জলের পি.এইচ পরীক্ষা কিট যা দিয়ে চাষীরা সহজেই বুঝতে পারবেন যে জল অম্লীয় না ক্ষারীয়।শিবিরে অংশগ্রহনকারী প্রত্যেক চাষীকে এই কিট প্রদান করা হবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুনঃ ঐতিহ্যের বোঝা নিজেদের কাঁধে নিয়ে আজও ছুটে চলেছে হাতে টানা রিকশা

বড়িষ্ঠ বিজ্ঞানী ডঃ গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, মাছ চাষের জন্য জলের পি.এইচ হওয়া উচিত ৭.৫ থেকে ৮.৫।  কিন্তু জলাইগুরি জেলার গড় পি.এইচ অনেক কম। তাই চাষী ভাইদের পক্ষে এই কিট অতি প্রয়োজনীয়। এটা ব্যাবহার করে তারা বিজ্ঞান সন্মত পদ্ধতিতে সঠিক মাত্রায় চুন প্রয়োগ করে মাছের উৎপাদন বাড়াতে সক্ষম হবেন” ।

 

প্রশিক্ষনের পর থেকে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত মৎস্য চাষীদের পর্যবেক্ষণ করবেন মৎস্য বিজ্ঞানী ইন্দ্রনীল ঘোষ। কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের পক্ষ থেকে, প্রয়োজনের ভিত্তিতে মৎস্যচাষীদের প্রয়োজনিয় সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।  

কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র সুত্রের খবর, মৎস্যচাষীদের মধ্যে থেকে কিছু প্রগতিশীল মৎস্যচাষীদের মাস্টার ট্রেইনার তৈরি করা হবে। যাতে ভবিষ্যতে তাঁরা অন্য মাছ চাষীদের সময়োপযোগী পরামর্শ দিতে পারেন।

English Summary: A three-day training camp was started under the auspices of Jalpaiguri Agricultural Science Centre
Published on: 06 December 2022, 11:20 IST